লকডাউনের দিনলিপি

এ শুধু অলস মায়া

আবীর মুখোপাধ্যায়


নির্বাসনে মনে পড়ে যাচ্ছে কত পুরনো গানের কথা। গান শোনার কথা। আসলে কম বেশি সবাই এই সময়টা আমরা নতুন করে গান শুনছি। হারানো সব গান। ঘরবন্দি থাকতে থাকতে অলস সময় বয়ে চলেছে সুরে ভেসে। আমার গান শোনা শুরু জীবনের নানা পর্বে। কখনও থেমে যায় মাতামাতি। আবার কোনও শিল্পীকে নিয়ে হয়। একজনের কথা আগেও বলেছি, আজ আবার বলি।  
সেটা ছিল একটা ঝড়ের রাত। ফুলডাঙা থেকে ঝোড়ো বাতাস ঠেলতে ঠেলতে সীমান্তপল্লির দিকে ফিরছি। পথে বেশ কয়েক জায়গায় গাছ পড়েছে। সে সব এড়িয়েই শান্তিনিকতন আশ্রমের অন্ধকার পথে রিকসা এগোচ্ছে। থেকে থেকে আকাশে বিদ্যুৎ রেখার আলোকলতা। কখনও সখনও গায়ে এসে লাগছে বৃষ্টির আলতো ছোঁয়াচ।
যখন ডাকঘর মোড় পার হয়ে শ্রীনিকেতনের রাস্তায় উঠলাম, মনে হল মদ্যপ রিকসাওয়ালা টাল খেতে খেতে কি যেন গাইছে খাদে গলা নামিয়ে। সুরের নিমগ্নতায় উৎকর্ণ হয়ে ঠাহর হল রবিঠাকুরের কোনও গান! চেনা সুর... কথাগুলো... আনমনে গানের বাকি কথা ভাবছি। যখন উপাসনা মন্দিরের সামনে এলাম, কথাগুলো কানে এল। মর্মে ভেসে উঠল! আশ্চর্য! সে গাইছে কবির একটি পূজার গানের সঞ্চারী! যার কথা ও সুরের প্রতিবেশ বর্ষার। ‘অন্ধকারে রইনু পড়ে, স্বপন মানি/ ঝড় যে তোমার জয়ধ্বজা তাই কি জানি’!
সেদিন সত্যিই নির্বাক হয়ে পড়েছিলাম আমি। মনে হয়েছিল, এমনও হয় বুঝি! কে জানে!
রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন নিয়ে যখন শুনি, তির্যক কোনও কথা, পড়ি বাঁকা কোনও কলম, আমার মনে পড়ে যায় সেদিন রাত্তিরের অভিজ্ঞতা। হয়তো এ অভিজ্ঞতা আমার একার নয়। তাই বর্ষা রাতে, একলা আঁধারে রবিঠাকুরের গানে দুঃখের পরশমণির সন্ধান, এ কোনও বিক্ষিপ্ত বা সাজানো ঘটনাও নয়। অনেকের ঝুলিতেই এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে। শান্তিনিকেতন আশ্রমের ঘুম ভাঙানো বর্ষা সকাল, অলস মদির দুপুর কিংবা চাঁদ ঢালা রাত্তিরের পথ-ঘাটে দেখেছি, মুক্তিকামী যে মনটি অন্তরমহলে জেগে ওঠে, সে প্রকৃতির মাঝে নিয়ত নির্ভরতা খোঁজে এভাবেই। তাতে, একাকার হয়ে যায় কবির গান, কবিতা, কথামালা। আর তখনই কবির গান হয়ে ওঠে ব্যক্তি থেকে একটি জাতির, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের আশ্রয় ও মুক্তির গান। সেই যে শঙ্খবাবু লিখেছিলেন না, ‘‘রবীন্দ্রনাথের গান আমাদের নিয়ে যায় এমনি এক ভারহীন অদীন ভুবনে, আমাদের নিবিড়তম সত্যের সঙ্গে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় রবীন্দ্রনাথের গান।... সরে যায় আমাদের সমস্ত মিথ্যে, সরে যায় সাজিয়ে কথা বলার সংসার।’’
বোলপুর-শান্তিনিকেতনে বড় হলেও, রবিঠাকুরের গানের সঙ্গে বাল্যে আমার আলাপ করিয়ে দেন জর্জ বিশ্বাস। তাঁর গানের সরণি বেয়েই রেকর্ডের ইনলে কার্ডে লেখা ‘রবীন্দ্রসঙ্গীত’ আমার কাছে হয়ে ওঠে ‘রবিঠাকুরের গান’। তাঁর গান শুনতে শুনতেই রবীন্দ্রনাথ আমার কাছে একদিন হয়ে ওঠেন ‘রবিঠাকুর’। সেই বয়সে সংগীতের নান্দনিকতার সমঝদার না হলেও, সেই তখনই বুঝতে শুরু করেছিলাম, এ গান আমাদের সকল দুঃখের ‘শুশ্রূষা’। একদিন, এই গানই হয়ে উঠল আমার একলা থাকার নিভৃত আশ্রয়! শুরুটা বেশ মনে আছে, এক মেঘ মন্দ্রিত বাদল দিনের ভোরে রোজকার মতো বাবা গান শুনছেন। সেদিন রেকর্ডে পান্নালাল অথবা ধনঞ্জয়-হেমন্ত নয়, অচেনা, একজন অন্য লোকের গান। কেমন যেন বেশ ভারী, ভরাট গলা। জানলার বাইরে হাওয়ার শব্দ সরিয়ে গানের কথাগুলো শোনার চেষ্টা করছি, হঠাৎ বাইরে- দূরে কোথাও আকাশ আলো করে বাজ পড়ল! আর ঠিক তখনই কানে এল লোকটা গাইছে ওই গানটা, ‘বহুযুগের ও পার হতে আষাঢ় এল আমার মনে’। মনে হল, লোকটার গলায় কথাগুলো যেন বাইরের বৃষ্টির সঙ্গে মিলেমিশে গিয়ে একটা ছবি এঁকে দিল আমার মনে। আর আমি বালিশটাকে আঁকড়ে, স্বপ্নে পাওয়া সেই জলছবিটার ভিতর ভিজতে ভিজতে ঢুকে পড়লাম একটু একটু করে— মেঘের ঘটায় ‘রেবানদীর তীরে’।
কেদারা রাগে গাঁথা, কবির ৬১ বছর বয়সে লেখা, বর্ষার এই গানের সঞ্চারীর পর আভোগটি অবশ্য সেই সময়, সে বয়সে মনের গভীরে আঁকা জল রঙা ছবির ডিটেল এনে দেয়নি। কেবলই মনে হত, রেবা নদীর তীরের কথা...! কোথায় সে নদী, কেমন তার চলন বাঁক? শান্তিনিকেতনে তারপর আরও এক, এমন বাদল দিনে, সঙ্গিনীর গহন চোখের দিকে তাকিয়ে মনে পড়েছিল এই গানেরই আভোগের কথা। সুদূরের স্মৃতি থেকে কানে ভেসে এসেছিল জর্জ বিশ্বাসের মন্দ্রকণ্ঠের সুর। ‘মালবিকা অনিমিখে চেয়ে ছিল পথের দিকে,/ সেই চাহনি এল ভেসে কালো মেঘের ছায়ার সনে’। মনে হয়েছিল এবার আমার জল ছবিটায় ডিটেলিংগুলো জুড়ে দিল যেন কেউ! এবং আবারও তিনি। জর্জ বিশ্বাস!   
দেবব্রত বিশ্বাস বলার চাইতে কেন জানি না, আমার ‘জর্জদা’ বলতেই ভালো লাগে। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেমন ‘মোহরদি’ বলি। নিজের অভিজ্ঞতায় বলছি, সামনাসামনি বসে গান শোনার সৌভাগ্য না হলেও দারুণ এক আত্মীয়তার জায়গা, নির্ভরতার জায়গা এখনও এই প্রজন্মের কাছেও ‘জর্জদা’। মুখোমুখি অথবা সাইবারে আমার স্বজন - বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, এই পরম আত্মীয়তার অনুভব আমার একার নয়, তাদেরও। কবির সুমন যেমন এই প্রজন্মের অনেকের ‘ধর্ম’, জর্জ এখনও একেবারে এই প্রজন্মের অনেকের কাছে নিভৃত আশ্রয়। গানের তরী বেয়ে অন্তরমহলের আনাচকানাচ বদলের ছোঁয়াচ বোধহয় এমন করেই লাগে। মন এসে লাগে মনের কিনারে।
শান্তিনিকেতনে শ্যামলীদি মানে শ্যামলী খাস্তগীর, ওঁর মুখে শুনেছি জর্জদার অনেক কথা। জর্জদা শান্তিনিকেতন প্রথম আসেন এক ডিসেম্বরে। আশ্রমের পৌষ উৎসবে। তখন মেলা বসত উত্তরায়ণ সংলগ্ন মাঠে, যা এখন পুরনো মেলার মাঠ নামে পরিচিত। অবশ্য তাঁর শান্তিনিকেতনে আসার বহু আগেই শোনা হয়ে গিয়েছিল আশ্রমের গান-প্রকৃতি ও উৎসবের কথা। সেটা কিশোরগঞ্জেরই ছেলে, তাঁর থেকে বয়সে ছোট, ইন্দুভূষণ রায়ের কাছে। ইন্দুভূষণ সে সময় বিশ্বভারতীর ছাত্র ছিল। জর্জ তাঁকে ‘গুপাল’ বলে ডাকতেন।
শান্তিনিকেতন আশ্রমের প্রথম স্মৃতির কথা লিখতে গিয়ে জর্জ লিখছেন, ‘এই ইন্দুভূষণের কাছেই আমি শান্তিনিকেতনের পৌষ উৎসব, পৌষ মেলা, বসন্তোৎসব, বর্ষামঙ্গল এবং ভরসামঙ্গল জাতীয় নানা উৎসবের নানা গল্প শুনতাম। ব্রাহ্মসমাজের গন্ডীর মধ্যে বাস করে এবং বড় হয়ে শুধু মাঘোৎসব আর ভাদ্রোৎসবের কথাই জানতাম। ইন্দুভূষণের মুখে শান্তিনিকেতনের এই উৎসবগুলির গল্প ও বিবরণ শুনতে শুনতে আমার মনে খুব উৎসুক্য জেগেছিল’। একটা সময় জর্জ প্রায় প্রতি বছর বিশ্বভারতীর নানা উৎসব অনুষ্ঠানে এসেছেন। একবার ইন্দুভূষণ আর তাঁর বন্ধুরা কলাভবনে জর্জকে মধ্যমণি করে গানের আসর বসালেন। জর্জ অবশ্য সেবার শ্রোতাদের রবীন্দ্রনাথের গান শোনাননি। গেয়েছিলেন সুরসাগর হিমাংশু দত্তের সুরে দুটি গান। এবং শচীনকর্তার কয়েকটি গান।
জর্জ বিশ্বাসের গলায় যত রবিঠাকুর শুনেছি কেবলই মনে হয়েছে ফিরে ফিরে শুনি। ফলে, রাতভর একই গান বারবার শুনতে হয়েছে। এখনও শুনি, শুনছি, শুনতে হয়। যাঁরা এমন ক’রে গান শোনেন, জানেন এতে একই গান অন্তরমহলে নতুন নতুন অর্থ, অভিঘাত তৈরি করে। কবির প্রথম দিকে লেখা, ‘সাধনা’-য় প্রকাশিত মিশ্র বেহাগ রাগে ঢালা, ‘শুধু যাওয়া আসা, শুধু স্রোতে ভাসা’ গানটি যেমন। ‘শুধু দেখা পাওয়া, শুধু ছুঁয়ে যাওয়া,/শুধু দূরে যেতে যেতে কেঁদে চাওয়া,/শুধু নব দুরাশায় আগে চ’লে যায়’। অন্তরায় এসে জর্জদার গলায় এই ‘ছুঁয়ে’ কথাটিতে এক অলীক স্পর্শ লাগে শরীরে। এ অনুভব বারবার শুনতে শুনতেই হয়েছে, হয়ত অনেকেরই হয়েছে। শিল্পী নিজেও তাঁর ‘ব্রাত্যজনের রুদ্ধসংগীত’-এ এক জায়গায় লিখছেন, ‘সুরের মধ্যে কী যেন একটা মাধুর্য ছিল, যা আমার হৃদয়কে অত্যন্ত গভীরভাবে নাড়া দিত’। এই গানেরই আভোগের চার লাইনে ওই ‘আধ’ কথাটির চারবার ব্যবহার যেমন। অর্থ বদল ও শব্দের মাধুর্য যেন থ্রোয়িং-এর মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেন জর্জ। এই সময়ের অনেকে অন্য ব্যাখা দিলেও, আমার মনে হয় বহুশ্রত হলেই কেবল বোঝা যায় জর্জদার এই অনন্যতা। এবং রবীন্দ্রনাথের গানের বহুস্তর খুলে যায় এভাবেই।
এমনি করেই একে একে শুনে ফেলি ‘আজ জোৎস্না রাতে’, ‘মহারাজ একী সাজে’, ‘এ শুধু অলস মায়া’, ‘আছ আকাশপানে তুলে মালা’, ‘তার চোখের চাওয়ায় হাওয়া’, ‘এখন আমার সময় হল’, ‘একী গভীর বাণী এল’, ‘সকরুণ বেণু বাজায়ে কে যায়’, ‘আবার এসেছে আষাঢ়’, ‘আমার যে দিন ভেসে গেছে’, ‘ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো’। আর শুনতে শুনতে ভেসে যাই অফুরান এক আনন্দগানের যাত্রাপথের দিকে। কেবলই মনে হয়, এতোদিন গান পড়তে পড়তে যে অর্থ জেনেছি, ভুল জেনেছি, ভুল! রবিঠাকুরের গানের শব্দে-কথায়- সামান্য যতি চিহ্ণে যে এমনতরো অনুভব লেগে আছে, তার লাবণ্য-প্রভা এই মানুষটির গানেই। শান্তিনিকেতনের পুরনো মানুষদের কাছে শুনেছি, আশ্রমে জর্জের প্রধান কাজই ছিল রবীন্দ্রনাথের গানের স্বরলিপি সংগ্রহ। তাঁর মতো এমন অনেকেই এই কাজটি করতেন। যেমন, দক্ষিণীর প্রতিষ্ঠাতা শুভ গুহঠাকুরতা। তিনিও এমনি করেই গানের স্বরলিপি সংগ্রহ করেছিলেন দীর্ঘ দিন ধরে। জর্জদা পুলিন বিহারী সেনের বাসায় বসে ‘আনন্দসংগীত পত্রিকা’ বা কখনও কারও ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকেও স্বরলিপি লিখে নিতেন। এ কথা তাঁর নিজের লেখাতেও রয়েছে।
কেন জানি না, নিয়ত প্রেম আর দুঃখের পরজ টানে জীবনের বাঁকে, অচেনাকে চিনতে চিনতে জর্জদার এক একটি গান নতুন করে বুঝি ফিরে আসে আমার কাছে। রক্তকরবীর বিশু পাগলের ‘ও চাঁদ, চোখের জলের লাগল জোয়ার’ গানটি যেমন। রোজকার অভ্যেস মাফিক ‘গীতবিতান’-এ গান পড়তে গিয়ে পিলু রাগের ছায়ায় গাঁথা কবির এ গানটি প্রথম আমি পড়ি কম বয়সে। কিন্তু যেদিন, চোখের সামনে বই রেখে গানটি জর্জ বিশ্বাসের গলায় শুনলাম, ভিজল। নিত্যসঙ্গী গীতবিতানের পাতা ভিজে একসা! আমার দু’ চোখের জলে এসে লাগল জোয়ার। আমি তো জানি না কী করে এমন হয়! স্থায়ীর প্রথম লাইনে ‘দুঃখের পারাবারে’ জায়গাটা বারবার শুনলাম। ওই ‘পারা’ কথাটার অনতিপরেই ‘বারে’ কথাটার মৃদুল গমকে যেন বুক কেঁপে উঠল! অন্তরায় প্রতিটি শব্দেই আমি কেঁদেছি। আর সজল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকেছি, জর্জদা’র এঁকে চলা দূর নীলিমায় ছবির দিকে। অনিমিখে আমার তাকিয়ে থাকা। ঝাপসা ফ্রেমে হাওয়ায় হাওয়ায় অকূলে ভেসে চলা নিঃসঙ্গ এক তরীর দৃশ্যকল্প। একসময়, সঞ্চারীর ‘আমি’ শব্দটার ভিতর যে আকুলতা তা আভোগে এসে পথ-হারানোর অধীরতায় যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। দিক ভোলাবার একলা পাগল আমাকেও যেন এনে ফেলল অচেনার ধারে!
মনে পড়ছে পূজা পর্যায়ের এমন আরও একটি গানের কথাও। ‘নয়ন ছেড়ে গেলে চলে’। এ গানের স্থায়ীতে ‘ছেড়ে গেলে চলে’-র যে সুর সুষমা, তার ভঙ্গিতেও দুঃখ লেগে আছে। জর্জদার গান শুনবেন, খেযাল করবেন, সেই দুঃখের পরশমণি সঞ্চারীতে ‘ব্যথা’ কথাটির মধ্যে গড়িয়ে এল অশ্রুবিন্দুর মত যেন। হৃদয়ের কোন গহন থেকে উঠে এল স্বরগুলি! চমকে উঠি আবার আভোগে ‘শ্রবণে’ কথাটিতেও। কোন দূরাগত সুর শোনার ব্যাকুল আর্তি কানে বাজে!
এমন লাগে আমার ‘গীতিমালিকা’-র একটি প্রেমের গানও। ‘তুমি তো সেই যাবেই চলে’। ‘যাবেই’ কথাটির মধ্যে পাই চির-বিচ্ছেদের শ্বাসধ্বনি। খাদের অতল থেকে পরের কথাগুলি তাই বলেন জর্জ, ‘কিছু তো না রবে বাকি’। পরের লাইনে ‘ব্যথা’ শব্দটির উচ্চারণ বুকে ‘বড় বেদনার মতো করে বাজল। আবার সঞ্চারীতে ‘একা’ কথাটিতে এসে অনুভব হয় চির একাকীত্বের নিঃসঙ্গ যাপন। ‘আমার সকল দুঃখের প্রদীপ জ্বেলে’ বা, ‘কেন তোমরা আমায় ডাকো’-র মধ্যে, অথবা, ‘যে রাতে মোর দুয়ারগুলি’-র অন্তরমহল আবিষ্কার আমার এই ভাবেই। আর এভাবেই জর্জ বিশ্বাস শুনতে শুনতে আমি রবিঠাকুরের গানে পাই ‘প্রতিক্ষণের পরিম্লান পরাজিত যাপনের পাংশু দৈনন্দিনে’-র শুশ্রূষা।
এই লকডাউন পর্বে একলা থাকার নিভৃত আশ্রয়ও তাঁর সেই গান!



Post a Comment

2 Comments

  1. বড় ভালো বললে

    ReplyDelete
  2. অপূর্ব লেখা, অনেক কিছু জানলাম।

    ReplyDelete