বইপাড়া

গ্রন্থনির্মাণ-সংস্কৃতি ও রবীন্দ্রনাথ 

মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় 


‘পূর্ববঙ্গে আমাদের বই প্রচারের কোনও বিশেষ উদ্যোগ নেই, পূর্ববঙ্গের প্রকাশকেরা নূতন উদ্যমে অন্তত প্রথমটা একটু চেষ্টা করবেন সন্দেহ নেই। সুবিধা এই যে, তাঁরা তোমাদের কাছে বিক্রির জন্য তো বই দেবেনই... তারপরে তাঁদের পূর্ববঙ্গের বাজারেও নানাদিক দিয়ে চেষ্টা করবেন। দুদিকেই বাজারটা পাওয়া যাবে।... একবার কালীমোহন অতি অল্পকালেই খুব সংকীর্ণ স্থানের মধ্যে আমার বিস্তর বই বিক্রি করে দিয়েছিল, তার থেকে আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে পূর্ববঙ্গে আমাদের field of operation করতে পারলে বই বিক্রির ব্যবসা নিশ্চয়ই এখনকার চেয়ে বেশি জমিত’। কায়েমি ব্যবসাবুদ্ধির এই চিঠি যিনি লিখেছেন, বাঙালি তাঁকে অবশ্য ‘ঠাকুর’ বা ‘গুরুদেব’ বলেই চিরকাল জেনে এসেছে। যেন শান্তিনিকেতন ভাষণমালার মতো গহনকথাই বলেছেন শুধু তিনি সারাজীবন। আরও লক্ষ করার বিষয় হল, মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়কে এই চিঠি যখন লিখছেন রবীন্দ্রনাথ তখন তাঁর কাব্যে চলছে ‘গীতিমাল্য’-এর পর্যায়। এই চিঠির উপলক্ষটা একটু বলা দরকার। ঢাকার অতুল লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী অতুলচন্দ্র চক্রবর্তীর বড় সাধ ছিল তাঁর প্রকাশনা থেকে রবীন্দ্রনাথের কোনও বই প্রকাশিত হোক। এ দিকে মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের ইণ্ডিয়ান প্রেসের সঙ্গে ততদিনে রবীন্দ্রনাথের একটা প্রকাশনা-সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আসন্ন বিদেশ ভ্রমণের জন্য তখন তাঁর অনেক টাকা-পয়সাও দরকার। সে জন্য নতুন বইয়ের স্বত্ব আগ্রহী অতুলচন্দ্রকে দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে মনে মনে কিঞ্চিৎ হিসাব-নিকাশ করে নিচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ। আর একটি চিঠিতে এ-ও লিখছেন, “আমি তো সেই প্রকাশককে লিখে দিয়েছি। ...আমি ‘জীবনস্মৃতি’-র জন্য ২৫০০ টাকা চাইব। আর যদি ওর সঙ্গে ‘ছিন্নপত্র’ জুড়ে দিই তাহলে ৩০০০ টাকা।”
আশা করি, বই-ব্যবসার কথাপ্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথকে টেনে আনার জন্য রবীন্দ্রানৌচিত্য দোষে তাঁর ভক্ত-পাঠক আমাকে অভিযুক্ত করবেন না। এমন পাটোয়ারি বুদ্ধির পরিচয় আরও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাঁর চিঠিপত্রে। ১৮৯৯ সালে বন্ধু প্রিয়নাথ সেনকে লেখা একটি চিঠিতে তাঁর প্রকাশিতব্য গল্প-সংকলনের মূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে কবি বলেন, ‘এক টাকা বারো আনা দাম যদি অধিক মনে হয় ত দেড় টাকার কম দাম কিছুতেই করব না। ...অবশ্য বই কাউকে, বিতরণ করব না’। খুব সচেতন ভাবেই তাঁর নাম নেওয়া এটা স্মরণ করিয়ে দিতে যে, বাঙালি তার ‘গুরুদেব’-এর ভাবের ঘরে সিঁধ কেটেছে অনেক অথচ অপরিসীম পারদর্শিতার সঙ্গে ভুলে থেকেছে উদ্যোগী এবং কর্মীপুরুষ রবীন্দ্রনাথকে।
শুধু বইয়ের বাণিজ্যিক দিকই নয়, গ্রন্থনির্মাণের একটা স্বতন্ত্র সংস্কৃতি যে ১৯২৩ সালে বিশ্বভারতীর নিজস্ব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠার সৌজন্যে গড়ে উঠতে পেরেছিল, তার জন্যও রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর যোগ্য সহযোগীদের কাছে বাঙালির কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। গ্রন্থনির্মাণ-সংস্কৃতি বলতে অবশ্য শুধু ‘বুকমেকিং’ বোঝায় না। রচনা, সম্পাদনা ও পরিবেশনার প্রতিটি পর্যায়ে উপনন্দপ্রতিম নিষ্ঠা না-থাকলে বই প্রকাশের আয়োজন সাংস্কৃতিক উপলক্ষ্য বা উপাদান হয়ে উঠতে পারে না। লক্ষ্মী আর সরস্বতীর মধ্যে বস্তুত এখানে কোনও বিরোধই নেই।
উনিশ শতকেই অনেক বাঙালি প্রকাশক এটা উপলব্ধি করেছিলেন। বিশ শতকের গোড়ার ইতিহাসেও তার অনেক সাক্ষ্য আছে। গড়বাঙালি বিদ্যাসাগরকে দয়ার সাগর করুণাসাগর বলে স্তব করেছে যত, বাংলা প্রকাশনা ক্ষেত্রে তাঁর অবদান নিয়ে তত বেশি কথা কখনও বলেনি। ‘বর্ণপরিচয়’-এর লেখক যে নিজের প্রেস থেকে লোকপ্রিয় ‘বিদ্যাসুন্দর’ কাব্যও ছেপেছিলেন, সে কথা ভুলে গেলে চলবে কেন? বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকায় গত শতকের গোড়ার দিকে মুদ্রণ-প্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের প্রকাশনা ক্ষেত্রেও যাতে তার সুফল সমান ভাবে আদায় করে নেওয়া যায়, সে-ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথের মতো অনেকেই যথেষ্ট তৎপর ছিলেন। নিজের পুত্র, জামাতা এবং বন্ধুপুত্রকে আমেরিকা থেকে আধুনিক কৃষিবিদ্যা শিখিয়ে এনেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এ কথা আমরা সবাই জানি। এই সঙ্গে এ কথাটা স্মরণে রাখা জরুরি যে, আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে কেউ কেউ মুদ্রণ ও প্রকাশনবিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠুক, এমনটাও তিনি চেয়েছিলেন। জার্মানি থেকে দৌহিত্র নীতীন্দ্রনাথকে ১৯৩০ সালে একটা চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘লাইপজিগে শুধু কেবল [বই] ছাপানো নয় Book Publishing-ও শিখতে পারবি...’। বই ছাপানো আর Book Publishing যে এক জিনিস নয়, রবীন্দ্রনাথের এই চিঠিতে তার ইঙ্গিত ছিল। অক্ষর সংস্থাপনের পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক জায়গায় চিত্র-সংযোজন যে মোটের উপর টেক্সটের আবেদন অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে, এ উপলব্ধি ছিল রবীন্দ্রনাথের। ১৯১২ সালে আমেরিকার আরবানা থেকে মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়কে একটা চিঠিতে লিখেছেন, ‘এখানকার সবচেয়ে ভালো ছাপাখানার স্কুলের অধ্যক্ষ বলেছেন, যদি তিনি ভারতবর্ষ থেকে উপযুক্ত ছাত্র পান তা হলে তাকে পাকা করে শিখিয়ে দিতে পারবেন... এর মধ্যে শেখবার বিস্তর আছে... সেটা আমাদের না জানা থাকাতে এ সম্বন্ধে আমরা বহুদূরে পিছিয়ে পড়ে আছি। Type foundry জিনিসটা ভারি শক্ত, ওর মধ্যে বিস্তর কলাকৌশল আছে। আমারও মনে হয়, ছাপাখানার কাজ শেখার চেয়ে এইটে আমাদের পক্ষে আরও দরকার। তোমরা নিজে অথবা আর কাউকে পাঠিয়ে এই কাজটা শিখিয়ে নিতে পার না?’ মুদ্রণের প্রাথমিক শিক্ষা বাঙালি আয়ত্ত করেছে এই সময়ের ঢের আগেই। এমনকী সচিত্র গ্রন্থের ধারণাও বাঙালির ছিল। তবু উন্নততর যে বিদেশি প্রযুক্তি, তা বাঙালি রপ্ত করতে শিখুক এমন একটা আকাঙ্ক্ষা রবীন্দ্রনাথের ছিল। লেখার সঙ্গে রেখার যুগলবন্দি হলে টেক্সট কতটা আলাদা মাত্রা পায়, তা পরশুরামের গল্পের সঙ্গে যতীন সেনের ছবির তাল-সংগত দেখলেই বোঝা যায়। কিন্তু ভাল প্রকাশনা তাকেই বলে যেখানে অপ্রয়োজনে ছবির ব্যবহার হয় না। ‘জীবনস্মৃতি’ প্রথম প্রকাশের সময় (১৯১২) তাতে ২৪টি আর্ট প্লেট যুক্ত করা হয়েছিল, যার ২৩টিই গগনেন্দ্রনাথের আঁকা। ছবিগুলি রবীন্দ্রনাথের পছন্দও হয়েছিল তা বোঝা যায় বিদেশ থেকে চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা একটি চিঠি থেকে। কিন্তু তার পর রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় প্রকাশিত কোনও মুদ্রণে গগন ঠাকুরের ছবিগুলি আর ছাপা হয়নি। এর কারণ কী তা রবীন্দ্ৰজ্ঞেরা বলতে পারবেন, তবে আমাদের মনে হয় ‘জীবনস্মৃতি’ নামক যে বইটিতে জীবনের তথ্যমূলক অংশ যথাসম্ভব বাদ দিয়ে আত্মজীবনীর বিকল্প একটা প্রতিমান পেশ করতে চাইছিলেন রবীন্দ্রনাথ, তাতে ওই ছবিগুলো হয়তো বেসুরো বাজছিল তাঁর কাছে। কেননা, গগনেন্দ্রর ছবি অনুসরণ করেছে জীবনের এপিসোড, আর রবীন্দ্রনাথ ‘জীবনস্মৃতি’-তে চাইছিলেন এপিসোডিক প্যাটার্ন থেকে জীবনীর মুক্তি।
এই হল গ্রন্থ-পরিকল্পনার সেই ঔচিত্যবোধ যা না-থাকলে নেহাত ‘বই ছাপানো’ কখনও ‘গ্রন্থনির্মাণ সংস্কৃতি’ হয়ে উঠতে পারে না। ধরা যাক, কোনও নামী প্রতিষ্ঠান থেকে দামে ও বহরে খুব চওড়া একটা ‘গীতাঞ্জলি’ প্রকাশিত হল। হয়তো ছবিতে ফ্যাক্সিমিলিতে অলংকৃত ওই বই কার্যকারিতা এবং নান্দনিকতার দিক থেকে আপাতভাবে সুশোভন; কিন্তু তারপরও সচেতন পাঠকের অস্বস্তি সম্পূর্ণ দূর হয় না সেই ওজনদার বইটি হাতে নিয়ে। পাঠক তেমন সিরিয়াস হলে জানতে চাইবেন, বইটিতে ব্যবহৃত কবির পাণ্ডুলিপির ফ্যাক্সিমিলিগুলো খসড়ার না প্রেস কপির? কিংবা ব্যবহৃত ফোটোগ্রাফের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কবিতাটিরই বা সম্পর্ক কী? যদি নিতান্ত আলংকারিক কারণে সেখানে ফোটোগ্রাফ বা ছবির ব্যবহার হয়ে থাকে তাহলে এমনিতে কিছু বলার থাকে না; তবে আপত্তি একটা উঠতেও পারে এই কারণে যে, সেই ছবি পুরোভাগে থেকে সঙ্গের কবিতাটি সম্পাদক যে-ভাবে পড়েন, সেই পাঠ পাঠকের উপর অজান্তে চাপিয়ে দিতে পারে। সম্পাদক যদি গোড়াতেই এই সব অলংকরণের যাবতীয় তথ্য এবং উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে দেন, তা হলে অবশ্য পাঠকের পক্ষে সেই সম্পাদকীয় নীতি অনুসরণ করার অথবা না-করার একটা সুযোগ তৈরি হয়। আক্ষেপের কথা হল, বাংলা প্রকাশনার ক্ষেত্রে পাঠকদের প্রতি এই রকম দায়িত্ববোধের তেমন পরিচয় খুব একটা চোখে পড়ে না। বিশেষ করে সম্পাদিত ও সংকলিত বইয়ের ক্ষেত্রে এই ব্যাধি যেন সংক্রামক হয়ে উঠছে ক্রমশ। ইউজিসি-র গ্যাঁড়াকলে পড়া কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রমোশন-অভিলাষী অধ্যাপকদের একাংশের সৌজন্যে কলেজ স্ট্রিট এখন বহুপ্রসবিনী। আর তাতে ‘বই-ছাপানো’ থেকে ‘নির্মাণশিল্প’-এর বহুমাত্রিক দ্যোতনাটাই যাচ্ছে হারিয়ে। অবশ্য অধিক ফলনশীলতার সঙ্গে উচ্চ ফলনশীলতার বিরোধ থাকতেই হবে এমন নয়। আমাদের বক্তব্য এ-ও নয় যে, পঞ্চাশ-ষাট বা একশো বছর আগেই বাংলা বই-প্রকাশনার স্বর্ণযুগ ছিল। সতীনাথ ভাদুড়ির ‘জাগরী’-র মতো উপন্যাস, তা সে যেখান থেকেই হোক, পিসবোর্ডের কভারে অতি অযত্নে প্রকাশিত হয়েছিল— সে ইতিহাস আমাদের সবার জানা। অতুলচন্দ্র গুপ্তের নজরে না পড়লে এ উপন্যাসের ভাগ্যে কী ঘটত বলা মুশকিল। ইদানীং হাতে গোনা কয়েকটি বাংলা প্রকাশনার কাজ দেখে খানিকটা হয়তো আশ্বস্তও হওয়া যায়, কিন্তু গ্রন্থ-পরিকল্পনা বা সম্পাদনার প্রশ্নে কলেজ স্ট্রিটের মাইণ্ডসেট যে গত দু’দশকে খুব বদলাতে পেরেছে ততটা ভরসার কথা বলি কী করে? দু’দশকের কথাটা এল, কারণ, এই সময়ের মধ্যেই বোঝা গেল কম্পিউটারের বদান্যতায় খুব সহজে যে-কোনও বইয়ের একটা বাহ্যিক সৌষ্ঠব আনা সম্ভব। তাতে আপত্তিরও কিছু থাকতে পারে না। কিন্তু কারিগরি বিদ্যা আর শিল্পের মধ্যে যে একটা তফাত থাকে, আশা করি প্রকাশকেরা সে কথাটা মানবেন।
আসলে প্রশ্নটা মানসিকতার। পাঠককে আমরা নিতান্তই কাস্টমার ভাবব, না কি আমাদের আরব্ধ পরিকল্পনার অন্যতম শরিক বলে মেনে নেব— একবিংশ শতকের বাংলা বইয়ের প্রকাশককে সেইটা আগে ঠিক করে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিশ্বায়নের পৃথিবীরও এক রকম স্বতন্ত্র কমার্শিয়াল rhetoric আছে, বাংলা বইয়ের জগৎ তার থেকে খুব বেশিদিন দূরে থাকতে পারবে না।
পাঠকসংখ্যা তুলনায় কম— এমন একটা প্রতিযুক্তি এ ক্ষেত্রে খাড়া করা হতে পারে অবশ্য। কিন্তু এই খঞ্জ যুক্তি খুব বেশি গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ, পাঠকরা কী চান, সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিক্রমে তা যাচাই করে দেখার অভ্যাস এখনও রপ্ত হয়নি কলেজ স্ট্রিটের। দ্বিতীয়ত, ভাল বই মানেই যে গ্লসি পেপার, হরেক প্রিন্ট আর দেদার দাম— এই সংস্কার থেকেও তার মুক্তি ঘটেনি। এমন তো হতেই পারে যে, পাঠক চাইছেন তুলনামূলক কম দামে, একটু কম চকচকে কাগজে ছাপা পরিচ্ছন্ন ও সুসম্পাদিত এমন একটা বই, যাতে মুদ্রণ-প্রমাদ নেই কিন্তু জ্ঞাতব্য উপাদান আছে প্রভূত! বাংলা বইয়ের বাজার সেই পাঠকরাই তো আসলে ধরে রাখেন বছরভর। বারো বা ষোলো দিনের কার্নিভালে তাঁদের কথা ভুলে গেলে চলবে কেন?
বসন্তের দখিনা বাতাসের সঙ্গে বিস্তর নগর-আঁধারিয়া ধুলো ছড়িয়ে প্রতিবারের মতো এবারও শেষ হবে কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলা। কিন্তু বাংলা প্রকাশনার যথার্থ প্রাণের বসন্ত আসবে কবে? যে মানুষটির প্রলম্বিত দেড়শো বছর  উদ্‌যাপন ঘিরে অনেক বাণিজ্যের পসরা সাজাল কলেজ স্ট্রিট, তিনিও যে প্রকাশনার সাবালকত্বই প্রত্যাশা করেছিলেন, তা-ই বা আমরা ভুলে গেলাম কী করে?

Post a Comment

0 Comments