ব্লগ : ওদের কথা/ ৫

ওদের কথা/ ৫ 

২৮ মার্চ ২০২০

মঞ্জীরা সাহা


টিভিতে ফেভারিট সিরিয়ালের পুরোনো এপিসোড এইমাত্র শেষ হয়ে গেল। দুই বরের কে আসল কে নকল কনফিউশন জিইয়ে রেখে আগামী পর্বের ক্লিপিং এ আরও একটু কৌতূহল জাগিয়ে  শেষ। ড্যান্সের রিয়ালিটি শো এর সুরু। মাঝে বিজ্ঞাপন বিরতি। সুইচ টিপে নিউস চ্যানেলে ঘোরাতেই ছবিটা কিরকম অচেনা। স্ক্রিন জুড়ে শুধুই কালো কালো কালো ডটের চেয়ে একটু বড় বড় গোল গোল গোল। কয়েক সেকেন্ড লাগল বুঝতে ছবিটা কিসের। মানুষের ভিড়। থিকথিকে ভিড়। ২৪ তারিখ সারা দেশে লক ডাউন ঘোষণা হওয়ার পর বারবার ভিড় এড়াতে বলা হচ্ছিল। কত ভালো ভাবে লক ডাউন মানা হচ্ছে সেটা দেখাতে ড্রোন দিয়ে ফাঁকা রাস্তার ছবি ঘুরেফিরে দেখানো হচ্ছিল টিভিতে। এড়াচ্ছিলাম ভিড়। হঠাৎ ভিড়টা দেখে অস্বস্তিতে পড়লাম। এরা কারা ? যেখানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে এরা কারা এভাবে বোকার মতো ভিড় করছে!
নীচ দিয়ে হেডলাইন যাচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকেরা ভিড় করেছে বাস ধরার জন্য।
‘পরিযায়ী’ শব্দটা শুনলেই কিরকম সাদা সাদা পাখি মনে পড়ে যায়। দীঘির চারপাশ সাদা করে রাখা চিড়িয়াখানা বা অন্য বিল। এই ছবিতে অনেকগুলো রঙ অন্ধকারে ঘোরাফেরা করছে। রাতের অন্ধকারে ইলেক্ট্রিক লাইটের আলো পড়ছে ভিড়টার গায়ে। আলো আঁধারি জায়গাটাতে শুধুই মানুষের মাথা। সামান্য সামান্য অন্য রঙের জামার মধ্যে কালো কালো মাথা। ভিড়ের ভেতরে এক হাজার লোক হবে? না না! হাজার হাজার। এরা কোথায় ছিল! অদ্ভুত তো এরাই তো সব রোগ ছড়াবে। বিজ্ঞাপনগুলোতে বলা হচ্ছে ‘ঘরে থাকুন। সুস্থ থাকুন’। ঘরে থাকতে পারলোনা এরা!

নিজের বেড রুমে চা এর কাপে চুমুক দিতে দিতে এইসব প্রশ্ন গুলো যখন মাথায় ঘোরাফেরা করছে খবরটা শোনা গেল পুরোটা। এটা আনন্দ বিহার বাস টারমিনাসের ছবি। দিল্লী। এই বাস টারমিনাস থেকে উত্তর প্রদেশ সরকার তাদের রাজ্যের শ্রমিকদের জন্য কিছু বাসের ব্যবস্থা করেছিল। এখন আর বাস দেখা যাচ্ছে না। শুধুই মাথা। শরীর গুলো ভিড়ের ভেতর শুধু নড়ে চড়ে বেড়াচ্ছে। না শুধু পুরুষের মাথা নয়। তার সাথে কিছু ঘোমটা দেওয়া মাথাও ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে। ভিতরে ভিতরে মাঝে মাঝেই কিরকম একেকটা ছোট ফাঁক মতো। ওই ফাঁকটাতে হাইটে ছোট কেউ আছে। বাচ্চা কেউ। ব্যাগ বোঁচকা পিঠব্যাগ ট্রলি রেশন ব্যাগ কাপড়ের পোটলা আর কত রকমের বোঁচকা বস্তা দড়ি বাঁধা পুটলি ঘাড়ে মাথায় কাঁধে এদিক ওদিক হচ্ছে শুধু। এদিক ওদিক যে যার মতো ওই ভিড়ের মধ্যে শুধু নড়াচড়া করছে। এগিয়ে গিয়ে আবার মুখ ঘুরিয়ে ফিরে আসছে আগের জায়গায়। কে কোন দিকে এগোচ্ছে আর কোন দিকে ফিরছে তার ওই ভিড়ে তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে।
চ্যানেলটা চেঞ্জ করায় সামান্য একটু আলাদা ছবি। তিনটে চারটে লম্বা লাইন চলে গেছে অনেক দূর। লাইনের পাশ দিয়ে আবার সেই থিকথিকে ভিড়। ওইখানে চিৎকার চলছে। ভিড়ের আওয়াজটা সামান্য দু এক সেকেন্ড অন হয়েই আবার খবর পড়ার আওয়াজ। …ওয়ান থাউস্যান্ড… টু থাউসান্ড… টেন থাউস্যান্ড… পারহ্যাপ্স ফিফটিন টু টোয়েন্টি থাউসান্ড পিপল… সংখ্যাটা আসলে যে কত জানা যায় নি পরের দিন খবরের কাগজ পড়েও। ২৮ তারিখ সকালের দিক অবধি কিছু বাস ছেড়েছিল। আগের দিন থেকে ভিড় জমছিল ওই বাস স্ট্যান্ডে।
উত্তর প্রদেশ সরকার এক হাজার বাস ছাড়ার ঘোষণা করেছিল। কিছু বাস ছেড়েছিল। তারপর কোথায় কোন বাস! শুধুই মানুষ আর মানুষ। মানুষের লাইন এক কিলোমিটার দুই কিলোমিটার পাঁচ কিলোমিটার…।  ভিড় বাড়ছিল। সমুদ্রের মতো ভিড়টা কি শুধুই উত্তর প্রদেশ থেকে আসা লেবারদের?
ওই স্রোতের মতো মাথাগুলোর ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছে হয়তো উত্তরপ্রদেশের কাছেই তো বিহার পশ্চিমবঙ্গ ঝাড়খন্ড। ফিরতে হবে। একটা জায়গা চাই। বন্ধ হয়ে যাওয়া কাজের জায়গা থেকে নিজের জায়গায় গিয়ে বাঁচতে হবে কোনওরকমে। যে কোনও ভাবে নিজের গ্রামে বা তার কাছাকাছি একটা জায়গায় ফিরতে হবে। সেই কাছাকাছিটা যে আসলে কিলোমিটারের হিসেবে কতদূর তা কি আর হিসেব কষছে ওই মাথাগুলো ওই থিকথিকে ভিড়ের।
বাসের খবরটা রটেছিল দিল্লি আর তার আশপাশের জায়গায়। তাই দিল্লীর রাস্তা দিয়ে হাঁটতে শুরু করেছিল। হরিয়ানা ওল্ড দিল্লি নতুন দিল্লির ভেতর ভেতর কত কত ঠিকানা থেকে ওরা হাঁটা শুরু করেছিল বাসের আশায়। ওই আনন্দ বিহার বাস স্ট্যান্ড অবধি যদি পৌঁছনো যায় তবেই বাস পাওয়া যাবে। দিল্লির বেশ কিছু বাস রোড থেকে নিয়ে এসেছে দলে দলে মানুষকে বাস স্ট্যান্ড অবধি। বাকিরা হাঁটছিল সেই বাস স্ট্যান্ডএর দিকে। দশ কিলোমিটার কুড়ি কিলোমিটার ত্রিশ কিলোমিটার একশ কিলোমিটার বা আরও আরও বেশি। সব বন্ধ হয়ে গেছে দিনের পর দিন। দশদিন আগে থাকতেই আস্তে আস্তে সব বন্ধ হতে থেকেছে। চাল ফুরিয়েছে আটা ফুরিয়েছে। কোথাও গ্যাস ফুরিয়েছে। বাচ্চার খাবার ফুরিয়েছে। টাকা ফুরিয়েছে। নতুন মজুরী আর ঢোকেনি এসে পকেটে।
দিল্লী মনে পড়লেই মনে পড়ে ইন্ডিয়া গেট রেড ফোর্ট রাষ্ট্রপতি ভবন লোটাস  টেম্পল হুমায়ন টম্ব জামা মসজিদ অক্ষর ধাম আরও কত কত সব সাইট সিইং এর স্পট। ট্রাভেল এজেন্টের মুখে শোনা স্পটের নাম। ভালো ভালো হোটেলের নাম। মার্কেটের নাম। শপিং মলের নাম। রেস্তোরাঁর নাম।  এগুলোর বাইরে আরও অনেক অনেক জায়গা আছে। অনেক কারখানা আছে ঘুপচি ঘর আছে বস্তি আছে কন্সট্রাকশান সাইটের পাশেই যুজ্ঞি ঘর আছে।  মনে পড়ল সুন্দর বনে গিয়ে শুনেছিলাম জামা মসজিদের পাশেই অনেক অনেক লোকাল আইসক্রিম কারখানা আছে। সুপ্রিম আইস্ক্রিম রাজু আইসক্রিম মহারাজা আইসক্রিম আরও কিসব যেন নাম! রলিক মাদার ডেয়ারি বিগ ওয়ান্স এর বাইরে এরকম কত কত আইসক্রিম এর নাম আছে। গুগুলে সার্চ করলে ওগুলোর নাম পাওয়া যায় না। ওগুলোর বিজ্ঞাপন সেলিব্রিটিরা দেয় না। ওই জামা মসজিদ লাল কেল্লার সামনের গেটের বাইরে কুতুব মিনারের সামনে ওই আইসক্রিম গাড়ি গুলো ঘুরতে দেখা যায়। লাল কমলা হলুদ গোলাপি রঙের একটা জিভ ঠোঁট নড়ে ছড়ে ওঠে ওই রঙীন আইসক্রিম খেয়ে। সুন্দর বন এলাকার রাঙাবেলিয়া জটিরামপুর সর্দার পাড়ার কত কত ছেলে বুড়ো প্রতিবছর শীতের শেষে চলে আসে ওই আইসক্রিম কারখানা গুলোতে। জল বরফ রঙ ইলেক্ট্রিকের লাইন এর মাঝে দিন রাত কাজ করে ভেজা ঘা ওয়ালা হাত পা নিয়ে। ওদের সাথেই কাজে আসে বিহার ইউ পি থেকেও। আইসক্রিম বানায়। দিল্লীর চড়া রোদে ৪২ ৪৫ ডিগ্রি টেম্পারেচারে ফেরি করে বেড়ায়। গরম শেষে কাজ শেষে আবার ফিরে যায় নিজের জায়গায়।
দিল্লিতে হরিয়ানায় কত কত পঁচিশ ছাব্বিশ তলা বিল্ডিং গুলো উঠে গেছে তরতর করে। পুরনো দিল্লী নতুন দিল্লীতে কত কত মানুষ রিকশ টোটো অটো চড়ে বেড়িয়েছে। মার্কেটে গেছে। নেমন্তন্নে গেছে। পার্কে বসা প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গেছে। চড়া রোদে ক্লান্তিতে রাস্তার ধারের এনামেল কালারে ফলের ছবি আঁকা টিনের কাউন্টার থেকে লোহার জুসারে পেষাই করা জুস কিনে খেয়েছে কারুর হাত থেকে। বা কারুর হাতে বানানো দু টুকরো বরফ দেওয়া ঠান্ডা লস্যি। ওয়ান বি এইচ কে টু বি এইচ কে ফ্ল্যাট গুলো ঝকঝকে চকচকে হয়ে উঠেছে বছরের পর বছর। ঘরের মশা মাছি পোকা মাকড় মরেছে। নীচের কল থেকে বালতিতে বালতিতে জল উঠে গেছে চার তলা পাঁচ তলার উপরে উপরে। বৌদিদের জামা কাপড় পরিষ্কার হয়ে গিয়ে ভাঁজ হয়ে গেছে। খাবার তৈরী হয়ে গেছে। বাচ্চা গুলো বড় হয়ে উঠেছে। রঙ হয়ে গেছে বিল্ডিংএ । ভাঙা পাইপ জোড়া লেগে জল আসতে শুরু করেছে। আজ সব বন্ধ। আজ থেকে না গত দশ দিন থেকেই একে একে বন্ধ হতে শুরু হতে থেকেছিল।  ২১ দিনের জন্য সব বন্ধ হয়ে গেছে। ঘরের দরজা, ফ্যাক্টরির দরজা, কন্সট্রাকসান সাইটের দরজা, ছোটখাটো রাস্তার ধারে জামা কাপড় টুকিটাকি জিনিসের দোকান, টেলারিং এর দোকান সবে তালা পরে গেছে। অটোন টোটো রিকশ’র চাকা থেমে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে কাজের বাড়িগুলি। ওই সব বাড়ি গুলিতে এসেছিল বিহার ইউ পি ঝাড়খন্ড রাজস্থান হরিয়ানা পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাজের মেয়ে কাজের বৌরা।
ভিড় চলে আসছে তাই নানান রোড ধরে। নানান স্পট থেকে। ফ্ল্যাট বাড়ি কন্সট্রাকশান সাইট বন্ধ হওয়া ফলের দোকান ফ্রুট জুসের দোকান থেকে। একটা বাসে কত যেন লোক ধরে!। সিট বোধ হয় পঞ্চান্ন কি ষাটটা হবে। কাল থেকে ধরে গেছে অনেক লোক। যতটা ধরানো যায় বাসের সিটে মাটিতে সিঁড়িতে বাসের মাথায়। দিল্লির রোড থেকে বাস স্ট্যান্ড অবধি আসতে পেরেছে। আনন্দ বিহার বাস স্ট্যান্ড কৌশাম্বি বাস স্ট্যান্ডের  বাইরে অবধি এসে পৌছতে পেরেছে। কিন্তু তারপর?
সকাল থেকে  বাস রওনা হয়ে গেছে দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশের দিকে। কিন্তু সেটা সংখ্যায় কত? হাজার ছাড়বে বলা হয়েছিল। কিন্তু আসলে ছেড়েছে তার অর্দ্ধেকেরও কম। আর বাস! ভিড় তো বাড়ছে। নিউস চ্যানেলের ক্যামেরা ভিড় থেকে উঁচুতে উঠে ব্রিজের উপর থেকে ছবি তুলছে। উপর থেকে ওই মানুষের মাথা বোঁচকা পুটলি ব্যাগ ট্রলির ভেতর আর একটা জিনিস মাঝে মাঝে দেখা যাচ্ছে। পুলিশের লাঠি। উর্দি পরা পুলিশের হাতে লাঠি উঁচিয়ে আছে। লাঠি পড়ছে ওদের গায়ে। কিন্তু ভিড় আরও বাড়ছে। সামাল দিতে চাইছে পুলিস।
খবরে আবার শোনা যাচ্ছে পুলিস হিমশিম খাচ্ছে। আর যারা বাসের সিটে মেঝেতে ছাতে একটা মাত্র জায়গা পাওয়ার আশায় কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটে ভিড়ে গুঁজে মারণ ভাইরাসের ভয় না পেয়ে দিল্লির বাসে করে এসে জনসমুদ্রের মধ্যে মিশে গেছে! যারা কোন দিকে যাবে ভাবতে ভাবতে ব্রিজে উঠছে নামছে ডানে বায়ে সামনে পিছনে ঠেলা খাচ্ছে, নিজের বাড়ির মানুষ টাকে চোখে চোখে রেখে কোলের বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে সবে হাঁটতে শেখা বাচ্চাটার হাত ধরে ভিড়ের ভেতর বাস খুঁজেই চলেছে খুঁজেই চলেছে, তারা! তাদের জন্য ওই ভিডিওর ব্যাক গ্রাউন্ডে হিন্দি নিউজ চ্যানেলে যে কথা গুলো আসছে নিউজ রুম থেকে সে কথার বাংলা করলে হয়, করোনা সংক্রমক রোগ। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সকলকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। এই এদের থেকে সংক্রমণ অনেক দূর ছড়িয়ে যেতে পারে। এরা সোসাল ডিস্ট্যান্সিং এর পরোয়া না করে ভিড় বাড়াচ্ছে। ওরা ভিড় বাড়াচ্ছে। ওদের জন্য দেশের বিপদ আসতে পারে।
পুলিশ এবার পেরে গেল। লোহার রডের তৈরি বেরিকেড পড়ল আনন্দ বিহার বাসস্ট্যান্ডের আশপাশে। এনামেল কালারে গাজিয়াবাদ পুলিশ লেখা বেরিকেড।
ব্যাস! বাসস্ট্যান্ডের ভেতর পুরো ফাঁকা করা হয়ে গেছে। পুলিশের টহল ভেতরে। বাস আর এলো না। কোনও কিছু আর এলো না। ফাঁকা জায়গাটায় ক্যামেরা।  ব্যারিকেডের বাইরে মানুষ। ব্যারিকেডে হাত দিয়ে ঠেলে ওই ফাঁকা জায়গাটার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে আছে। মানুষের পিছনে মানুষ। ভিড়টা যে ঠিক কোন অবধি গেছে ক্যামেরার লেন্সে ধরছে না। ওই থিকথিকে ভিড়ের ভেতর গমগম করে কথার আওয়াজ হচ্ছে। কিচ্ছু শোনা যাচ্ছেনা কি বলছে ওরা। চোখ গুলো সব এদিকে। যত দূর ক্যামেরার চোখ যায় চোখগুলো সব এই ফাঁকা বাস স্ট্যান্ডের দিকে। লম্বা মানুষের নীচ দিয়ে আরও আরও মানুষ এদিকেই কি যেন দেখে যাচ্ছে। মানুষের মাথা দিয়ে শুরু হয়ে পিছন দিকে শুধুই বিন্দু বিন্দু বিন্দু। বিজ্ঞাপন বিরতি। লাইফ বয় নয়তো যেকোনো সাবান দিয়ে হাত ধোন। ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন…।
রাতের নাইট ল্যাম্প জ্বলে উঠল। স্যানিটাইজার ঘষে ঘষে কলের জলের ধারায় সুগন্ধী সাবানে হাত ধুয়ে ধুয়ে ঘরের ভেতর আমার দিন কেটে গেল অনেকগুলো।

Post a Comment

2 Comments

  1. খুব মরমি লেখা দিদি। ভালো লাগল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. শতানীক।লেখাটা পড়ার জন্য অনেকঅনেক ধন্যবাদ

      Delete