নতুন এক আরম্ভের জন্য আবীর মুখোপাধ্যায় কোনও কোনও সিনেমা থাকে, ছবি দেখে হল থেকে বের হয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করে না। কোনও বই হয়, শেষ করে সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে চুপ করে থাকি। সম্প্রতি বরানগরের রবীন্দ্রভবনে একটি নাটক দেখে এমন মনে হল— কথা বলিনি ঢের রাত অব্দি কারও সঙ্গে। নাটকের ভিতর ঘরের কথা ও উপকথন আমাকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল! বরানগর রবীন্দ্রভবন কানায় কানায় উপচে পড়া ভিড় নয়, বরং কিছুটা শূন্য অডিটোরিয়ামে দেখা হল ‘আর এক আরম্ভের জন্য’। নিবেদনে : স্রোত নাট্য একাডেমী (বরানগর)। এ লেখার প্রথম পর্বেই সেই কারণে পরিচালক বিমান চক্রবর্তীকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাখি এমন একটি…
দু’মলাটে সোমনাথ হোরের সাক্ষাৎকার এখন শান্তিনিকেতন ডেস্ক প্রকাশিত হল বিশিষ্ট সাংবাদিক, বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও রবীন্দ্রভবন গ্রন্থাগারের প্রাক্তন কর্মী স্বপনকুমার ঘোষের লেখা ‘সোমনাথ হোর : স্নেহ ও সান্নিধ্য’ শীর্ষক গ্রন্থ। প্রকাশক বইওয়ালা বুক ক্যাফে, রতনপল্লি, শান্তিনিকেতন। সম্প্রতি বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহের শান্তিদেব ঘোষ কক্ষে গ্রন্থ-প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বস্ত্র-কুটির ও হস্ত শিল্প মন্ত্রী শ্রীচন্দ্রনাথ সিংহ, বিশ্বভারতীর কলাভবনের অধ্যাপক সুতনু চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন অধ্যাপক কুন্তল রুদ্র এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী মানস ঘোষ। ম…
সোমনাথদা স্বপন কুমার ঘোষ শিল্পী সোমনাথ হোর-এর সঙ্গে প্রথম আলাপ-পরিচয়ের মুহূর্তটি আমার আমৃত্যু মনে থাকবে। হিসেবে দিন ঠিক মনে নেই। তবে সালটা আজও স্পষ্ট, ১৯৭২ সালের কথা। দেশের বিশিষ্ট চিন্তাশীল ব্যক্তিত্ব ও প্রবাদপ্রতিম প্রাবন্ধিক চিন্মোহন সেহানবিশ ও তাঁর সহধর্মিনী শিক্ষাব্রতী ও কলকাতার ‘পাঠভবন’ স্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা উমা সেহানবিশ শান্তিনিকেতনে এসেছেন, সেবারে উঠেছিলেন পূর্বপল্লিতে তাঁদের এক বন্ধুর বাড়িতে। আমাকে দেখা করতে যাবার জন্য খবর পাঠালেন। দেখা করতে গেলাম। নানা বিষয়ে কথা হওয়ার পর, চিনুদা ও উমাদি বললেন, “এবারে আমাদের বন্ধু সোমনাথ হোরে…
লালাদা আবীর মুখোপাধ্যায় মেঘের মিনার ছুঁয়ে রোদ-ছায়ার খেলা চলছে সারা বাগানে। যেন অলস, ‘ঝরা পাতার মতো’ একটি দিন। হাওয়ায় হাওয়ায় সওয়ার হয়ে পাতারা ঝরে পড়ছে। আর পড়ছে। নাম-না-জানা কত রঙিন পাখির ভিড় ‘রবিবার’-এ! ‘‘সে কেন রে করে অপ্রণয়/ তার উচিত নয়,/ জানি আমি তার সনে/ কভু তো বিচ্ছেদ নয়।’’ গ্লাসের মধ্যে আগে থেকেই গন্ধরাজ লেবু আর ফালি কাঁচা লঙ্কা ছিল। ভডকা ঢালতেই, অ্যাঙ্গুস্টুরা বিটারসের শিশি খুলে সুরায় মিশিয়ে দিলেন। তারপর, কথা আর কোহল জুড়ে জুড়ে দিনমান। হয়তো একটার পর একটা নিধুবাবু গাইছেন প্রিয় লেখক। কখনও ফিরছেন রবীন্দ্রনাথে— ‘‘ভালো তো গো বাসিলাম, ভালোবাস…
নিবিষ্টতাই আলোক সরকারের স্বর সুমন গুণ নিঃশব্দের ভাষায় যাঁরা কবিতা লিখেছেন, বাংলায়, এখনও পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে সবার আগে মনে আসে আলোক সরকারের নাম। কোনও কিছু হয়ে ওঠা নয়, না-হয়ে ওঠাও নয় তাঁর কবিতা। বিশুদ্ধ শব্দটির নানারকম ছায়া আছে, জটিলতা আছে, অর্থান্তর আছে। কিন্তু এই শব্দটি আলোক সরকারের কবিতার সঙ্গে কত তর্কাতীতভাবে মানিয়ে যায়! অন্য কোনও কবি, এমনকি জীবনানন্দ প্রসঙ্গেও বিশুদ্ধতার ধারণাটি এমন সমতলভাবে স্মরণীয় মনে হয় না। এখানে আলোক সরকারের সেই সুখ্যাত কথাটি মনে পড়বে : বন্যায় যে বিপর্যয় হয়, তার বিবরণ দেয় খবরের কাগজ; আর এই বিপর্যয়ে আমার মনখার…
ভাল দিন আমরা বানিয়ে নেব তড়িৎ রায়চৌধুরী আমরা যখন টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখা শুরু করি তখন ভেঙ্কসরকারদের পালা শেষ করে রবি শাস্ত্রীরা আসছেন। ব্যাটসম্যান জোরে হিট করলে শর্টের ফিল্ডার হেঁকে দিতেন, আর বাউন্ডারি লাইনের ফিল্ডার অপেক্ষা করতে, বল কাছে আসবে বলে। তারপর হাঁটু মুড়ে বসে, বল ধর্ দু’বার টিপ করে, ছুঁড়ে দিতেন। ক্রমে দিন বদলালো। চ্যানেলের সংখ্যা বাড়ল। পোশাক রঙিন হল। এখন আর কেউ অপেক্ষা করে না। ছুটে এসে চলন্ত বলকেই তুলে ছুঁড়ে দেয় উইকেটের দিকে। খেলা বদলে গেছে। দুনিয়া এখন বিশ্বাস করে, টান মারো খেলা ঘুরবে। করোনার প্রথম হল, দ্বিতীয় হল, শোনা যাচ্ছে মাস দ…
বেঁচে থাকার মতোই বেপরোয়া তাঁর কবিতা সুমন গুণ বাংলা কবিতায় নির্মলেন্দু গুণের একটি স্পষ্ট আর প্রকাশ্য অবস্থান আছে। সহজ কথা সরাসরি বলার মধ্যে অনেক ঝুঁকি থাকে। সারা পৃথিবীতেই সহজে লক্ষ্যভেদী বহু কবিতা লেখা হয়েছে, বাংলাতেও সুভাষ মুখোপাধ্যায়, অরুণকুমার সরকার থেকে শুরু করে এই সময় পর্যন্ত এমন অনেক কবির লেখাই আমরা পড়েছি, কৌণিক কোনও ধরন না রেখেও যাঁরা সফল হতে পেরেছেন। নির্মলেন্দু গুণ এই ঘরানার, সম্ভবত, জনপ্রিয়তম কবি। 'সুন্দর এসে থেমে আছে তার নাসিকার শেষ প্রান্তে নাকপাশা যেন সোনা দিয়ে মোড়া ঘুঘু চোখ ঘুমে বুঁদ, অথবা শীতের পিঁপড়ের মুখে আলতা মাখানো খুদ।…
প্রতীক্ষায় জীবন বাজি রাখতে পারি সুশোভন অধিকারী আষাঢ়ের প্রথম দিন। অফিসিয়ালি বর্ষার শুরু হল বুঝি। সেই কবে কালিদাসের যুগে বিরহী যক্ষ তার প্রিয়ের উদ্দেশে মেঘকে দূত করে খবর পাঠিয়েছিল। সেই আর্তি বোধহয় এখনও আকাশে ভেসে বেড়ায়। তবে আজ তার কাজ ফুরিয়েছে। বর্ষার মেঘ সরিয়ে জায়গা নিয়েছিল মরাল কপোতের মতো পাখি-পাখালির দল, তাদেরও রোমান্টিক পর্ব পেরিয়ে এখন ডাকবিভাগ ছাড়িয়ে কুরিয়ার সার্ভিস। আজ তাও নয়, ই-মেইল, মেসেজ, হোয়াটস-আপে বার্তার ছড়াছড়ি। এখন আর অপেক্ষা করতে হয় না আমাদের, খবর পাঠানোর পরেই ঠিন করে ঘণ্টি বাজিয়ে উত্তর এসে পড়ে। বড় দ্রুত, বড় চটজলদি। প্রাপকের সেই …
মণিকুন্তলা রায়ের দুটি কবিতা অস্পৃশ্য ছুঁৎমার্গের শেয়ার বাজারে ধস নামুক মর্মান্তিক রোগ বেশি দুঃসহ না অস্পৃশ্যতা সে ইতিহাস বলবে- কিন্তু, এ মৃত্যু অশোভনীয়! মৃত্যু আসুক, কিন্তু প্রিয়জন নাগালে থাকুক- নিমীলিত চোখ চুমে যাক এলোচুলে আঁকা কপাল বুক আঁকড়ে শেষ কাঁদা কেঁদে নিক পেটের সন্তান আলোকবর্ষ দূরে সরে সরে না গিয়ে প্রজাপতির পাতলা ডানার মতো নিরাপত্তা বলয়ের এপার থেকেই একবার আঁকড়ে ধরুক সীমন্ত সীমন্তিনীকে! এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে শেষ ছুঁয়ে দেখার আকুতি আঁধি শেষে, আঁখি জলে মিটুক! ঢক্কানিনাদের আড়ালে ব্যাধি অস্পৃশ্যতার জিয়ন কাঠি হওয়ার বিভীষিকা আনলে যে ইতিহাস ডুক…
জেলের চিঠি, কবির ক্ষত অভিমণ্যু পাঠক বাদশাহ্ বাহাদুর শাহ্ জাফর তাঁর জীবন সায়াহ্নে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, জীবনে বাড়তি যে চারদিন ভিক্ষা করতে চেয়ে নিয়েছিলেন, দু’দিন হারিয়ে গেছিল আশায়-আশায়, আর বাকিটা অপেক্ষায়। আরও আশা আরও অপেক্ষাকে ডেকে আনে, প্রশ্রয় দেয়। যেখানে কাজ খুব বাঁধাধরা, নেই বললেই চলে, সেখানে সময় পিছলে যায়, হাতের আঙুলের ফাঁক গলে, চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে। জেলের ভেতরের জীবনটা খানিকটা তেমনই। এমন করেই তাঁর জেলের স্মৃতিকথার বয়ানের ডালি সাজিয়েছেন, ভারভারা রাও তাঁর, ‘Captive Imagination: Letters from Prison’ বইয়ে। অন্যের মুখের ঝাল ন…
চিলাপাতায় দিনযাপন সুকন্যা দত্ত ‘‘গহন অরণ্যে আর বারবার একা যেতে সাধ হয় না- তবু যেতে হয় বারবার ফিরে যেতে হয়”.... অরণ্যের হাতছানি পেয়ে মন বাঁধা মানতে নারাজ। সবুজের আদিমতা, গহীন অরণ্যের রহস্যময়তা, বুনো ফুলের গন্ধ, নির্জনতা ভেদী পাখির কলতান প্রকৃতির কোলে বৈচিত্র্যের পটচিত্র রচনা করে। জঙ্গলের কাছে গেলে আমার হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়, বার বার। অরণ্য যত গভীর হয়, ততই তার রহস্যময়তা বাড়ে। নিবিড় অরণ্যে সূর্যের আলো অনেক কষ্টে পাতার চাঁদোয়া সরিয়ে মাটিকে ছুঁতে আসে, নতজানু হয় মাটির কাছে। জঙ্গলের শরীরে হাঁটতে হাঁটতেই শোনা যায় পাতার মর্মর ধ্বনি, লেখা হয় আরণ্যিক নোট…
হেমন্ত শ্রোতাদের বশ করে রাখতেন সুমন গুণ হেমন্ত মুখোপাধ্যায় বাংলা আধুনিক গানের সেই পর্বের কুশীলব, যখন কথা নয়, সুর আর গায়কীর দাপট গ্রাস করে নিয়েছে শ্রোতাকে। অন্য কিছু নিয়ে ভাবার মুহূর্তই তৈরি হত না। হেমন্ত শ্রোতাদের বশ করে রাখতে পারতেন, উত্তমকুমার যেভাবে রাখতেন দর্শকদের। ফলে ‘এই বালুকাবেলায় আমি লিখেছিনু...’ বা ‘জানিতে যদি গো তুমি, পাষানে কী ব্যথা আছে, গোপন বাণীটি তারই, তোমার পরশ যাচে...’ জাতীয় গানের কথা আদৌ কিছু বলছে কিনা সেদিকে আমাদের মন জাগ্রতই হল না। বাংলা গান যে কবিতার হাত যোগ্যতার সঙ্গে ধরে রাখতে পারল না, তার একটাই কারণ। রবীন্দ্রনাথ বা তাঁর…
খেলা শেষ, ঝড় আসছে তড়িৎ রায়চৌধুরী আমি যখন লিখতে বসেছি তখনি আকাশ গোমড়াথোরিয়াম। আপনার পড়ার সময় নিশ্চয় ‘খেলা’ হয়ে গেছে ‘ইয়াস’ ওরফে ‘যশ’-এর! অথবা, জানলার বাইরে চোখ রেখে বলছেন— খেলা শেষ, ঝড় আসছে! ওমানের দেওয়া এই পার্সি নামের কথায় মনে পড়ল ঘূর্নিঝড়ের নামকরণ বৃত্তান্ত। ইতিহাসটি ভারি মজার। একসময় বিজ্ঞানীরা ঝড়কে ডাকতেন ভৌগোলিক জন্মস্থান দিয়ে; মানে ৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ ও ৭২ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশ-এর ঝড়...; ফলে সাধারণ মানুষ ডাকনাম দিত স্থানীয় মর্জিতে। সন্ত, সাল, ক্ষতিগ্রস্ত স্থান-এর নাম যোগে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অব্দি এই রকম চলে। ক্রমে পশ্চিমা আবহবিদর…
দুই ভ্যাকসিনের দূরত্ব যেন ইলাস্টিক তড়িৎ রায়চৌধুরী “এ কোন সকাল রাতের চেয়েও অন্ধকার। ওকি পাখির কুজন নাকি হাহাকার”। সকালে মেসেজ টোন শুনলেই বুক কেঁপে ওঠে। এক তো নয় কোনও কোনও দিন একাধিক খবর। যেন কনসেন্ট্রেশান ক্যাম্পে কাটছে দিন। তফাত একটাই, আজও আমরা ভুলিনি নাৎসী অত্যাচার। সেই আতঙ্ক প্রভাবশালী সারা বিশ্বে। কিন্তু এই সব দিনগুলি রাতগুলি সহজেই আমাদের ভুলিয়ে দেবে দক্ষ রাজনীতির কারিগরেরা। গতবার দেশে হঠাৎ ডাকা লকডাউনে যারা সোচ্চার ছিলেন শ্রমিকদের জন্য তারাই এবার রাজ্যের হঠকারিতায় সাফাই গাইছেন। ভোট মিটেছে, ঈদ গেছে এবার করাই যায় বন্ধ। আর বিজ্ঞানও তো আজকা…
আপনি আত্মনির্ভর দেশের বাসিন্দা তড়িৎ রায়চৌধুরী অবশেষে বঙ্গের ভোট ভাঙল। গড় ভাঙার পর এখন ঘর-বাড়ি ভাঙার পালা। তাও দল ভাঙার খেলাটা আগে হয়ে গেছে এবার। ছোট-বড় মিলে ভোট পাঁচ বছরে তিন বার তো হয়-ই; তবে এর ব্যাকরণ খুব বদলায় না। “রাজা আসে যায় রাজা বদলায়/ নীল জামা গায় লাল জামা গায়/ জামা কাপড়ের রঙ বদলায়/ দিন বদলায় না”। কি আশ্চর্য! কবি কি জানতেন লালের পর নীল জামা পড়বে প্রশাসক! কবিরা নাকি দূরদ্রষ্টা হন। উন্নয়নের খড়গ-ই কিভাবে বর্গি বিতাড়নের হাতিয়ার হয়ে উঠবে তাও কি দেখতে পেয়েছিলেন কবি? ইহলোক আজ নিরুত্তর। তবে বহিঃশত্রুর নামে জোটবদ্ধ হবার রীতি তো নতুন না। দেশের ক…
মৃত্যুর ফেরেশতা দ্যুতিমান ভট্টাচার্য ইয়োসেফ ম্যাঙ্গেলার (Dr. Josef Mengele) জন্ম ১৯১১ সালের ১৬ মার্চ জার্মানির বাভারিয়ার গুঞ্জবার্গে। কার্ল ও ওয়েলবুর্গা ম্যাঙ্গেলার তিন সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ ইয়োসেফের অন্য দুই ভাই কার্ল জুনিয়র এবং এলোইস। কৃষিকাজের যন্ত্রপাতি উৎপাদন করতেন তাঁর পিতা। ইয়োসেফ ১৯৩০ সালের এপ্রিল মাসে স্কুলের পাঠ চুকিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টের গ্যটে (Goethe) বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অফ মিউনিখে যথাক্রমে মেডিসিন এবং দর্শন নিয়ে পড়তে চলে যান। ১৯৩৫ সালে ইউনিভার্সিটি অফ মিউনিখ থেকেই নৃবিজ্ঞানে পিএইচডি অর্জন করেন এবং ১৯৩৭ সালে ফ্রাঙ্কফুর্টের ই…
খেলা হচ্ছে, খেলছি আমরা আবীর মুখোপাধ্যায় খেলা হল স্যার? ম্যাডাম... কেমন খেললেন? কমরেড, আপনি? গত ২৪ ঘণ্টায় আমার দেশে আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার, সক্রিয় রোগী ছাড়াল সাড়ে ৩১ লক্ষ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৪৯৮ জনের! কী অসাধারণ— মোক্ষম খেলেছেন। খেলা কী শেষ? কী খেললেন বলুন তো— বিশ্বের সব দলের, সব খেলার রেকর্ড ভেঙে তছনছিয়া ভারত! সকল দেশের সেরা! সংক্রমণে বেলাগাম আমার দেশ! কী জানেন, একটার পর একটা খারাপ খবরের ফিড দেখতে দেখতে, প্রিয়জন হারাতে হারাতে এখনও কানে বাজছে, আপনাদের দামাল শ্লোগানের সেই কোরাস— ‘‘খেলা হবে, খেলা হবে।’’ এই তো, এই ক’দিন আ…
সংযোগ