লালাদা আবীর মুখোপাধ্যায় মেঘের মিনার ছুঁয়ে রোদ-ছায়ার খেলা চলছে সারা বাগানে। যেন অলস, ‘ঝরা পাতার মতো’ একটি দিন। হাওয়ায় হাওয়ায় সওয়ার হয়ে পাতারা ঝরে পড়ছে। আর পড়ছে। নাম-না-জানা কত রঙিন পাখির ভিড় ‘রবিবার’-এ! ‘‘সে কেন রে করে অপ্রণয়/ তার উচিত নয়,/ জানি আমি তার সনে/ কভু তো বিচ্ছেদ নয়।’’ গ্লাসের মধ্যে আগে থেকেই গন্ধরাজ লেবু আর ফালি কাঁচা লঙ্কা ছিল। ভডকা ঢালতেই, অ্যাঙ্গুস্টুরা বিটারসের শিশি খুলে সুরায় মিশিয়ে দিলেন। তারপর, কথা আর কোহল জুড়ে জুড়ে দিনমান। হয়তো একটার পর একটা নিধুবাবু গাইছেন প্রিয় লেখক। কখনও ফিরছেন রবীন্দ্রনাথে— ‘‘ভালো তো গো বাসিলাম, ভালোবাস…
জেলের চিঠি, কবির ক্ষত অভিমণ্যু পাঠক বাদশাহ্ বাহাদুর শাহ্ জাফর তাঁর জীবন সায়াহ্নে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, জীবনে বাড়তি যে চারদিন ভিক্ষা করতে চেয়ে নিয়েছিলেন, দু’দিন হারিয়ে গেছিল আশায়-আশায়, আর বাকিটা অপেক্ষায়। আরও আশা আরও অপেক্ষাকে ডেকে আনে, প্রশ্রয় দেয়। যেখানে কাজ খুব বাঁধাধরা, নেই বললেই চলে, সেখানে সময় পিছলে যায়, হাতের আঙুলের ফাঁক গলে, চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে। জেলের ভেতরের জীবনটা খানিকটা তেমনই। এমন করেই তাঁর জেলের স্মৃতিকথার বয়ানের ডালি সাজিয়েছেন, ভারভারা রাও তাঁর, ‘Captive Imagination: Letters from Prison’ বইয়ে। অন্যের মুখের ঝাল ন…
প্রকাশিত হল শারদীয় ‘এখন শান্তিনিকেতন’ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় পু জো মানেই বাঙালির কাছে যেমন মন-উদাস মেঘ, দিগন্তে কাশবন, ঘরে ঘরে খই-নাড়ু, দিনভর শপিং,— ঠিক সেরকম পুজো মানেই পুজো সংখ্যাও। শান্তিনিকেতন থেকে ‘এখন শান্তিনিকেতন’ পত্রিকার পুজো সংখ্যা তেমন একটি শারদ-সংকলন। শুক্রবার সন্ধেয় প্রকাশিত হল প্রায় দেড়শো জন লেখকের লেখা নিয়ে ৩৭২ পৃষ্ঠার এ বারের শারদীয় ‘এখন শান্তিনিকেতন’। এ বারও লেখক তালিকায় নক্ষত্র সমাবেশ— অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, নবকুমার বসু, নির্মলেন্দু গুণ, কবীর সুমন, শ্যামল চক্রবর্তী, সুমন গুণ, শ্রীজাত, স্মরণজিৎ চক্রবর্তী, চণ্ডী মুখোপাধ্যায়, পূ্র্ণ…
করোনার কুমোরটুলিতে শূন্য কাঠামো শুচিস্মিতা দাস দু র্গাপুজোর আর বাকি মাসদুয়েক। কুমোরটুলিতে ঢুকলেই এসময় চোখে পড়ে একটা চেনা ব্যস্ততা। প্রতিমার রঙ-ছাঁচ-সাজ, ব্যস্ত কারিগররাও। ভিড় থাকে প্রতিমার সাজের দোকানগুলিতেও। তবে এ বছর যেন ছবিটা একটু ফিকে। বনমালী সরকার স্ট্রিট দিয়ে ঢুকেই প্রথমেই চোখে পড়ে যে সাজের দোকানগুলি, খোলা নেই সবকটি। উত্তর কলকাতার কুমোরটুলি এলাকায় বসবাস কমবেশি ৩৫০টি কুমোর পরিবারের। সম্বৎসর কাজ চললেও সকলেই জানে কুমোরটুলির প্রত্যেকেই তাকিয়ে থাকেন আশ্বিনমাসে দুর্গাপুজোর দিকে। অন্যান্যবার পয়লা বৈশাখের দিন থেকেই তারা পেতে শুরু করেন ‘সুখবর…
শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে আবীর মুখোপাধ্যায় কবির বকা খেয়ে চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছে বনমালী। ‘‘বলি চুপ করে আছিস কেন?’’ ‘‘আজ্ঞে!’’ ‘‘এই যে বলিস আমি বড়লোক। ‘দ্বারকানাথের লাতি বলে নয়, নেকার জোরে বড়লোক!’’’ ওদিকে কাজল মেঘের ছায়ায় ঢাকছে খোয়াই, শালবন, সাঁওতাল পল্লি। মেঘ দু’কূল ছাপানো কোপাইয়ের জলে। মেঘ দূরে প্রান্তরের হাওয়ার গানে, পদ্মার আদিগন্ত চরের বৃষ্টি ধোওয়া জুঁই স্মৃতিতে! মেঘ সিংহসদনের মাথায়, শান্তিনিকেতন বাড়ির কার্নিসে। উড়ো মেঘ ঢুকছে উদয়ন বাড়ির দরজা-জানলা-চিলেকোঠার ভিতর দিয়ে কবির লেখার ঘরে। এমন মেঘজর্জর সকালে লিখতে বসে, লেখার টেবিলে একটা চিরকুট দ…
সংযোগ