পেজ থ্রি


রতন কাহার গানটি আকাশবাণীতে গেয়েছিলেন 

অতনু বর্মন


স্বপ্না চক্রবর্তীর গাওয়া ‘বড়লোকের বিটি লো’ গানটির গীতিকার যে রতন কাহার তা আমরা বহুকাল জানলেও রেকর্ডে লেখা হয় কথা প্রচলিত।
এই বিষয়টি নিয়ে আমি দীর্ঘকাল ধরেই সোসাল মিডিয়ায় লেখালিখি করছি। সম্প্রতি একটি তথ্যচিত্রে রতন কাহার স্বয়ং গানটি ওনার লেখা বলাতে আমাদের এই নিয়ে এগোনোর কিছুটা সুবিধা হয়। ইতিমধ্যে rapper বাদশার একটি গানে ওই গানের কয়েকটি লাইন ব্যবহৃত হয়েছে এবং তাই নিয়ে সোসাল মিডিয়ার ঝড় উঠলো। বাদশার পক্ষ থেকে আজ দুপুরে আমাকে ফোন করা হয়। ওরা গীতিকার রতন কাহারকে যথেষ্ট মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তুত কিন্তু প্রমাণ দরকার। আমার মনে পড়ছে, অনেক বছর আগে একটি পত্রিকায় এই বিষয়টি নিয়ে আর্টিকেল ছাপা হয়েছিল— যেখানে স্বপ্না চক্রবর্তীর গাওয়া রেকর্ডে কেন গীতিকারের নামের বদলে প্রচলিত শব্দটি ব্যবহার হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। সেই কাগজটি উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। পাওয়া যাবে কিনা জানি না।
অন্যদিকে রতন কাহার নিজেই গানটি আকাশবাণীতে গেয়েছিলেন ৭২ সালে এমন কথা উনি নিজেই বলেছেন। আকাশবাণীর আর্কাইভেও সেই তথ্য পাওয়া যেতেই পারে। আকাশবাণীর অনেকেই আমার বন্ধু তালিকায় আছেন। কেউ কি একটু চেষ্টা করবেন...?
একজন হতদরিদ্র মানুষ যদি কিছু অর্থ হাতে পান এবং পান শিল্পীর মর্যাদা তা দেখা সকলের পবিত্র কর্তব্য। অন্যদিকে এই রহস্যের প্রকৃত সত্য বলতে পারেন স্বয়ং স্বপ্না চক্রবর্তী। তিনি মুখ খুলবেন কিনা তাও জানি না। বাউল সম্রাট পূর্ণ দাসের পত্নী মঞ্জু দাসের কাছে প্রথমে ‘বড় লোকের বিটি লো’ ও আশানন্দনের লেখা ‘বলি ও ননদি’ গান দুটি রেকর্ড করার অফার এলেও মঞ্জু দাস গাইতে অসম্মত হন এই তথ্য দিচ্ছেন সুকুমার দাস ( ডাইরেক্টর--স্টার ইন্ডিয়া ক্যাসেটস ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাদ্যযন্ত্র শিল্পী)। ইতিমধ্যেই শিল্পী রূপঙ্কর ও লোপামুদ্রা মিত্র তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
বাংলাদেশেও এই বিষয়টি উঠে এসেছে শিরোনামে। লোক গায়ক বন্ধু অর্পণ চক্রবর্তীর কাছেও আজ দুপুরেই একই কথা জানিয়ে ফোন করা হয়েছে। জানি না— এর শেষ কোথায়!


Post a Comment

0 Comments