নেইবাড়ির মেয়েরা মেয়েবেলা হারিয়ে গেছে অন্ধকারে। গোল্লাছুটের দুপুর এখন দিগন্তের পাখি। একলা আঁধারে মুখ নেমেছে পথের হাওয়ায়। বাহির থেকে ঘরে ফেরার অশ্রুতপূর্ব-কথার আখ্যান। লিখছেন অঙ্কন রায় আঠারো চাঁ দনির গল্পটা অন্য রকম। মেয়েটা ছিল সহজ সরল একটা গাঁয়ের মেয়ে যেমন হয়, ঠিক তেমনিই। কিন্তু ওর জীবনের মোড় ঘুরে গেল যখন ওর ঠিক পনেরো বছর বয়স। সে বছর ওর ক্লাস টেন। পরের বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। পড়াশোনায় মোটামুটি ভাল মেয়েটা ভালবেসে ফেল্ল ওর দু’ক্লাস উঁচুতে পড়া যে ছেলেটিকে, সে আবার অন্য ধর্মের। সরল মনে ভালবেসেছিল চাঁদনি। ভাবতে পারেনি কি কঠিন হবে তার …
নেইবাড়ির মেয়েরা মেয়েবেলা হারিয়ে গেছে অন্ধকারে। গোল্লাছুটের দুপুর এখন দিগন্তের পাখি। একলা আঁধারে মুখ নেমেছে পথের হাওয়ায়। বাহির থেকে ঘরে ফেরার অশ্রুতপূর্ব-কথার আখ্যান। লিখছেন অঙ্কন রায় চোদ্দো এ ভাবেই কাটে আমাদের দিন। নতুন নতুন মেয়েদের নতুন নতুন গল্প এসে জুড়ে যায় আলোকবর্তিকার দেওয়ালে। অনেক কষ্ট, অনেক কান্না লেগে থাকে সেই দেওয়ালের গায়ে। আবার আমাদের নতুন জীবন ফিরে পাওয়ার আনন্দও আমাদের দিয়ে কত নতুন নতুন কাজ করিয়ে নেয়। এ ভাবেই বসন্ত পেরিয়ে গ্রীষ্ম আসে... আসে শরৎ... আসে শীত...। শীতের দিন শুরু হবে হবে। এবার আমাদের আলোকবর্তিকা'র মেয়েদের ত…
মেয়েবেলা হারিয়ে গেছে অন্ধকারে। গোল্লাছুটের দুপুর এখন দিগন্তের পাখি। একলা আঁধারে মুখ নেমেছে পথের হাওয়ায়। বাহির থেকে ঘরে ফেরার অশ্রুতপূর্ব-কথার আখ্যান— নেইবাড়ির মেয়েরা । লিখছেন অঙ্কন রায় এগারো শর্মিলা আমার চেয়ে বছর দুয়েকের ছোট। মেয়েটা ভারি মিষ্টি। ওর চুলের গোছা ফুরফুরে। একটু হাওয়ায় সব ওলোট পালোট হয়ে যায়। মুখটা গোলগাল ডল পুতুলের মতো। আর ঠিক ওর মতোই একটা সত্যিকারের ডলপুতুল ও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল আলোকবর্তিকায়। তিন বছর আগে। শর্মিলাকে পেয়ে আমরা সবাই দারুণ খুশি হয়েছিলাম। জীবনের নোংরা দিকগুলো খুব কম বয়সেই দেখে ফেলার কারণে আমাদের মনগুলো যেমন ভ…
মেয়েবেলা হারিয়ে গেছে অন্ধকারে। গোল্লাছুটের দুপুর এখন দিগন্তের পাখি। একলা আঁধারে মুখ নেমেছে পথের হাওয়ায়। বাহির থেকে ঘরে ফেরার অশ্রুতপূর্ব-কথার আখ্যান— নেইবাড়ির মেয়েরা । লিখছেন অঙ্কন রায় সাত যতটুকু লিখেছি এই পর্যন্ত, একদিন সঙ্কোচ ঝেড়ে ফেলে ভানুদাদার হাতে দিয়েই দিলাম আমার লেখা দিস্তার সেই পাতাগুলো। ভানুদাদা সেগুলো নিয়ে গিয়ে আলোকবর্তিকার বাগানে বড় আমগাছটার তলায় বসে বসে পড়ছেন। আমি দূর থেকে দেখছি দাদার মুখে ভাবের বদল। যখন এসেছিলেন, হাসিখুশিই ছিলেন। সবাইকে হেঁকে ডেকে দুয়েকটা মজা করে চানার মাথায় চাঁটি মেরে বলেছিলেন, ‘কই, এক কাপ চা খাওয়া’। চানা…
মেয়েবেলা হারিয়ে গেছে অন্ধকারে। গোল্লাছুটের দুপুর এখন দিগন্তের পাখি। একলা আঁধারে মুখ নেমেছে পথের হাওয়ায়। বাহির থেকে ঘরে ফেরার অশ্রুতপূর্ব-কথার আখ্যান। নেইবাড়ির মেয়েরা । লিখছেন অঙ্কন রায় চার হাসভাসার রাস্তায় ঋজুদাদা আমার সঙ্গে আরও কয়েকদিন ওরকম কাণ্ড করল। একদিন তো হঠাৎ ধানক্ষেতের নিরিবিলিতে সাইকেল থেকে নামিয়ে নিয়ে গেল একটু ভিতরের দিকে। আমায় জড়িয়ে ধরে নিজের ঠোঁটটা আমার ঠোঁটের ওপর চেপে রেখে অনেকক্ষণ পর্যন্ত চুমু খেল। আমার বেশ অস্বস্তি হচ্ছিল। মুখটা ছাড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু যত চেষ্টা করি ততই শক্ত করে আমার ঘাড়ের কাছটা দু’হাতের দশটা আঙুল …
মেয়েবেলা হারিয়ে গেছে অন্ধকারে। গোল্লাছুটের দুপুর এখন দিগন্তের পাখি। একলা আঁধারে মুখ নেমেছে পথের হাওয়ায়। বাহির থেকে ঘরে ফেরার অশ্রুতপূর্ব-কথার আখ্যান। নেইবাড়ির মেয়েরা। লিখছেন অঙ্কন রায় ১ আমাদের না শহর না গ্রাম এই কোপাই নদীর ধার ঘেঁষা জনপদটার নাম সবুজবাগ। আর আমরা যে বাড়িতে থাকি সেই বাড়িটার নাম ‘আলোকবর্তিকা’। যেমন সুন্দর জায়গাটার নাম তেমনি বাড়ির নামটাও সুন্দর। আমাদের বাড়ির পিছনেই আছে অনেক অনেকটা জায়গা জুড়ে ইউক্যালিপটাস আর সোনাঝুরির বন। সেই বনের দিকের জানলাগুলো হাট করে খুলে রেখে আমি আর আমার মত আরও মেয়েরা ওই সুদূর নিরিবিলিতে চোখ রেখে তাকিয়…
সংযোগ