রবিবার : ধারাবাহিক উপন্যাস

নেইবাড়ির মেয়েরা

মেয়েবেলা হারিয়ে গেছে অন্ধকারে। গোল্লাছুটের দুপুর এখন দিগন্তের পাখি। একলা আঁধারে মুখ নেমেছে পথের হাওয়ায়। বাহির থেকে ঘরে ফেরার অশ্রুতপূর্ব-কথার আখ্যান। লিখছেন অঙ্কন রায়

আঠারো
চাঁদনির গল্পটা অন্য রকম। মেয়েটা ছিল সহজ সরল একটা গাঁয়ের মেয়ে যেমন হয়, ঠিক তেমনিই। কিন্তু ওর জীবনের মোড় ঘুরে গেল যখন ওর ঠিক পনেরো বছর বয়স। সে বছর ওর ক্লাস টেন। পরের বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। পড়াশোনায় মোটামুটি ভাল মেয়েটা ভালবেসে ফেল্‌ল ওর দু’ক্লাস উঁচুতে পড়া যে ছেলেটিকে, সে আবার অন্য ধর্মের। সরল মনে ভালবেসেছিল চাঁদনি। ভাবতে পারেনি কি কঠিন হবে তার পরিণতি। প্রথম প্রথম বাড়িতে জানাজানি হবার পর ওকে ওর মা, বাবারা সাবধান করে দিতেন মাঝে মধ্যেই। বলতেন, ‘দেখ মামনি, এই সব কাণ্ড করতে যাস না। আমাদের জীবন বোম্বাইয়া সিনেমার গল্প না। এখানে ওরকম করলে তোর সঙ্গে আমাদেরও পাড়ার মুরুব্বিরা গাঁ ছাড়া করে দেবে। আর তার আগে যে কি ভয়ানক শাস্তি কপালে নাচবে, সেটা তোর ধারণাতেই নেই।’
এত সুন্দর করে বোঝানোর পরেও মেয়ে বুঝলে তো! সে তখন প্রেমে অন্ধ। ভবিতব্য নিয়ে  কোনও চিন্তা নেই তার।
ভিনধর্মে ভালবাসার অপরাধে শাস্তি যে কি ভয়ানক হতে পারে, সেটা আমি লিখতে আমার কলম কেঁপে যাচ্ছে। চাঁদনি প্রতিদিন আমাদের কাছে একটু একটু করে বলত আর বলার সময় একটা কষ্টচাপা কান্নার সুর ওর গলা দিয়ে বেরিয়ে আসত প্রায়ই। ফলে গলার আওয়াজ কাঁপা কাঁপা শোনাত।
ও যেদিন বলছিল, ‘জানিস, গাঁয়ের বয়স্ক বয়স্ক মুরুব্বিদের সামনে আমায় এক এক করে সব জামাকাপড় খুলে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল একদল শয়তান লোক। তারপর কালো রঙ গুলে আমার সারা শরীরে...’
আমি বলেছিলাম, ‘থাক্‌, থাক্‌ চাঁদনি। আর বলিস না। সব জানি... সব জানি আমরা। আমাদের সবার জীবন কমবেশী এই রকম নারকীয় ঘটনার সাক্ষী। ওখান থেকে বেরিয়ে এই আলোকবর্তিকায় এসে পৌঁছোতে পেরেছি আমরা সবাই, এটাই ভগবানের আশীর্বাদ বুঝলি!’
চাঁদনিদের গাঁ ছিল পাহাড় ঘেরা উত্তরপ্রদেশের এক প্রত্যন্ত এলাকায়। ওর সেদিনের অপমান আর ওকে বাড়ি ফিরতে দেয়নি। এক তো বাবা মা’র কথা না শুনে তাদের কাছে ওর মুখ দেখানোর কিছু থাকল না, দ্বিতীয়ত গাঁ সুদ্ধ সবার সামনে ওরকম অসহায় অবস্থায় দাঁড়ান একটা কিশোরী মেয়ে কি এরপরেও গাঁয়ে থেকে যেতে পারে? চাঁদনি ভেবেছিল এই অপমানের হাত থেকে একমাত্র বেঁচে ওঠার পথ হল ওর এই পৃথিবীতে আর না থাকা। মেয়েটা সমস্ত পিছুটান বিসর্জন দিয়ে চলে গিয়েছিল অচিন জঙ্গুলে পথে। ভেবেছিল ভয়ানক কোনও জন্তু ওকে কামড়ে ছিঁড়ে খেয়ে ফেলুক। নিদেন যদি কারও খাদ্য নাই হতে পারে তো দিন প্রতিদিন না খেতে খেতে নিজেই একদিক শুকিয়ে মরে যাবে।
কিন্তু ঐ যে, মৃত্যু ওর ভাগ্যে ছিল না। ছিল আবার এক নতুন জীবনের ডাক। তাই কি ভাবে কি ভাবে ঐ জঙ্গুলে পথে একদল মানবদরদী সমাজসেবীর সাক্ষাৎ ওর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে গেল।
ভানুদাদা নতুন গান শেখাচ্ছেন, ‘জোনাকি, কি সুখে ঐ ডানা দুটি মেলেছো... ও জোনাকি...।’ আহা, কি সুন্দর, কি মিষ্টি গান। আবার এই মোলায়েম সুরের মধ্যেই কতখানি শক্তির কথা লুকিয়ে আছে, পুরো গানটা শুনে গেয়ে বুঝতে পারা যায়। আর সেটা যদি বোঝান আমাদের প্রিয় ভানুদাদা!
দাদা চোখ বন্ধ করে প্রথমে পুরো গানটা গেয়ে শোনালেন। তারপর চোখ খুলে আমাদের দিকে দেখতে দেখতে বললেন, ‘তোরা হলি এক একটা স্ফুলিঙ্গ। ঐ জোনাকিদের মতো। দেখ কত ছোট প্রাণী ওরা। কিন্তু নিজের বলে কেমন বলীয়ান। নিজের আলোয় আলোকিত। ঠিক তেমনিই  আলোকবর্তিকার মেয়ে তোরা। ছোট তবু ছোট নোস। তোদের অসীম শক্তি। তোদের অপার ক্ষমতা। আমি তোদের খুব ভালবাসি রে। আর শ্রদ্ধা করি, স্যালুট করি।’
আমি মন প্রাণ দিয়ে উপলব্ধি করার চেষ্টা করছি ভানুদাদার কথা আর রবি ঠাকুরের গানের বাণীকে। ‘তোমার যা আছে তা তোমার আছে... তুমি নও গো ঋণী কারো কাছে... তোমার অন্তরে যে শক্তি আছে তারি আদেশ পেলেছো...।’ এ তো আমার কথা। এ জবার কথা... অতসী, চাঁদনি, মিনটি, শর্মিলা, সবার... সবার কথা।

উনিশ
আমাদের আলোকবর্তিকায় অঙ্গাঙ্গী মিশে যাওয়া মানুষটি আমার ভানুদাদা। সঙ্গীতশিল্পী চিত্রভানু কর। ভানুদাদার অনুরোধেই আমাদের এই মেয়েজীবনের কথা লিখতে আরম্ভ করি আমি। লিখতে... লিখতে... লিখতে... কেবল মনে হচ্ছে এই আমাদের মত মেয়েদের জীবনের গল্পগুলো তো সব একই। আমরা যখন শিশুকালটা পেরিয়ে সবে কৈশোরে প্রবেশ করতে আরম্ভ করি, বাড়ির, পাড়ার, গ্রামের, শহরের, চেনা অচেনা বহু বহু পুরুষের চোখ আমাদের দেখতে লোলুপ হয়ে ওঠে। তারপর তো সেই পুনরাবৃত্তি। আমরা যারা হতভাগ্য, তাদের শরীর, মন, মান সম্মান সব কিছুকেই কেটে ছিঁড়ে ফালা ফালা করে রেখে যাওয়া সেই পুরুষের দল নিজেরা কালিমামুক্ত শরীরে অবাধে বিচরণ করে বেড়ায় আমাদেরই আসেপাশে। তাদের মনও কি কালিমামুক্ত হতে পারে? জানি এ প্রশ্নের উত্তর আমায় দেবার মত কেউ নেই। কোথাও নেই।
আজ লিখতে লিখতে একটু ক্লান্ত বোধ করছিলাম। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হবো হবো। কাগজ কলম রেখে বাগানের দিকে যেতে দেখি ছোট টিলাটার উপর একা বসে আছেন ভানুদাদা। আমায় দেখে হাতছানি দিয়ে ডাকলেন। কাছে গিয়ে বললাম, ‘ভানুদাদা, একা বসে আছ কেন? আমাদের ডাকলে না? আজ তো গান শেখারও দিন।’
ভানুদাদা আমার কথার উত্তর না দিয়ে কিছুক্ষণ মুখ তুলে পাশের বটগাছটার মাথার দিকে তাকিয়ে থাকলেন। তারপর বললেন, ‘অহনা, ছোটদের উপন্যাসটা কতদূর লিখলি রে? আমায় অনেকদিন দেখাসনি।’
বললাম, ‘ভানুদাদা, লিখেছি তো অনেকটাই। তবে জান, আমার না লিখতে লিখতে এবার ক্লান্তি এসে যাচ্ছে। লেখার জন্য নয় কিন্তু। ক্লান্তি আসছে আমাদের সবার জীবনের পুরনো কথা, পুরনো ইতিহাস লিখতে। মনে হচ্ছে আমাদের সবার গল্পই যেন এক। আসলে ভানুদাদা, আমাদের শরীরগুলো তো একই। সেই মেয়ে শরীর। আর ঐ লোকগুলোর চোখও এক। লোভ লালসা আর কামে ভর্তি। তাই গল্পগুলোও তো এক হতে বাধ্য। কতজনের কথা লিখব...!’
ভানুদাদা চুপ করে আছেন। কি যেন ভাবছেন আমার কথা শুনে। চোখের মনিদুটো এপাশে ওপাশে ঘুরছে। একটা অস্থিরতার ভাব ফুটে বেরোচ্ছে ভানুদাদার শরীরী ভাষায়।
হঠাৎ স্থির হয়ে গিয়ে আমার চোখে চোখ রেখে দাদা বললেন, ‘অহনা, গল্পগুলো একই, আমিও জানি রে। তবে জানিস, সব পুরুষ তো এক হয় না। কিছু নোংরা মনের পুরুষমানুষের এই ঘৃণিত অপরাধ সমস্ত পুরুষ জাতিকে অপরাধী করে দেয়। আমরা যারা ঐ দলভুক্ত নই, ক্রমাগত লজ্জিত হতে থাকি পরের পর এই মেয়েদের উপর অত্যাচারের ঘটনায়। অপমানের ঘটনায়। মুখ তুলে তাকাতে পারি না।’
আমি বললাম, ‘না না ভানুদাদা, সবাইকে বলছি না। এ তো হতে পারে না সমগ্র একটা জাতিই কিছু অমানুষের জন্য কলঙ্কিত হয়ে যাবে! আমার, আমাদের জীবনে ঈশ্বর হয়ে এসেছেন যিনি, তিনি তো এক পুরুষমানুষই। আমাদের রবি ঠাকুর। আর তুমি তো সেই ঈশ্বরের পাঠানো দূত। তুমি ছাড়া, তোমার গান ছাড়া আমরা নতুন আলো খুঁজতাম কোথায়? পেতাম কি ভাবে?’
ভানুদাদার চোখে আবেগের জল। বলছেন, ‘জানিস, আর কয়েকদিন পরে বিশ্ব নারী দিবস। তোদের একটা অনুষ্ঠান করাবো ঐ দিনটায়। তার আগে আজ ক্লাসে বলব এই দিনের ইতিহাস। তুই সে কথাও তোর লেখায় উল্লেখ করিস। কেমন? আর একটা কথা বলে রাখি। আমি হয়ত কাজের জন্য আর কিছুদিনের মধ্যে সবুজহাট ছেড়ে চলে যাব অন্য কোনও শহরে। তোদের জন্য মনকেমন কিন্তু থাকবে আমার সব দিন, সর্বক্ষণ। তোদের আর একজন গানের দিদিকে দিয়ে যাব। রবি ঠাকুরের গান সারা জীবনের গান। এ গান গাওয়ার বা শেখার কোনও শেষ নেই যে।’

কুড়ি
ভানুদাদা চলে যাবেন আমাদের ছেড়ে। হঠাৎ করেই এই কথাটা জানতে পেরে ভিতরটা কেমন শূন্য হয়ে গেল। আমাদের এখনকার জীবনে অনেক অনেকখানি জায়গা জুড়ে আছেন ভানুদাদা। তাঁর শেখানো গান, তাঁর বলা কথা আমার আর আমাদের সবার প্রায় সারাদিনের সঙ্গী। যে যখন পারি এ কাজ সে কাজ করতে করতে বা বিশ্রাম নিতে নিতেও ভানুদাদার শেখানো রবি ঠাকুরের গান গুন্‌গুন্‌ করে গেয়ে উঠি। ওঁর বলা বিভিন্ন কথা মনে মনে ভাবি আর একে অপরকে ভাবাই। সেই আমাদের ভানুদাদা চলে যাবেন! আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে ভাবতে। আর আমি জানি আমাদের আলোকবর্তিকার প্রত্যেকের কষ্ট হচ্ছে ভানুদাদার চলে যাওয়ার কথায়।
সেদিন দাদা বলেছিলেন নারীদিবসের ইতিহাস। আজ মনে করে করে লেখার চেষ্টা করছি। আমাদের জীবন তো বরাবরই বঞ্চনার, কষ্টের, অপমানের ইতিহাস। সেই কোন্‌ আঠারো’শো সাতান্ন খ্রিস্টাব্দে সুদূর আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরের পথে মেয়েরা একজোট হয়ে বেরিয়েছিল তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে। তারা তাদের কাজের ক্ষেত্রে যে অমানবিক আচরণের শিকার হত, যে বৈষম্যের শিকার হত, তার বিরুদ্ধে ওটাই ছিল প্রথম একজোট হয়ে প্রতিবাদের পথে নামা। সুতা কারখানার নারী শ্রমিকদের সেই মিছিলে সরকারি লেঠেল বাহিনী তুমুল দমন পীড়ন চালিয়েছিল। ভানুদাদা বলেছেন, আরও অনেক বছর পরে উনিশ’শো আট সালে নিউ ইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্রেট নারী সংগঠনের পক্ষে এক সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হয়। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ, জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন। এরপর উনিশ’শো দশে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহরে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। সতেরোটি দেশের একশো জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এই সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বছর আট’ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দেন। উনিশ’শো চোদ্দ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে আট’ই মার্চ পালিত হতে শুরু হয়। আরও অনেক বছর পরে উনিশ’শো পঁচাত্তরের আট’ই মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ভানুদাদা আমাদের বলে চলেছিলেন আর আমরা আলোকবর্তিকার মেয়েরা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়েছিলাম দাদার মুখের দিকে। কত কি জানেন আমাদের দাদা। গড়গড় করে বলে যেতে থাকেন চোখ বুজে। আমাদের মুখগুলো হাঁ হয়ে যায়। দাদা তখন হঠাৎ চোখ খুলে আমাদের দেখে হাসতে হাসতে বলেন, ‘এ রকম করে কি দেখছিস? আমার বিচ্ছিরি মুখটা?’
আমরা সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠি, ‘না দাদা, কে বলে তোমার বিচ্ছিরি মুখ? তোমার মত সুন্দর এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই।’ ভানুদাদা ভুরু কুঁচকে প্রায় দুটো চোখ বন্ধ করে হাহা করে হাসছেন, কিন্তু চোখ বেয়ে জল নেমে আসছে। আমরা মেয়েরা ঘিরে ধরে দাদাকে বলছি, ‘আমাদের ছেড়ে যেও না দাদা। আমরা তোমার কাছেই গান শিখব। গল্প শুনব।’
কখন যেন পিছনে মালবিকা মাসি এসে দাঁড়িয়েছেন। ওঁর চোখ দুটোও একটু ছল্‌ছল্‌ করছে কিন্তু উনি সেটা দেখাতে চাইছেন না। ভানুদাদার হাতে আমার ছোটদের উপন্যাসের শেষ পাতাগুলো দিয়ে বললাম, ‘দাদা, এই রইল আমার লেখা। এর বেশি আর পারলাম না লিখতে। এখন যা হোক তা হোক, এটা তোমার কাছেই থাকুক। আমি রেখে দিয়ে কি আর করব?’ ভানুদাদা আমার হাত থেকে মেয়েদের গল্পের সব পাতাগুলো নিয়ে সযত্নে একটা ফাইলে ঢুকিয়ে নিলেন। তারপর বললেন, ‘আজ আমরা যে গানটা শিখব, সেটা তোদের সারা জীবনের নিজস্ব গান। আগামীকালই নারী দিবসের দিন। কাল তো গানটা গাইবিই, আর সারাটা জীবন জুড়েও গাইবি।’ এরপর আমাদের ভানুদাদা চোখ বুজে গান ধরলেন, ‘অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো... সেই তো তোমার আলো... সকল দ্বন্দ্ব বিরোধ মাঝে জগ্রত যে ভালো... সেই তো তোমার ভালো...’
আমরা শিখছি সে গান। নারীদিবসের দিন দাদার সঙ্গে সঙ্গে দৃপ্ত উচ্চারণে গাইব সকলে মিলে, ‘বিশ্বজনের পায়ের তলে ধূলিময় যে ভূমি, সেই তো স্বর্গভূমি... সবায় নিয়ে সবার মাঝে লুকিয়ে আছো তুমি... সেই তো আমার তুমি...!’
ভানুদাদা আমাদের সবার মধ্যেই লুকিয়ে থাকবেন। কোত্থাও যাবেন না।     (শেষ)

অঙ্কন : অর্চিতা মুন্সী

Post a Comment

0 Comments