রম্যরচনা থিওরি অব রিলেটিভীতি সুমন গোস্বামী ক্লাসে ঢুকেই লাহাবাবু চশমার ফাঁক দিয়ে একবার গোটা ক্লাসটা মেপে নিলেন, তারপর চড়া গলায় বললেন, ‘‘শুভ বলতো রিলেটিভ ক্লজ কাকে বলে?’’ শুভ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল স্যার, ‘‘রিলেটিভ মানে আত্মীয় আর ক্লজ মানে নখ, এককথায় আত্মীয়দের নখ যা আমাদের নরম মনের পলি মাটিতে আঁচড় কাটে, কখনও রক্তও বের হয়ে যায়।’’ পঞ্চাশোর্ধ্ব কৃষ্ণরূপ লাহা এসব পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত, বিশেষ করে শুভ ছেলেটিই এমন। অদ্ভুত সব দার্শনিক উত্তর দিয়ে থাকে, অথচ পড়াশুনাতে লবডঙ্কা। শুভর বাবার কাছে নালিশও করেন, কিন্তু ওর বাবা বিশিষ্ঠ …
উড়ো শালপাতা স্মৃতি ডাকে অনির্বাণ দাশগুপ্ত গ্রামের নাম ভ্রমরকোল। নামের মধ্যেই যেন ভালবাসা কোল পেতে থাকে। পাশেই শাল নদী। বর্ষা ছাড়া বছরের অন্য সময়ে জল থাকে সামান্যই, পারাপারে নৌকা লাগে না, ইচ্ছা লাগে। আজ ভ্রমরকোলের বাতাসে উল্লাস শেষ হেমন্তের সন্ধ্যার মতোই এলোমেলো কিন্তু সজীব। গ্রামের ঠিক মাঝে মঞ্চ, তার চারপাশের জমি থেকে ধান উঠে গেছে কদিন আগেই। ফেলে গেছে ধানের গোড়া। তার ওপরেই শতরঞ্জি পেতে বসার ব্যবস্থা শ্রোতাদের, মঞ্চে আজ শচীপ্রভা, কীর্তন সম্রাজ্ঞী। কারও হয়তো মনে নেই, শচীপ্রভার স্মৃতিতে আজ বড় বেশি উজ্জ্বল এই গ্রামের কথা। কারণ এখানেই কেটে…
ভালবাসার বিচিত্র-কথা । ১ অনির্বাণ দাশগুপ্ত ভাই ফোঁটা এলেই আমরা আতঙ্কে থাকতাম। তার কারণ ডাক পরে কে জানে। ক্লাসে যারাই শ্যামলীর আশেপাশে বসত অথবা যাদের নাম কাকিমা, মানে শ্যামলীর মা। শ্যামলীর মুখে কোনও-না-কোন দিন শুনেছেন, ডাক পড়ত তাদের সবারই। প্রতি বছরই “ভাই” এর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে “শ্যামলীর ভাই ফোঁটা” আমাদের কাছে এক জাতীয় উৎসব হয়ে গেয়েছিল। ওই ভাই ফোঁটার আসরেই শ্যামলীর কত না পুরনো প্রেমিকের দল পরস্পরকে আবার নতুন করে খুঁজে পেয়ে পুরনো মারামারির স্মৃতি ভুলে কোলাকুলি করত। আবেগে গাল থেকে দাড়ি ভিজত সবাই। শুধু সারি সারি পাজামা পাঞ্জাবির লাইন, ফো…
সংযোগ