আমার রবীন্দ্রনাথ



রবীন্দ্রনাথের গানে বাঙালির মুক্তি! সুধীর চক্রবর্তী লিখেছিলেন এই গান বাঙালির ‘প্রতিক্ষণের পরিম্লান পরাজিত যাপনের পাংশু দৈনন্দিনে’-র শুশ্রূষা।’  এই দুঃসময়ে, আত্মবিস্মৃত জাতির উপশম। তাঁর কথা-কবিতা-গান-ই যে এখনও আমাদের অজস্র দুঃখ-রাত্রির, আনন্দ-মুহূর্তের একলা সহচর! তিনি আমাদের কে — কবির জন্মদিনে এই প্রশ্ন রাখতেই উঠে এল আপনকথায় উত্তরমালা। সেই  নিয়েই কবির জন্মদিনে সাজানো হল আমাদের রেকাব ‘আমার রবীন্দ্রনাথ’।

পত্রিকার ফেসবুক পেজে, ওয়েবসাইটে এবং বইওয়ালা বুক ক্যাফের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন বিশিষ্টরা। তাঁদের নামে ক্লিক করলে বক্তব্য শুনতে পাবেন।


কবীর সুমননবকুমার বসুকাজী কামাল নাসেরসুমন গুণ, সুশোভন অধিকারী, পূর্ণেন্দুবিকাশ সরকার, অতনু বর্মন, রাহুল পুরকায়স্থ, বর্ষণজিৎ মজুমদার, সমীরণ নন্দী, আদিত্য মুখোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস চন্দ, অচিন্ত্য সুরাল, অঙ্কন রায়, বল্লরী সেন, বিশাখা রায়, মৌমিতা পাল, সলিল সরকার, দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, জুলফিকার জিন্না, দেবকুমার দত্ত, জয়ন্ত ঘোষ, দীপশেখর চক্রবর্তী, মঞ্জীরা সাহা, নন্দিতা আচার্য, তড়িৎ রায়চৌধুরী, সুপ্রভাত মুখোপাধ্যায়, রাধামাধব মণ্ডল, দেবলীনা, দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, রূপক বর্ধন রায়, অনন্যা ঘোষাল, পারমিতা দাস, আজাহারুল ইসলাম 

উল্লেখ্য, কবির প্রথম জন্মদিনের উৎসব ২৭ বছর বয়সে ১২৯৪ বঙ্গাব্দে। উদ্যোক্তা ছিলেন সরলা দেবী। ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ৭৬ বছরে পদার্পণ করেন। সেই বছর থেকে শান্তিনিকেতনে শুরু হল নববর্ষের দিনেই কবির জন্মদিনের উৎসব। কেন না, ২৫ বৈশাখ গরমের ছুটির মধ্যে পড়ে। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ ছিল রবীন্দ্রনাথের ৮১তম তথা শেষ ‘জন্মদিন। কবি একটি কবিতা লিখলেন বাঁকুড়ার ম্যাজিস্ট্রেট অন্নদাশঙ্কর রায়কে—
আমার এ জন্মদিন-মাঝে আমি হারা,
আমি চাহি বন্ধুজন যারা
তাহাদের হাতের পরশে
মর্তের অন্তিম প্রীতিরসে
নিয়ে যাব জীবনের চরম প্রসাদ,
নিয়ে যাব মানুষের শেষ আশীর্বাদ।
শূন্য ঝুলি আজিকে আমার;
দিয়েছি উজাড় করি
যাহা কিছু আছিল দিবার,
প্রতিদানে যদি কিছু পাই—
কিছু স্নেহ, কিছু ক্ষমা—
তবে তাহা সঙ্গে নিয়ে যাই
পারের খেয়ায় যাব যবে
ভাষাহীন শেষের উৎসবে।


Post a Comment

0 Comments