ব্লগ : ওদের কথা/ ৮ । সামতলী’র বড় ছেলে

সামতলী’র বড় ছেলে

মঞ্জীরা সাহা


যে মাটির উপর জুতো পায়ে হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছিলাম সে মাটি যে এতটা ভঙ্গুর তা আমার মতো এ এলাকা থেকে অনেক দূরের শহরে থাকা মানুষের পক্ষে বিশ্বাস করা খুব কঠিন। এ এলাকার নামটা খবরের কাগজের পাতায় ওঠে ভাঙনের জন্য। এ মাটি তার পিঠের বাড়ি ঘর মন্দির মসজিদ বাজার চাষ জমি সব নিয়ে যে গঙ্গার জলের সাথে মিশে যায় সেটা আমার দেখা ফেসবুকের পোস্টের ভিডিওতে। এলাকার মানুষগুলো তাদের এক খানা মাত্র মাথা গোঁজার ঘর আর পায়ের নীচের জমিটুকু শূন্যে হারিয়ে ফেলে শক্ত মাটির খোঁজে আবার চলতে থাকে। বদলে ফেলে তার বাসা তার বাজার হাট চলার পথ। এসব— সবটাই আমার কাছে শুধু ছাপা অক্ষরের খবরের কাগজের নিউজ। আর ওই রাস্তাটার বাম ডানের আশেপাশের মানুষগুলোর কাছে জীবনের অধ্যায়।
জায়গাটা মালদা। শুকুরুল্যা পুর বাস স্টপেজে নেমে ডানপাশের রাস্তটা দিয়ে মিনিট সাত আট মতো হেঁটে গেলেই গঙ্গা। বাঁ হাতে ঘুরে যে মাটির রাস্তা সেটা গঙ্গার বাঁধ। তট বাঁধ। বাঁধের উপর দিয়ে রাস্তাটা সোজা পাগলা খালি ঘাটের দিকে চলে গেছে। ডান হাত দিয়ে সমান্তরাল ভাবে চলেছে গঙ্গা। মাঝে মাঝে ওপাড় থেকে ছোট ছোট নৌকো এদিকে আসতে দেখা যাচ্ছে। নৌকোগুলো বোঝাই ঘাসে। কাছে এলে বোঝা যাচ্ছে ওই ঘাস বোঝাই ডিঙি নৌকোগুলো বেয়ে আনছে একজন করে মহিলা। একলা একেকটা নৌকো টেনে নিয়ে আসছে। বিকেল বেলা ওই ঘাস বেচতে যাবে পাগলা খালি বাজারে। নদীর ধারে উলটে আছে মাছ ধরা নৌকোগুলো। তখন চড়া রোদ মাথার উপর। মাঝ দুপুর। বিকেল হলেই ছেলেরা বেরিয়ে যাবে মাছ ধরতে। ওই পাড়ের যে সবুজ জন বসতিহীন চড় দেখা যাচ্ছিল শুনেছিলাম সেটা নাকি এপাড়ের ঘর বাড়ি বাজার হাট সমেত মাটি ভেঙে নিয়ে ওপাড়ে পলি জমে তৈরি হয়েছে। ভেঙে যাওয়া মাটি আবার নতুন করে জমে ওদিকের জমিতে ঘাস গজিয়েছে। সে ঘাস তুলে এনে বাজারে বিক্রি করে ওই মহিলারা। ওই পাড়ের চড়ের নাম কাকড়ি বাঁধা ঝাউবনা শুকুরুল্যা পুর।
এ যায়গাটা মালদা স্টেশন থেকে পঁচিশ কিলোমিটার দূরে। এই বাঁধ ধরে হাঁটতে হাঁটতে মাঝখানে দুএকটা বসত বাড়ি আর দূরে দূরে অল্প সল্প মানুষ জন দেখা যাচ্ছিল। জায়গাটা নির্জন। বাঁ দিকে মাঝে মাঝেই আম বাগান। হাঁটতে হাঁটতে নানা রকম পাকা আমের গন্ধ আসছিল নাকে। দূরে দূরে যে মহিলাদের সাথে দেখা হয়ে যাচ্ছিল শাড়িগুলো সব সামনে আঁচল দিয়ে ঘোমটা দেওয়া। শরীরে কোথাও কোথাও উল্কি। হঠাৎ এক জনের গলার গয়নাটা চোখে পড়ে গেল। বহু ব্যাবহারে বেঁকে তেড়ে গেছে। তবুও তার আকার আকৃতিতে ডিসাইনে একটা অদ্ভুত বৈশিষ্ট আছে। এটা এই পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হওয়া নয় নিশ্চিত। রূপোর খাঁজ কাটা মোটা হাঁসুলি। বৃদ্ধার সামনে আঁচল দিয়ে পরা শাড়ির ঘোমটার জায়গাটা ছিঁড়ে গেছে। ঘোমটাটা চোখের উপর অবধি টানা। রোগা থুতনিতে উল্কি আঁকা। বৃদ্ধা দাঁড়িয়ে আছে গুমটি এক খানা দোকানের সামনে। দোকানের সামনে পাতা খাটিয়া উল্কি হাঁসুলি সব মিলে মনে হচ্ছিল আমি হাঁটতে হাঁটতে বোধহয় বিহারের কোনও গ্রামে ঢুকে পড়েছি। আসলে আমি বিহারে পৌঁছায়নি। এই এখানকার মানুষগুলো বিহার থেকে বহু বহু বছর আগে এই এলাকায় এসে পৌঁছেছিল। সেই তিনশ বছরের বেশি আগে বিহার থেকে শুকুরুল্যা শেখ এসেছিল নৌকা বাইতে বাইতে মাছ ধরার খোঁজে। সেই শুকুরুল্যা শেখের পরে পরে চলে এল বিহারের মোতিহারী ছাপরা বালিয়া আড়া জেলা থেকে মানুষ জনেরা। বিন্দ সম্প্রদায়ের মানুষজন। একশ দেড়শ কিলোমিটার নৌকো বেয়ে বেড়াতো ওরা। মাছের খোঁজে নদীতে ঘুরে বেড়াতো। ওরা এজায়গায় এসে থাকতে শুরু করল এই গঙ্গার পাড়ের এলাকাটাতে। সেখ শুকুরুল্যার নাম থেকে জায়গাটার নাম হয়ে গেল শুকুরুল্যা পুর। আগের জায়গাগুলো ছিল ভাঙনের জায়গা। এল আরেক ভাঙনের জায়গায়। শুকুরুল্যা পুরের ভূমি নদীর ভাঙনে বদলাতে থাকে। খাতায় কলমে শুকুরুল্যাপুরের মানচিত্র বদলে যায় বারেবারে। বিন্দ সম্প্রদায়ের মানুষরাও ভাঙনের সাথে সাথে উঠে চলে আসে একটু একটু সরে। নামটা থেকে যায় সেই এক।


সেই তিন সাড়ে তিনশ বছর ধরে এদের পূর্ব পুরুষ থেকে এই পুরুষ অবধি এই বারবার জায়গা বদলানোর গল্প শুনতে সেদিন আমি ওই জায়গাটাতে যাইনি।  গেছিলাম খোঁজে রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়া লেবারদের কথা শুনতে। বারবার জায়গা বদল করা মানুষদের নতুন প্রজন্ম আবার নতুন করে অন্য ঠিকানায় কাজে যায় কিনা জানতে।
শুনলাম বেশ অনেক বছর ধরেই নদীর মাছের হিসেব, বাজারে বিক্রির হিসেব, বাড়ি বসে বাঁধা বিড়ির ডজনের হিসেব, ঘাসের বস্তার হিসেব, ঘরের ফুরাতে থাকা চাল ডাল আটার হিসেব ছাড়াও অন্য অন্য হিসেব এসে ঢুকে পড়েছে এই গঙ্গার পার ঘেঁষা পাড়া গুলোতে। ঠিকাদারের কাছে পাওনা গণ্ডার হিসেব, লেবারের কাজে যাওয়া ছেলেদের হিসেব, ফিরে আসাদের হিসেব, বাদ চলে যাওয়ার হিসেব এরকম কত কত সব হিসেবের গল্প এই বাঁধের ধারের আমবাগানের নীচের টালি টিনের ঘরগুলোতে এসে ঢুকে পড়েছে।
ঠিকাদার আসে এপাড়ায়। যে রাজ্যে কাজে নিয়ে যায় ঠিকাদারের বাড়ি সেরাজ্যে নয়। মালদারই লোক তারা। ছেড়ে দেয় মালদা স্টেশনে ট্রেনে তুলে দিয়ে। তারপর নতুন ঠিকাদার। ঠিকাদারের পর ঠিকাদার বদলাতে থাকে।
পুরো রাস্তাটায় একটি মাত্র গুমটি দোকান ঘর চোখে পড়েছিল। তার সামনে খাটিয়ার উপর বসা বয়স্ক মানুষদের থেকে খোঁজ পেয়েছিলাম কাজ করতে গিয়ে সামতলী চৌধুরীর বড় ছেলের হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাটা। ঘটনাটা শুনে অবাক হয়েছিলাম খুব। একটি অল্প বয়সী ছেলের এরকম রহস্য মৃত্যুর  ব্যাপারটা ভারী অদ্ভুত মনে হয়েছিল। অসম্ভব কৌতুহল হচ্ছিল পুরো ঘটনাটা শোনার জন্য। মনে মনে ধারণা করছিলাম সামতলীর সাথে যখন দেখা হবে সামতলী কান্নায় ভেঙে পড়বে আমার কাছে তার ছেলের কথা বলতে গিয়ে। সিরিয়াল সিনেমায় ছেলের মৃত্যুর সিন দেখে আমার অভ্যেস। সেরকম কিছু ভাঙা গলার কথা কান্নাকাটি এসব আশা করে দৃশ্যটা সাজিয়ে  ফেলছিলাম মনে মনে। হল না। বুঝলাম শহর থেকে আসা এই লেখক যেরকম ভাবে এদের জীবনের গল্পের প্লটগুলো ভাবে সেটা আসলে একেবারে অন্যরকম।
ওই গঙ্গার বাঁধের উপর বারবার বাসা বদল করা মানুষগুলোর ভেতর বসে  কারুর ছেলের মৃত্যুর ঘটনাটা শুনতে গিয়ে আমার সাজানো কল্পনাগুলো উলোট পালট হয়ে গেল।
খাটিয়া পাতা জায়গাটা থেকে সামান্য দূরেই গঙ্গার পার ঘেঁষে বানানো বাঁশের মাচা। মাচাটাতে তখন চার পাচটি পনের ষোল সতের বছরের ছেলে বসা। তাস খেলছে। আমি কাছে যাওয়ায় তাস খেলা বন্ধ হল। সামতলীকে খুঁজে পাড়ার ভেতর থেকে এদের কেউ গিয়ে ডেকে আনলো। সামতলীর মোটা সোটা চেহারায় দেহাতি ছাপ। বাঁশের মাচাটাতে বসে পড়ল পাড়ার লোকের কথায়। ক্যামেরার সামনে কথা বলতে গিয়ে প্রথমে কেমন আড়ষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। প্রথমটায় বুঝতে পারছিলনা ওকে কি বলতে হবে। পিছন থেকে ওই অল্প বয়সী ছেলেরা হাঁ করে তাকিয়ে আছে আমার হাতের ক্যামেরার দিকে। আমার পিছন থেকে লোক জনেরা আমার প্রশ্ন গুলোই বারবার আউরে যাচ্ছে। বলছে, এ সামতলী বল না উ তোর বড় বেটাটার কথাটা। এই দিদিমণি কোলকাতা থেকে এসেছে। বোল উস্কো। কাগজটাতে লিখবে।
সামতলীর কানে কথাগুলো ঠিকমতো ঢুকছে কিনা বোঝা যাচ্ছিল না। আমার প্রশ্নগুলোও বুঝতে ওর অনেকটা সময় লাগছিল। আমি বাঁধের উপরের রাস্তাটায় কারুর বাড়ির থেকে আনা প্লাস্টিকের চেয়ারে বসা। মুখোমুখি সামতলী। গর্তে ঢোকা দু খানা রুক্ষ চোখ নিয়ে সামতলী আমার দিকে তাকানো। আমার পিছন দিয়ে অনেক লোকে ভিড় করে ফেলেছে সেদিকে দিকে না তাকিয়েও বেশ বুঝতে পারছিলাম।
সামতালী চৌধুরী’র ওর বড় ছেলের নামটা মনে করতে দু তিন সেকেন্ডের বেশি সময় লেগেছিল। পাশের কাকে যেন ‘আরে কিরে…?’ প্রশ্ন করে নামটা জেনে নিয়ে শম্ভু নামটা বলেছিল। ছেলের মৃত্যুর কারন, কি ভাবে ঘটনাটা ঘটেছিল এসব প্রশ্ন যতবার করছিলাম ততবার ওই ঘোমটা দিয়ে বসা সামতলী চৌধুরী উল্টে আমাকে প্রশ্ন করার সুরে উত্তর গুলো দিয়ে আসছিল।
জানি আমি…?
আমি কি ছিলাম ওখানে?
কি করবো বোলেন?
পড়ে মরে গেল কি গুম করে দিল, কি কি ভাবে উ মোরল কি করে জানবো বলেন দিদি!
গায়ে বিহারের গ্রামের কোনো গয়না না থাকলেও ফেলে আসা জায়গার সুর এখনও ভদ্রমহিলার কথায়। হিন্দী মেশানো বাংলা। বড় ছেলে ছিল লেবার। বাইরে কাজ করতে যেত। বলেছিল, ছেলে সেই বড় বড় বিল্ডিং হয় না ওইগুলা বানাতো। পন্দরা শোলা সাল সে যায় উ।
‘কোথায় গেছিল কাজে’ জিজ্ঞাসা করাতে উত্তরে টেনে টেনে বলেছিল, ও…ই দিল্লি… কি হরিয়ানা। উই দিকে…।
পিছন থেকে অন্যান্য গলায় কথার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম।
— উই দিল্লি যায় হরিয়ানা যায় সব এইদিক থেকে উই উদের সাথেই গেছিল।
ছেলের কাজে যাওয়া আর গুম হয়ে যাওয়ার রাজ্যটাযে ঠিক ওই ভারতের ম্যাপে কোনটা সেটা সামতলী ঠিকঠাক বলতে পারেনি।
— ওই এইখানকার লোক গেছিল আমার কুটুম গেছিল ওদের সাথেই গেছিল।
ছেলে মরার খবরটা সেই সব লোকজনের কাছ থেকে পেতে পেতে প্রায় মাস গড়িয়েছিল। কোথায় কিভাবে মরার দিনক্ষণ টাইম কারণ সব প্রশ্নের উত্তরে সামতলী ওই একটা প্রশ্নই কথার ফাঁকে ফাঁকে করে আসছিল।
— জানি আমি…? বলল তুর ছেলে আর নাই। কাজ করে ফিরেছিল ঘরে। তারপর গেছিল বলে এই ছোট একটা ছেলেকে নিয়ে বাজারে। ফিরেও এলো। তারপর বলে আর নাই। তারপর ফিরসে কাজে গেল কি ওখানেই কিচ্ছু হল, কি না হল, কি জানি…? কি করে জানব বলেন দিদি এত্তোসব?
আমি কি ছিলাম ওখানে?
এসব শোনার পর পরের প্রশ্নগুলো অবান্তর হলেও করেছিলাম। ছেলের বডি আসেনি? ক্ষতিপূরণ দেয় নি কিছু ঠিকাদার?
পরের না টা বলেছিল খুব জোর দিয়ে।
— নাঃ । কিচ্ছু না। কে আনবে দিদি সেই লাশ? কে দেবে টাকা?  কে যাবে বলেন অতো  দূ…র সেই বিদেশে! এক মাস তো জানিই নাই বেটাটা মরে গেছে। আর জানলামই না ছেলে বিল্ডিং থেকে পড়ে মরল কি গুম করে দিল ওকে? এইখানের ঠিকাদারে বলেছিল তুর ছেলে আর নাই।
— আর বাকিরা কি বলেছিল? কেউ কিছুই জানে না?
— বলল তো না। উরা সুধু বলল কি তুর ছেলে আর নাই। আমরা জানি না কি হুয়েছিল কি, কিভাবে মরে গেল।


সামতলীর পিছন থেকে বাঁশের মাচাটাতে স্কিন্টাইট গেঞ্চি স্যান্ডো গেঞ্জি জিন্সের প্যান্ট পরে বসে ওই ছেলেরা কথার মাঝে মাঝে নিজেরা কথা বলে চলছিল।
এবারের প্রশ্ন গুলো ছিল ওদের দিকে তাকিয়ে। ওরা এখন অন্য রাজ্যে লেবারের কাজে যায় । ওদের ওই কাজে যাওয়া, কাজের জায়গায় ওদের  অসুবিধার কথা জিজ্ঞাসা করাতে কেমন হঠাত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। কেউ কেউ হাসতে শুরু করল। বিড়বিড় করে হ্যাঁ যাই ত,যাই তো… বলতে বলতে একে এক চলে যেতে থাকলো  মাচা থেকে নেমে পড়ে।
শুনলাম এ জায়গায় বেশ কিছু বছর ধরে আর ভাঙন হয় না। দেখলাম আশপাশের গাছের গুড়ি গুলো মোটা হয়ে গেছে। বোঝা যাচ্ছিল মাটির তলায় শিকড় ছড়িয়ে গেছে অনেক দূর। আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব না এই পাড়া এই আম বাগান এই মাচা সমেত আবার কোনওদিন ভাঙনে সব কিছু চলে যাবে কিনা জলের তলায়।‌
জুন মাস চলছে তখন। ওই অল্প বয়সী  ছেলেরা তখন অন্য রাজ্যের লেবারের কাজ থেকে ছুটিতে এসেছে। এই সামতলীরই এদের বয়সী ছোট ছেলে এখন অন্য রাজ্যে আছে। গেছে কন্সট্রাকশান সাইটের লেবারের কাজে। সেটা কোথায় জিজ্ঞাসা করাতে সেই একই ভাবে সামতলীর কাছে উত্তর পেয়েছিলাম সেই হরিয়ানা না দিল্লী। বড় ছেলে মরেছে পাঁচ বছর হল। ছোট ছেলের যাওয়া শুরু বড় ছেলের মরার কয়েক মাস পরেই…।
এক জুন মাস গিয়ে পরের জুন মাস এসে গেছে। করোনা ভাইরাস এসেছে লকডাউন আনলক কত কি হয়ে গেছে এই দেশে। ওই বাঁধের ধারে আজোও গিয়ে পৌছালে আবার হয়তো সামতলীর মরা ছেলের নাম মনে করতে দু তিন সেকেন্ডের বেশি লেগে যাবে…।

Post a Comment

0 Comments