প্রকাশিত হল শারদীয় ‘এখন শান্তিনিকেতন’


প্রকাশিত হল শারদীয় ‘এখন শান্তিনিকেতন’

অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়

পু

জো মানেই বাঙালির কাছে যেমন মন-উদাস মেঘ, দিগন্তে কাশবন, ঘরে ঘরে খই-নাড়ু, দিনভর শপিং,— ঠিক সেরকম পুজো মানেই পুজো সংখ্যাও। শান্তিনিকেতন থেকে ‘এখন শান্তিনিকেতন’ পত্রিকার পুজো সংখ্যা তেমন একটি শারদ-সংকলন। শুক্রবার সন্ধেয় প্রকাশিত হল প্রায় দেড়শো জন লেখকের লেখা নিয়ে ৩৭২ পৃষ্ঠার এ বারের শারদীয় ‘এখন শান্তিনিকেতন’। 

এ বারও লেখক তালিকায় নক্ষত্র সমাবেশ— অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, নবকুমার বসু, নির্মলেন্দু গুণ, কবীর সুমন, শ্যামল চক্রবর্তী, সুমন গুণ, শ্রীজাত, স্মরণজিৎ চক্রবর্তী, চণ্ডী মুখোপাধ্যায়, পূ্র্ণেন্দুবিকাশ সরকার, দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, নন্দিতা আচার্য্য, দেবাশিস চন্দ, মঞ্জীরা সাহা। 

পত্রিকার সম্পাদক আবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রথমে ভেবেছিলাম শারদীয় পত্রিকাটি আমরা ওয়েবে প্রকাশ করব। এ বারের মতো মুদ্রিত সংস্করণটি বন্ধ রাখব। কিন্তু পরে, পাঠকদের আগ্রহ দেখে মুদ্রণের পথে যাই। এ বার ২টি উপন্যাস, ১৪টি ছোটগল্প, ২টি বিশেষ রচনা, ৫টি প্রবন্ধ, ৭টি স্মৃতিকথা, ১টি আখ্যান, ৪টি ভ্রমণ, প্রায় ৯০ জন কবির কবিতা, সিনেমা, সংগীত, শিল্প, সাক্ষাৎকার, আমার পুজো এবং ছোটদের জন্য আনন্দ পাঠশালা নিয়ে আমাদের শারদীয় রেকাব। বিশ্বাস রাখি, পাঠকরা ঠকবেন না।’’ তিনি জানান— লিখেছেন অনেক নতুনরাও। দুই বাংলার নাম রয়েছে লেখক-তালিকায়।  

করোনা-জনিত দূরত্ব বিধি মেনে, পত্রিকার প্রধান দফতর, শান্তিনিকেতনের রতনপল্লির, বইওয়ালা বুক ক্যাফেতে পত্রিকার এক সংক্ষিপ্ত প্রকাশ-অনুষ্ঠানে ছিলেন বিশিষ্ঠ ফটোগ্রাফার-লেখক সমীরণ নন্দী, কবি-শিল্পী অঙ্কন রায়, গল্পকার ইলোরা গঙ্গোপাধ্যায় এবং সম্পাদক। সমীরণবাবু বলেন, ‘‘এই পত্রিকার জন্মলগ্ন থেকে জড়িয়ে আছি। এটা আমাদের শারদ সংখ্যার দ্বিতীয় বছর। অনেক ভাল লেখার, সংগ্রহযোগ্য এক সংকলন।’’ ছোটদের বিভাগটি দেখেন অঙ্কনবাবু। তিনি যোগ করেন, ‘‘ছোটদের বিভাগে এ বার অনেক কিছু রয়েছে। গল্প, স্মৃতি, কবিতা, ছড়া— ছোটদের ভাল লাগবে আশা করছি।’’ পত্রিকার জনসংযোগের বিষয়টি দেখেন বিশাখা রায়। তিনি বলেন— ‘‘ইতিমধ্যেই বিপুল সাড়া মিলেছে।’’ 

গতবার এই পত্রিকার পুজো সংখ্যার প্রচ্ছদে ছিল বিশিষ্ট শিল্পী সুব্রত চৌধুরীর ছবি। এ বারের প্রচ্ছদের শিল্পকর্মটিও তাঁর। ভিতরের পাতায় পাতায় অলংকরণ করেছেন কবি-শিল্পী দীপ শেখর চক্রবর্তী, সঙ্গীতা চন্দ, অমল মাল। পত্রিকার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন কবি সুমন ঘোষ। তিনি বলেন— ‘‘এই সংখ্যাটির আয়োজনে থাকা— এ এক অসামান্য অভিজ্ঞতা। নব্বই জন কবির কবিতা রয়েছে। অনুবাদ কবিতা, গুচ্ছ কবিতা এবং একটি-দুটি কবিতার বিভাগ রয়েছে এই শারদ সংখ্যায়।’’ 

কীভাবে সংগ্রহ করা যাবে পত্রিকাটি?

প্রকাশক বইওয়ালা বুক ক্যাফের তরফে জানানো হয়েছে— কলকাতায় কলেজস্ট্রিটে অরণ্যমন, পাতিরাম, সুপ্রকাশ, ধ্যানবিন্দুতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া পাবেন— সিকিউরিটি এনক্লেভ, শিখর কুঞ্জ অ্যাপার্টমেন্ট, ৩ ক্যানাল ইস্ট রোড, কলকাতা ৭০০০৬৭ (যোগাযোগ ৯৮৩৬৮১৩৭৩০)। শান্তিনিকেতনে পত্রিকা পাবেন রতনপল্লির বইওয়ালা বুক ক্যাফে এবং ক্লাব মোড়ে রামকৃষ্ণ পেপার স্টলে। 

সংস্থার ওয়েবসাইট (www.boiwalabookcafe.com) থেকেও সরাসরি কিনতে পারেন। কোনও সমস্যা হলে ফোন করুন বা ফেসবুকে ইনবক্সে জানান। সংস্থার ফোন নম্বর : ৯১৬৩৮৭৮২৬৩

Post a Comment

0 Comments