আনন্দপাঠশালা



বন্ধুদাদার চিঠি

প্রিয় বন্ধুরা, 

হইহই করে এসে গেল শারদীয় ‘এখন শান্তিনিকেতন’। আর তারই হাত ধরে তোমাদের প্রিয় ‘আনন্দ পাঠশালা’—ও হাজির তার রকমারি লেখার পসরা নিয়ে। মুদ্রিত আকারে অবশ্যই। সেই বই তোমরা অবশ্যই সংগ্রহ করবে। তার সঙ্গে এই সাপ্তাহিক আনন্দের পাঠশালাতেও তোমাদের উপস্থিতি নিয়মিত চাই। তা না হলে আমরাই বা উৎসাহ পাব কি করে বলো? আমরা বড়রা তো চাই তোমাদের জন্য তোমাদের মনের মতো জিনিসপত্র নিয়ে আসতে। তোমাদের হাসিমুখ দেখার জন্য আমরা উদগ্রীব হয়ে থাকি। তোমরাও আমাদের সঙ্গ দাও৷ আজ ধারাবাহিক সুন্দরবনের গপ্পো তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে রইল একটি মিষ্টি ছোটগল্প পুজো নিয়ে। তোমরা পড়ো আর আমাদের লেখা পাঠাও টাইপ করে। 

ভাল থাকো সব। সাবধানে থাকো এই দুর্দিনে। 

তোমাদের বন্ধুদাদা


ছোটগল্প

ছোট্ট রিনির মিষ্টি পুজো

সুরভী দাস

রিনি কখনোই ভোরবেলা ওঠে না। সকাল আটটার আগে ওর ঘুমই ভাঙে না। কোনওদিন সকালে তুলে দিলে রিনি সব সময় বলে, মা তুমি ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলে তো! আজ আমার সারাদিন মাথা ব্যথা থাকবে আর ঘুম পাবে। সেই কারণে মা বাবা কেউই ওকে ডাকে না সকাল সকাল। ও বলতেই ভুলে গিয়েছি রিনি একটি ছোট্ট মেয়ে, বয়স মাত্র আট বছর। ছোট থেকেই বড্ডো শান্ত ও আদুরে। ওদের একত্রিত পরিবার। তাই আদরটা অনেক বেশি পায়। মা প্রতিদিন সকালে ডাকতে ডাকতে তোলেন ঘুম থেকে রিনিকে। কিন্তু বছরের একটা বিশেষ দিন আছে যেদিন রিনি ভোরবেলা উঠে যায়। সেই দিনটি হল মহালয়া। ভোর তখন চারটে, রেডিওতে রিনির বাবা শুনছেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া। রিনিও একটুও দেরি করে না। ওরও ওই ছোট থেকেই অভ্যেস রেডিওতে মহালয়া শোনা। মহালয়া শুনে রিনি উঠে পড়ে। তারপর বের হয় শিশির ভেজা রাস্তা দিয়ে হাটতে বাড়ির বড়ো কারো সঙ্গে। ওর মনে তখন পুজোর আনন্দ। পাশের বাড়ির শিউলি গাছ থেকে সদ্য ঝরে পরা শিউলিগুলো রিনি জামার মধ্যে করে কুড়িয়ে নিয়ে আসে। ফুল খুব ভালোবাসে রিনি। মহালয়া চলে যাওয়া মানেই রিনির জামাকাপড় নিয়ে বসা কারণ পুজো চলে এসেছে। কোন্ জামাটা কোন্ দিন পড়বে সেটা আগে থেকেই ঠিক করে নেয় রিনি।  

রিনির পুজো দেখা শুরু হয় ষষ্ঠী থেকে। এইবারের পুজোটা রিনির কাছে একটু অন্যরকম। এই প্রথম ওদের পাড়াতে দুর্গাপুজো হবে। রিনি তো এবারে ঠিক করে নিয়েছে যে মায়ের সঙ্গে ও সারাদিন ওই পুজো মণ্ডপে কাজ করবে। এই ছোট্ট মেয়েকে কে বোঝাবে যে সে অনেক ছোট! কিন্তু রিনি ঠিক নিজের কাজ বের করে নিয়েছে। সে বলেছে সে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার ফুল জোগাড় করবে আর দুগ্গা মাকে সাজাবে। ঠাকুর আনতে গেল রিনি, সেকি নাচ তার। বাড়ি এসে সবাইকে ঠাকুর আনার কত গল্প করলো। পরদিন সপ্তমীতে সকাল সকাল পুজো মণ্ডপে গেল মা'র সাথে। সেখানে এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসলো সে। ঠাকুরের জন্য আনা মিষ্টি সে খেয়ে নিল কয়েকটা। সেই দেখে  মা প্রচন্ড বকতে শুরু করলো রিনিকে। কিন্তু পাড়াতে রিনি প্রায় সবারই আদরের। তাই বেশিক্ষণ বকতে পারলো না মা। পাশের বাড়ির কাকিমা এসে রিনিকে কাছে টেনে নিয়ে বললো ছোট্ট মেয়ে খেয়েছে তো কি হয়েছে, ছোট্ট রিনি মা তো আমাদের ছোট্ট দুগ্গা। 

এতক্ষণ রিনি কাঁদছিল কিন্তু এটা শুনে হাসতে শুরু করলো। মাকে রিনি বললো, দেখলে তো মা আমিও দুগ্গা। শুধু শুধুই আমায় বকছিলে। সেই যে কাকিমা বলেছে যে সেও দুগ্গা, বাড়ি আসার পর থেকে সবাইকে সে বলছে যে সে দুগ্গা রিনি। আর অনবরত জেদ করছে যে তাকে দুর্গা মায়ের মত করে সাজাতে হবে অষ্টমীর দিন সকালে। বাবার কোলে বসে শুধু কেঁদেই যাচ্ছে। যখন মা বললো যে তাকে সাজিয়ে দেবে তখন তার মুখে হাসি ফুটেছে। তারপর রাতে কাকুর সঙ্গে সুন্দর একটি জামা পরে ঘুরতে বের হলো রিনি। রিনির ঠাকুর দেখা মানে দুর্গা মাকে দেখার আগে অসুরটাকে দেখা। কোন অসুর কিভাবে তাকিয়ে আছে আর তাকে কেমন লাগছে সেটা এসে রিনি ওর বাবাকে গল্প করে। কটা ঠাকুর দেখলো, কোন্ ঠাকুরটা বেশি ভালো লাগলো সেটা বাড়ি এসে সব গল্প করে। যত রাতেই ঠাকুর দেখে ফিরুক, আগে গল্প করে বলবে তারপর রিনির ঘুম আসবে। অষ্টমীর দিন সকালে মা রিনিকে দুর্গা মা'র মত করে শাড়ি, টিপ, চুরি, মালা, কানের দুল সব পরিয়ে সাজিয়ে দিল। রিনির খুশির তখন অন্ত নেই। তারপর চললো মা আর কাকিমা’র সঙ্গে মণ্ডপে। 

কী যে অপূর্ব লাগছিল রিনিকে। সত্যি একদম দুর্গা। সবার সঙ্গে রিনি ছবি তুলেছে অষ্টমীতে। কেউ ওকে ছাড়ছিলই না। সবার কাছে এত আদর পেয়ে বাড়ি এসে সে এতটাই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে যে জামাকাপড় না ছেড়েই ঘুমিয়ে গিয়েছে। পরেরদিন একটু দেরি হলো ঘুম থেকে উঠতে রিনির। উঠেই সে হম্বিতম্বি শুরু করলো যে আজ তাকে মামাবাড়ি নিয়ে যেতেই হবে। রিনির মামাবাড়ি ওদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি গ্রামে। 

রিনি প্রতিবারই যায় নবমীতে দাদুর গ্রামের পুজো দেখতে। এবার পাড়াতে পুজো হয়েছে বলে রিনির মা গেলো না, রিনি তাই বাবার সঙ্গে গাড়ি করে গেল। ওখানে রিনির একটি ছোট্ট খেলার সাথি আছে, সে হল তার মামার মেয়ে তুলি। দুজনের বয়সের তফাৎ দুই বছরের। কিন্তু দুজনে খুব ভালো বান্ধবী। তাই পুজোতে একদিন  তুলির সঙ্গে ঘুরতে না পারলে রিনির পুজো সম্পূর্ণ হয় না। বিকেল থেকে সন্ধে পর্যন্ত ঠাকুর দেখে আবার বাড়ি ফিরে চলে আসে বাবা আর মেয়ে মিলে। দেখতে দেখতে দশমী চলে এল। রিনি, রিনির মা, কাকিমা মিলে  বিকেলবেলা ঠাকুরকে তেল সিঁদুর দিতে যাবে। 

রিনিও তার নিজের কিছু বই আর খাতা নিয়ে যায় দুর্গা মায়ের পায়ে ছোঁয়াতে। পারলে পুরো ব্যাগটাই নিয়ে যায়। দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ সবার পায়ে বই ঠেকিয়ে প্রণাম করে কিছু ফুল বেলপাতা নেয় বইয়ে রাখার জন্য। কিন্তু সব থেকে মজার যে কাজটি রিনি প্রতিবার করে সেটি হলো অসুরের মাথায় বইগুলো ঠেকিয়ে নিয়ে আসে। এই বিষয়ে রিনির বক্তব্য হলো, সব ঠাকুর আমাদের আশীর্বাদ দেন, বুদ্ধি দেন, পড়াশুনা ভালো করি তার আশীর্বাদ দেন, ভাল মানুষ হই তার আশীর্বাদ দেন। তাই রিনি বইগুলো অসুরের মাথায় ঠেকায় যেন অসুরটার সুবুদ্ধি হয় আর ভাল মানুষ হয়। 

দশমীতে সবাইকে প্রণাম করে রিনি। মনে তার দুঃখ থাকে যে পুজো শেষ হয়ে গেলো কিন্তু দশমীটা তার কাছে অন্যরকম প্রিয় কারণ সেদিন মিষ্টি, ঝুরি- বোঁদে এসব ঘরে আনা হয়। আর মিষ্টি রিনির ভীষণ প্রিয়। দশমী থেকে রিনির মিষ্টি খাওয়া শুরু হয় আর সেটা শেষ হয় লক্ষ্মী পুজোর নাড়ু দিয়ে। 

এইভাবে রিনির  দুর্গাপুজো কেটে যায় সুন্দর সুন্দর মুহূর্তের মধ্য দিয়ে। রিনি অপেক্ষা করে আবার পরের বছরের দুর্গাপুজোর জন্য।



ধারাবাহিক/ ৩

জলে জঙ্গলে সুন্দরবন

প্রকাশ কর্মকার

ব্রজেশ দাস হলেন আমাদের যাত্রাপথের সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গী যিনি সুন্দরবনের নানা সুস্বাদু খাবারের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করাবেন এই ক’দিন অর্থাৎ তিনি হলেন একজন নামকরা কুক। বয়স ষাটের উপর হবে, তবে চেহারা দেখে মনে হবে না এত বয়স। সুন্দরবনের বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পট তার নখদর্পণে। বিভিন্ন সহযাত্রীদের নানান ঘটনার সাক্ষী সে। তাই তাকে আমাদের সঙ্গে পেয়ে আমরা  নিজেদের খুবই ভাগ্যবান মনে করলাম। যাই হোক রাতের খাবারের আয়োজন খুব ভালোই হল। রাতের খাবার দেখে আমরা সত্যিই খুশি হলাম। মেনুতে ছিল গরম সরু দুধেশ্বর চালের ভাত, কাতলা মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, ইলিশ মাছ ভাজা, ঝাল ঝাল সমুদ্র কাঁকড়ার একটা আইটেম, দুটো করে খেজুর গুড়ের রসগোল্লা। রাতের খাবার খেয়ে আমরা চারজন হামিদ, সুজয়, মিহির ও আমি লঞ্চের ডেকের উপর সামুদ্রিক হাওয়া উপভোগ করছি আর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি এমন সময় কিছু দূরে অন্ধকারের মধ্যে নদীর ধারে কিছু একটা কালো জিনিস লক্ষ্য করলাম। চোখগুলো অন্ধকারে জ্বলজ্বল করছে। 

‘কি ওটা?’ ... হামিদ প্রশ্ন করল। সুন্দরলাল কাকাকে ডাক দিয়ে ব্যাপারটা বলার চেষ্টা করলে আমাদের কথা শেষ না হতেই উনি বললেন, ‘নিচে নেমে আসুন বাবুরা, রাতের অন্ধকারে এই সব অঞ্চলে অনেক কিছু দেখা যায়, আপনারা নিচে নেমে আসুন।’

হামিদ বলল, 'কাকার ছেলে মারা যাওয়ার পর থেকেই হয়তো একটু ভীত, তাই বলে আমরা জিনিসটা না দেখে নেমে যাব? একটু স্থির হয়ে দেখার চেষ্টা করি, জিনিসটা কি? ওটা না দেখে আমি নিচে যাব না।'

সুজয় বলল, 'দেখ হামিদ আমরা এই অঞ্চল সম্পর্কে কিছুই জানি না, কিছু বিপদ হবার আগে চল নিচে নেমে যাই, সুন্দরলাল কাকার কথা আমাদের শোনা উচিত।'

মিহির বলল, 'সুজয় ঠিক বলেছে, চ আমরা নিচে যাই।'

আমি হামিদকে জোর করলাম নিচে যাওয়ার জন্য, কিন্তু ও শোনার পাত্র নয়, কিছুতেই সে নিচে যাবে না। আমাদের নামতে দেরি দেখে সুন্দরলাল কাকা নিজেই উপরে উঠে এলেন। 

'কি হল বাবুরা, এখনও এখানে দাঁড়িয়ে? নিচে চলুন , আপনাদের শোবার ব্যবস্থা করে দিয়েছি, রাত দশটা বাজে। আর দেরি করবেন না।' 

সুন্দরলাল কাকাকে দূরে ওই জিনিসটা দেখিয়ে বললাম, 'কাকা দূরে ওটা কি?' 

উনি একটু চেয়ে বললেন,'ও, ওটা একটা চিত্রা হরিণ জল খেতে এসেছে।'

তবুও হামিদ নিচে যেতে চাইলো না। আমি নিরুপায় হয়ে বললাম, 'ঠিক আছে আমি আর হামিদ এখানে কিছুক্ষণ থেকে নিচে আসছি।' 

সুন্দরলাল একটু বিরক্ত হয়ে বললেন, 'কাজটা ভালো করলেন না। আমি জানি না আপনারা কেন এমন করছেন? কিন্তু তবুও আমি আপনাদের বলছি কিছু জিনিস দেখলে তাকে দেখতে জঙ্গলে যাবেন না, এখানে প্রতি পদে পদে বিপদ লুকিয়ে আছে। কখন কি হয় কে জানে? আর কিছু যদি বোঝেন আমায় ডাকবেন।' 

হামিদ বলল, 'ঠিক আছে কাকা, কিছু দরকার হলে আপনাকে ডাকবো।' 

সুন্দরলাল নিচে নেমে গেল। আমরা অর্থাৎ আমি আর হামিদ ডেকের একটা পাটাতনের উপর জঙ্গলের দিকে মুখ করে বসে গল্প করতে লাগলাম। মিনিট পনেরো পরে সুজয় ও মিহির আমাদের পাশে এসে বসল। 

হামিদ বলল, 'কি রে সুজয় নিচে ঘুম হল না বুঝি?' 

সুজয়— 'না রে ঘুম আসছে না, এই জঙ্গলের মাঝে নদীর বুকে কিছুতেই ঘুম আসছে না, শুধুই ভয় মনকে চঞ্চল করে দিচ্ছে।'

মিহির— 'দূরে জলের মধ্যে ওটা কি?'

হামিদ— 'তাই তো, ওটা কি?'

সুজয়— 'চল আমরা নিচে নেমে যাই, ওটা যা হোক তাতে আমাদের কাজ নেই, বিপদ এড়িয়ে চলাই় ভালো।'

হামিদ—  'জিনিসটা একটু চকচকে লাগছে না? মনে হচ্ছে এটা একটা হালকা আলোর উৎস। আলোটা দূরে সরে সরে যাচ্ছে।'

সুজয়— 'আমি শুনেছি সুন্দরবনে এইরকম আলো প্রায়ই দেখা যায়, এই আলোর সন্ধান করতে গিয়ে অনেকেই প্রাণ দিয়েছেন তার অনেক লোকগাঁথা এই অঞ্চলে শুনতে পাওয়া যায়। এই অদ্ভূত অজানা আলোকে এই অঞ্চলের লোকেরা 'আলেয়া' বলে। এটা সবসময় দেখা যায় না, মাঝে মধ্যে দেখা যায়। এই আলোর পথে পা বাড়িয়ে অনেক নৌকো মাঝি বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। তবে এই অঞ্চলের কিছু মানুষ এটাকে শুভ সংকেত বলে মনে করে। তারা বলে নদী পথে যারা যাতায়াত করে তাদের আগাম বিপদ সতর্কতা হিসাবে এই আলোর উৎসের দেখা মেলে। যারা এই আলো দেখে আর সামনের দিকে এগিয়ে যায় না তারা তো বেঁচে যায়। কিন্তু যারা এই আলোর পিছু অনুসরণ করে তারা এক অজানা বিপদের সম্মুখীন হয়।'

মিহির— 'আমি শুনেছি এই অঞ্চলের মানুষজন এই অদ্ভূত দর্শন আলোর রেখাকে 'আলেয়া ভূত' বলে, যা মানুষকে দিকভ্রান্ত করে মৃত্যুপুরিতে নিয়ে যায়।'

হামিদ— 'আমি কিন্তু ওই সব ভাবছি না, আমি ওটার দিকে তাকিয়ে চেষ্টা করছি কিছু রহস্য ভেদ করা যায় কিনা।'

'এই যে বাবুরা অনেক রাত হল নিচে শুতে চলুন 'ব্রজেশ দাস ডাকল।

আমি ব্রজেশ দাসকে আঙুল তুলে ওই আলোর রেখাটা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,' 'দেখুন তো ওটা কি?' 

ব্রজেশ দাস আলোর উৎসের দিকে একটা প্রণাম করে বলল, 'তুমি আমাদের বিপদের মুখে ফেলো না, তুমি শান্ত হয়ে বনের মধ্যে ফিরে যাও।'

ব্রজেশ কাকু কেন এমন করলেন তা জানার জন্যে তাকে জিজ্ঞাসা করলে উনি বললেন, 'নিচে চলুন এ সম্পর্কে একটা প্রাচীন গল্প আপনাদের বলব, আসুন সবাই নিচে আসুন।'

(ক্রমশ)

Post a Comment

0 Comments