চোপ, লকডাউন চলছে আবীর মুখোপাধ্যায় লেখাটা যখন লিখছি, আনন্দবাজার পত্রিকায় আমার প্রাক্তন সহকর্মী, এই বীরভূমেরই ছেলে রোহন ইসলামের ফেসবুক পেজে চোখ গেল। কী বিস্ফোরক তথ্য! এদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, ১ থেকে ১০০০-এ পৌঁছেছে ৮ সপ্তাহে। আর হাজার থেকে ২০০০-এ লাগল মাত্র ৪ দিন! ৯৬ ঘণ্টা! আর গোটা দেশে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৪১! রোহনের অঙ্কে ভুল হয়নি। ভুল আমাদের। ‘আমরা’ মানে— আমরা যারা রোজ সকাল হতেই, দাঁতে নিমকাঠি গুঁজে ঝোলা নিয়ে নানা অছিলায় বেরিয়ে পড়ছি পথে। ‘আমরা’ মানে প্রতিদিন যারা সব্জি, মিষ্টি, মাছের দোকানে লাইন দিচ্ছি। মানে, আমাদের তো রোজ …
আক্রান্ত বাড়ছে, মুজরো করছি আবীর মুখোপাধ্যায় নির্বাসনের জীবন শুরুতেই একটা আশঙ্কা করছিলাম, সপ্তাহ গড়াতেই সত্যি হল! টেলিফোনে কাকে যেন বলছিলামও আশঙ্কার কথা— বড় অস্থির, বড় অসহিষ্ণু এখন আমরা। শেষ পর্যন্ত পারব তো...। কাকে যেন বলেছিলাম...! পারছি আর কই! আসলে কোনও কিছুর মধ্যেই খুব বেশিদিন, বেশিক্ষণ থাকতে পারি না আমরা। সে সিনেমা হোক, গান হোক, বই হোক, রাজনীতি হোক, সম্পর্ক হোক, রাগ-দুঃখ-অভিমান-শোক-ভালবাসা হোক— কোনও কিছুই না। কারও সঙ্গেই খুব বেশিক্ষণ চোখে চোখ রেখে কথাও বলতে পারি না। ছবি রিলিজ হয়— সপ্তাহ পার হতেই ভুলে যাই আমরা। নতুন ট্রেলার হাতড়া…
গগনে এত আলো এমন ভাবে ‘এখন শান্তিনিকেতন’ পত্রিকার ই-ভার্সান শুরু করতে হবে— ভাবিনি! এমন মানে কেমন? এমন করে এমন— একটা টেবিল, দুটো চেয়ার, রাতারাতি বইওয়ালা বুক ক্যাফে বন্ধ করে রতনপল্লির অফিস থেকে বাড়িতে তুলে আনা একটা ডেস্কটপ, জরুরি পরিস্থিতির কথা বলে এক দুপুরে লাগানো নেট-কানেকশন নিয়ে দেড় দিনের লড়াই! নাগাড়ে, নির্ঘুম কাজ করতে গিয়ে বারংবার হোঁচট খেতে খেতে মনে পড়ে যাচ্ছিল ৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিটে প্রথম চাকরি my.anandabazar.com-এর দিনগুলোর কথা। আর আমার তখনকার সিনিয়র সেবাব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। সেবাদা বলতেন— নতুন দিনের কথা, ডিজিটাল সময়ের কথা।…
আলোর পথে, অমৃতের পথে ৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট থেকে রতনপল্লি— কর্মক্ষেত্র বদলে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে, শান্তিনিকেতনে ফিরে মনে হল, একটা কাগজ হোক এখান থেকে। শিল্প-সাহিত্যের কাগজ। নিত্য বইওয়ালায় বসে ভাবি, কত প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক, চিত্রকর এখনও শান্তিনিকেতনে! এখনও সুরে সুরে সুদূরে সন্ধেতারা ওঠে। হাওয়ায় হাওয়ায় এস্রাজি পকড়। রোদ-বৃষ্টি-জ্যোৎস্নায় ভিজে এখনও শান্তিনিকেতন ‘সব পেয়েছির দেশ।’ চতুর্দিকে যামিনী পটে জড়ানো স্মৃতি-পাঠ। উঠতে বসতে, সাহিত্যের দালানকোঠা, সাতমহল! ভেবে চলি, এখানে একটা কাগজ হোক। সবাইকে জুড়তে হবে সাহিত্যের সাত-সেলাইয়ে! প্রকাশক, প…
সংযোগ