বইওয়ালার রবিবার/ ২ সে যুগের কেচ্ছা একালের ইতিহাস আবীর মুখোপাধ্যায় সে ছিল হুঁকো-খাওয়া সাহেব নবাব, জুড়ি-গাড়ি-চড়া রাজা-বাবুদের আমল। তখন ‘কুলীন ব্রাহ্মণ থেকে নৈয়ায়িক পণ্ডিতকে কেনা’ যেত। বাবু-বিবিদের এই কলকাতায় সমাজের উচ্চবিত্তরা ‘পরকালের জন্য পুণ্য সঞ্চয় করতে গিয়ে ইহকালের দেবতার মূর্তি চুরি করতেও দ্বিধা’ করত না। হুতোমের এই নক্সা-বাজ বাবুরা ‘নিজেদের মধ্যে অনেকেই পতিতালয়ে গমন করলেও বারাঙ্গনাপুত্র লেখাপড়া শিখতে চাইলে ‘গেল গেল রব’ তুলত। এই আঠারো-উনিশ শতকের ‘কেচ্ছা’ নিয়েই লেখক-সম্পাদক-বানান মনোযোগী সুবীর রায়চৌধুরীর গ্রন্থ ‘সে যুগের কেচ্ছা একা…
বইওয়ালার রবিবার/ ৩ করতলে এত রং, জামাল! আবীর মুখোপাধ্যায় এমন কখনও হয়নি! কখনও কোনও বই পড়তে গিয়ে, বই নিয়ে লিখতে গিয়ে কখনও এতো রঙ লাগেনি করতলে! দেখতে দেখতে সেই রঙে রাঙা হল মন। তবু রং যেন উদাসীন! বইটির নাম ‘জামাল’। ‘জামাল’ আদতে শিল্পী জামাল আহমেদের শিল্প-চর্চার একটি দুর্লভ সৃজন-সংগ্রহ। প্রতি প্রতি পৃষ্ঠায়, কাদাজল মাখা মানুষ-পশু-পাখি-ঘাসফুলের জন্য উদার অভ্যর্থনা। নদীমাতৃক বাংলাদেশের ছবিতে ছবিতে ছয়লাপ। শতাধিক পৃষ্ঠার ‘জামাল’ যতো দেখি, আর দেখি অন্তর্চেতনের ভিতর এলোমেলো অপার নিসর্গ এসে দাঁড়ায়। ঠিক যেন নন্দলালের মতো মাটির বৈভবে পূর্ণ। কখনও …
সংযোগ