পদাতিক মৃণাল সেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায় এই শহর কলকাতাতেই থাকতেন মৃণাল সেন। এখন আর মৃণাল সেন নেই এই শহরে, নেই এই গ্রহে। কলকাতা তাঁর কাছে ছিল এল ডোরাডো। সব পেয়েছির দেশ। প্রেমের শহর। কলকাতার অসুখে তিনি যন্ত্রণা পেতেন, কলকাতার সুখে তিনি আহ্লাদিত হতেন। এই শহর কলকাতার মানুষটি সারা পৃথিবী ঘুরেছেন। মনেপ্রাণে তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক। সারা পৃথিবীতে ছড়ানো ছিল তাঁর বন্ধু। যেমন উপন্যাসে যিনি এনেছেন জাদু-বাস্তব সেই মার্কেসের সঙ্গে তাঁর ছিল অভিন্নহৃদয় বন্ধুত্ব। বাঙালি তাঁকে চেনার আগেই মার্কেসের গল্প শুনেছি মৃণালদার মুখে। মার্কেস চেয়েছিলেন তাঁর গল্প নিয়ে…
ভাঙনের বিপন্ন আজান সুমন গুণ চেনা মাটির সঙ্গে, চেনা চারপাশের সঙ্গে, চেনা পাড়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের যে কোনও মুহূর্তেই ভেতরে ভাঙনের আওয়াজ টের পাওয়া যায়। এক বাড়ি ছেড়ে অন্য বাড়ি যাবার মধ্যেও যে বেদনা, তার সঙ্গে নিজের দেশ থেকে অন্য দেশে ছিন্নমূল হয়ে পালিয়ে যাবার যন্ত্রণার তফাতটা শুধু স্থানের নয়, শুধু ছেড়ে যাওয়ার নয়, চিরকালের জন্য নিজের অস্তিত্বের অংশকে বিচ্ছিন্ন করার যন্ত্রণা এখানে প্রধান। এতদিন ধরে বেঁচে থাকার সব মুহূর্ত অর্থহীন হয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা। এতদিনের বারান্দা, পাশের বাড়ি, পাড়ার মোড়, অফিসফেরত সন্ধে ... সব খাদের কিনারে ঢলে যা…
সত্যজিতের রবীন্দ্রনাথ চণ্ডী মুখোপাধ্যায় সত্যজিতের জন্মদিন মানেই তখন খবরের কাগজের সাংবাদিকদের কাছে তাঁর জন্মদিন ঘিরে বিশেষ স্টোরি খোঁজার দিন। আমি তখন আজকাল-এর সংস্কৃতি বিভাগের সঙ্গে জড়িত। তাই দায়িত্বটা আমারই। প্রথম প্রথম অসুবিধা ছিল না। জন্মদিনে সত্যজিতের বিশপ লেফ্রয় বাড়িতে গেলে স্টোরির অভাব হত না। কেন না সেদিন তাঁর বাড়ি যেন সংস্কৃতির মহাতীর্থ। কিন্তু মুশকিল হল আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে। জন্মদিনে সত্যজিৎ সপরিবারে অজ্ঞাতবাসে চলে যেতে শুরু করলেন। কোনও বছর কলকাতার কোনও ফাইভ স্টারে, কোনও বছর কাঠমান্ডু কিংবা মুম্বাইএর কোনও অভিজাত হোটেলে। …
সংযোগ