অন্তরঙ্গ সতীনাথ/ পর্ব ৩ আলো রায় ফণীশ্বরনাথ ‘রেণু’ হিন্দী সাহিত্যে একটি উজ্জ্বল নাম। দীর্ঘ শ্যামবর্ণ পেটানো চেহারা। বড় বড় চোখ, কোঁকড়ানো একমাথা বাবরি চুল, মুখে চুরুট নিয়ে ফরবেশগঞ্জের রেলস্টেশনে এক নম্বর প্লাটফর্মে রামবাবুর স্টলে বিকেলে প্রায়ই বসে থাকতেন। আমরা ক'জন ব্যাঙ্ক কর্মচারী দিনের শেষে রামবাবুর হাতের এক কাপ চা খেয়ে মেসবাড়িতে ফিরতাম। যেদিন ‘রেণুজী’ থাকতেন, সেদিন আমাদের তাড়াতাড়ি ফেরা হত না। পূর্ণিয়ার ছেলে বলে বা সতুদার পাড়ার লোক বলে একটু সস্নেহ প্রশ্রয় ছিল তাঁর। সেই অধিকারে একদিন সসংকোচে জানালাম, ‘রেণুজী, অনেকদিন আগে প্রায় ছেলেব…
অন্তরঙ্গ সতীনাথ/ পর্ব ২ আলো রায় একবার বিভূতিভূষণ (মুখো) এসেছেন পাড়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে। আমরা আধপাকা ছেলের দল উঁকিঝুঁকি মারছি। বিকেল চারটেয় ফিরে যাবেন দ্বারভাঙ্গায়। দুপুরে বললেন, ‘অমূল্যবাবু(বেয়াই), পূর্ণিয়ায় এলাম। সতীনাথ দর্শন হবে না? একটু খবর দিন, দেখা করে আসি।’ অমূল্যজ্যাঠা আমাদের দিকে তাকাবার আগেই দে দৌড়। সতুদার বিরাট বাগানঘেরা বাড়িতে ঢুকতে গেলে অনেকটা ঘুরে বড়ো গেট দিয়ে যেতে হয়। অথচ পাশেই একটা ছোট মাপের পাঁচিল আছে। অনায়াসে টপকানো যায়। গণেশদার বাড়ির লাগোয়া। অমূল্যজ্যাঠার বাড়ি থেকে এক মিনিটের রাস্তা। সতুদা শৃঙ্খলার ভক্ত। তাড়াতাড়ির জন্…
অন্তরঙ্গ সতীনাথ / পর্ব ১ আলো রায় সতীনাথ ভাদুড়ী। না - এই নামে পূর্ণিয়ার কোনও বঙ্গবাসী তাঁকে সম্বোধন করেন না, এখনও। আজও তিনি 'সতুদা'। এবং মুষ্টিমেয় কয়েকজন পুরনো অধিবাসী ও হিন্দীভাষী বুদ্ধিজীবী সাহিত্যিক ছাড়া জনমানসে তিনি অদৃশ্যপ্রায়। বিহার বাঙালি সমিতির উদ্যোগে মাঝে মাঝে তাঁর স্মরণে আলোচনায় বসেন অতীতবিলাসী কিছু জনগণ, ব্যস! বাংলা সাহিত্যপাঠকের কাছে সতীনাথ একজন স্বল্পচর্চিত অথচ মূল্যবান লেখক। আজীবন পূর্ণিয়াবাসী এই প্রবাসী সাহিত্যিক নিজের শহর ও মানুষজনকে ভালোবেসে একান্তেই রয়ে গেলেন। প্রথমেই বলে রাখি 'সতুদা'…
সংযোগ