বিষাদসিন্ধু স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় দহনের বিষাদ ঢালে, ঢালে বিষ বাষ্পের ফেনা এই চোখ, এই মূর্তি, ঊষাকালে আমার অচেনা কিম্ভুত সময় যেন, চারপাশে দেখি তার ছায়া লোল জিহ্বা মেলে ধরে, সর্বগ্রাসী ভ্রান্তিময় মায়া... কোথায় আলোর চিহ্ন, কোথা মুক্তি, শব্দময় প্রেম আমার হারিয়ে ফেলা সব স্মৃতি, তোমায় দিলেম রেখে দাও চক্ষুধারে, রাখো শিরে, আধেক কপালে এমন ছিন্ন মালা কেন যে তুমি, আমাই পরালে? হে দেবী, বিষাদসিন্ধু, এইভাবে ডাকো নাকো আর পালাবার পথ দাও, ডেকো নাকো অন্তরে আবার সন্মুখে অনেক যুদ্ধ, বহু পথ পেরোনোর ডাক ভেঙে দিয়ে মনোরথ, আর তুমি, করো …
রূপম ভাল আছে সুজিত দাস মান্যবরেষু, এম এ পাশ, বাবা নেই। কিন্তু চাকরি চাই না আমার। পিওনের কাজ আমাকে দিয়ে হবে না। ক্যাডারের চাকরিও। প্রেমিকারা নদীর এপারেই আছে। এপারে এখনও মুথাঘাস। ঘাসের ডগায় মুনিয়া পাখির দোলনা। তমাল তরুমূলে ফোন ঘোরাবার মতো কেউ নেই মামা, কাকা, জ্যাঠা এমনকী বাতাস সকলেরই স্মার্টফোন এখন। মানুষ জানার আগে দক্ষিণের বাতাস জেনে যায় আমার কবিতার শিরোনাম। দক্ষিণে কোনও অরণ্য নেই। দক্ষিণে শুধুই পটচিত্র। আমার কাছিমের প্রাণ, হুজুর। পারিজাত কাননের পাসপোর্ট নেই। নবম তলের লিফটে জায়গা হয়নি। তবু রাস্তা থেকে তুলে এনে খেতে পরতে দিয়…
পুনরুত্থান পৌষালী চক্রবর্তী প্রেমিকের মৃত্যুগন্ধী দেহে চন্দন ছিটে দিই নিকিয়ে তুলি তার অলিন্দ, নিলয়, বাতায়ন মধুপর্কের পাত্রে। পুনরুত্থান ঘটে যায়; আবার আকাঙ্ক্ষা করি ডিঙ্গাখানি নিয়ে যাক সমুদ্রগর্ভে। মৎস্যকন্যা আমি এক উঠে বসি সুপ্রাচীন কষ্টিপাথরের গাত্রে। নীল জঙ্ঘা, বৃষস্কন্ধ, বাঁশিখানি পারিজাত কাঠ এমন কৃষ্ণরূপে আমি মরি! প্রাণনাথ! পাথর সচল হয়, উবু এক কচ্ছপের পীঠে আমার যে সাধ যায় হ্লাদিনী রাধিকার তুমিও বুঝেছ সার কতখানি ব্রহ্মান্ড বিস্তার। তোমার কোলের নীচে মুগ্ধবোধ শিক্ষা করি গরল অমিয়া ভেল, কষা স্বাদ মিঠে। লগ্ন আসন্নপ্রায়, ম…
কেমন আছে পৃথিবী? এই সময়—আমাদের নিত্য? রেখা ও লেখায় ধরা দিল করোনা ক্লান্ত বিশ্ব সংসার। প্রথিতযশা শিল্পী যোগেন চৌধুরীর সদ্য সদ্য আঁকার সঙ্গে পাঠকদের জন্য রইল দেবাশিস চন্দ, মৌমন মিত্র এবং অসিকার রহমানের কবিতা। শিল্পী : যোগেন চৌধুরী লজ্জা দিবেন না দেবাশিস চন্দ না, করোনা নিয়া কোনও লেখা চাহিয়া লজ্জা দিবেন না; করোনাকরুণ কবিতা বা নিদেন পক্ষে একটা গদ্যের চিকন মালপোয়া— কিছুই দিতে পারছি না, মাফ করবেন দেওয়া সম্ভব নয় করোনা–ললিপপ, ওফ্, কেন বুঝতে পারছেন না এখন মেকি মলম মিশিয়ে মিশিয়ে পাতার পর পাতায় অক্ষর গড়িয়ে তাসের ঘর তৈরি করার সময় নয়, …
শহর আরও ১০০ ছুঁলে রূপক বর্ধন রয় ২১২০, রাসবিহারী বারান্দার গ্রিলে একরাশ ঝুল জমে আছে সেই কবে, অভিমানী গাড়ি বারান্দা ঝরে গেছে। ২১২০, গোলপার্ক; একটা উড়ন্ত ট্যাক্সি নেমে আসে, মানুষ সরে; না ধোয়া, না শব্দ ওড়ে। ২১২০, এক্সাইড; দুটো লোক গড়াগড়ি যায়, গাড়ি যায় না। অন্ধকার উড়ালপুল-ছাদ, ওরা আকাশ পায় না! ক্ষিদে আসে রাতে, ভোর ভোর কাঁপে শীতঘুম হাইটেক পাঁচতারা ঘরে, ভালবাসা শোকে নিঝ্ঝুম। ১০০ বছর অল্প সময়, পালটে গেছে গল্পকথা; শহর নাকি প্রেমিক ছিল? নাকি এখন কল্পনা তা? শহরের না একা থাকার ভাবনাটাতেই কান্না পেত? বান্ধবীরা শুনলে বলে, ‘ছাড়তো, বেকার…
সংযোগ