হেমন্ত শ্রোতাদের বশ করে রাখতেন সুমন গুণ হেমন্ত মুখোপাধ্যায় বাংলা আধুনিক গানের সেই পর্বের কুশীলব, যখন কথা নয়, সুর আর গায়কীর দাপট গ্রাস করে নিয়েছে শ্রোতাকে। অন্য কিছু নিয়ে ভাবার মুহূর্তই তৈরি হত না। হেমন্ত শ্রোতাদের বশ করে রাখতে পারতেন, উত্তমকুমার যেভাবে রাখতেন দর্শকদের। ফলে ‘এই বালুকাবেলায় আমি লিখেছিনু...’ বা ‘জানিতে যদি গো তুমি, পাষানে কী ব্যথা আছে, গোপন বাণীটি তারই, তোমার পরশ যাচে...’ জাতীয় গানের কথা আদৌ কিছু বলছে কিনা সেদিকে আমাদের মন জাগ্রতই হল না। বাংলা গান যে কবিতার হাত যোগ্যতার সঙ্গে ধরে রাখতে পারল না, তার একটাই কারণ। রবীন্দ্রনাথ বা তাঁর…
খেলা শেষ, ঝড় আসছে তড়িৎ রায়চৌধুরী আমি যখন লিখতে বসেছি তখনি আকাশ গোমড়াথোরিয়াম। আপনার পড়ার সময় নিশ্চয় ‘খেলা’ হয়ে গেছে ‘ইয়াস’ ওরফে ‘যশ’-এর! অথবা, জানলার বাইরে চোখ রেখে বলছেন— খেলা শেষ, ঝড় আসছে! ওমানের দেওয়া এই পার্সি নামের কথায় মনে পড়ল ঘূর্নিঝড়ের নামকরণ বৃত্তান্ত। ইতিহাসটি ভারি মজার। একসময় বিজ্ঞানীরা ঝড়কে ডাকতেন ভৌগোলিক জন্মস্থান দিয়ে; মানে ৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ ও ৭২ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশ-এর ঝড়...; ফলে সাধারণ মানুষ ডাকনাম দিত স্থানীয় মর্জিতে। সন্ত, সাল, ক্ষতিগ্রস্ত স্থান-এর নাম যোগে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অব্দি এই রকম চলে। ক্রমে পশ্চিমা আবহবিদর…
দুই ভ্যাকসিনের দূরত্ব যেন ইলাস্টিক তড়িৎ রায়চৌধুরী “এ কোন সকাল রাতের চেয়েও অন্ধকার। ওকি পাখির কুজন নাকি হাহাকার”। সকালে মেসেজ টোন শুনলেই বুক কেঁপে ওঠে। এক তো নয় কোনও কোনও দিন একাধিক খবর। যেন কনসেন্ট্রেশান ক্যাম্পে কাটছে দিন। তফাত একটাই, আজও আমরা ভুলিনি নাৎসী অত্যাচার। সেই আতঙ্ক প্রভাবশালী সারা বিশ্বে। কিন্তু এই সব দিনগুলি রাতগুলি সহজেই আমাদের ভুলিয়ে দেবে দক্ষ রাজনীতির কারিগরেরা। গতবার দেশে হঠাৎ ডাকা লকডাউনে যারা সোচ্চার ছিলেন শ্রমিকদের জন্য তারাই এবার রাজ্যের হঠকারিতায় সাফাই গাইছেন। ভোট মিটেছে, ঈদ গেছে এবার করাই যায় বন্ধ। আর বিজ্ঞানও তো আজকা…
আপনি আত্মনির্ভর দেশের বাসিন্দা তড়িৎ রায়চৌধুরী অবশেষে বঙ্গের ভোট ভাঙল। গড় ভাঙার পর এখন ঘর-বাড়ি ভাঙার পালা। তাও দল ভাঙার খেলাটা আগে হয়ে গেছে এবার। ছোট-বড় মিলে ভোট পাঁচ বছরে তিন বার তো হয়-ই; তবে এর ব্যাকরণ খুব বদলায় না। “রাজা আসে যায় রাজা বদলায়/ নীল জামা গায় লাল জামা গায়/ জামা কাপড়ের রঙ বদলায়/ দিন বদলায় না”। কি আশ্চর্য! কবি কি জানতেন লালের পর নীল জামা পড়বে প্রশাসক! কবিরা নাকি দূরদ্রষ্টা হন। উন্নয়নের খড়গ-ই কিভাবে বর্গি বিতাড়নের হাতিয়ার হয়ে উঠবে তাও কি দেখতে পেয়েছিলেন কবি? ইহলোক আজ নিরুত্তর। তবে বহিঃশত্রুর নামে জোটবদ্ধ হবার রীতি তো নতুন না। দেশের ক…
মৃত্যুর ফেরেশতা দ্যুতিমান ভট্টাচার্য ইয়োসেফ ম্যাঙ্গেলার (Dr. Josef Mengele) জন্ম ১৯১১ সালের ১৬ মার্চ জার্মানির বাভারিয়ার গুঞ্জবার্গে। কার্ল ও ওয়েলবুর্গা ম্যাঙ্গেলার তিন সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ ইয়োসেফের অন্য দুই ভাই কার্ল জুনিয়র এবং এলোইস। কৃষিকাজের যন্ত্রপাতি উৎপাদন করতেন তাঁর পিতা। ইয়োসেফ ১৯৩০ সালের এপ্রিল মাসে স্কুলের পাঠ চুকিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টের গ্যটে (Goethe) বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অফ মিউনিখে যথাক্রমে মেডিসিন এবং দর্শন নিয়ে পড়তে চলে যান। ১৯৩৫ সালে ইউনিভার্সিটি অফ মিউনিখ থেকেই নৃবিজ্ঞানে পিএইচডি অর্জন করেন এবং ১৯৩৭ সালে ফ্রাঙ্কফুর্টের ই…
সংযোগ