বন্ধুদাদার চিঠি লকডাউন শেষ হয়ে আনলকের বিভিন্ন পর্যায় চলছে এখন বন্ধুরা। আস্তে আস্তে সবই আগের ছন্দে ফিরবে জানি, কিন্তু কতদিন পর আবার নির্ভয়ে, আগের মতো আনন্দে তোমরা ইস্কুল যেতে পারবে তা জানার ও জানানোর সময় এখনও আসেনি। ইতিমধ্যে তোমাদের প্রিয় উৎসবের মরশুম চলে এসেছে। কিন্তু এলে কি হবে! আমরা তো কেউই এখনও আতঙ্কমুক্ত নই। দুর্গোৎসবে অনেক কাটছাঁট হয়েছে। মেলাও বসবে না প্যান্ডেল ঘিরে। তোমরা হয়তো মেপে মেপে পা ফেলে দুয়েকটা মন্ডপে ঠাকুর দেখে আসবে। তাকে কি আর সেই পুরোনো মজা ফিরে পাওয়া বলা যায়? কক্ষনও না। আমরা তাই অপেক্ষায় আছি সত্যিকারের সুদিন ফেরার। তবে সঙ্গে…
উৎসব নীপবীথি ভৌমিক সমস্ত শোক মিশে গিয়ে সুর হয়ে ওঠে আবার। এই যে ক্রমশ বেহালা বাজিয়ে চলেছে লোকটা এক নাগাড়ে, আর বসন্ত ঝরে ঝরে পড়ছে ওর আঙুল থেকে! তুমি কি তবে ভাবো, কোনো অভিনয় এসে ঘিরে রেখেছে তার মৃত মন? বেহালা বেজে যায়। শোক উথলে পড়ে ওর থালা ভর্তি জীবন জুড়ে, যন্ত্র আর যন্ত্রীর মাঝেও যে কিছু কিছু উৎসব জেগে থাকে সে আমরা জানি ক’জনেই বা! রাধামাধব আপনাকেই বলছি পারমিতা ভট্টাচার্য রাধামাধব, মনে আছে? আমাকে ক্যারামের ঘুঁটির মতো ঘুরিয়ে চাল দিতেন আপনার আদিগন্ত মরাঘাসের বোর্ডে আমি গড়াগড়ি খেতাম কখনও আবার ল…
কমিউনিফেকিং তড়িৎ রায় চৌধুরী ফেসবুক নিরপেক্ষ নয়। সে বিদ্বেষ বিষ ছড়ায়—আমেরিকান পত্রিকার এই রিপোর্ট লটঘট লাগিয়ে দিল ভারতীয় সংসদেও। তা লাগুক। তাদের অনেক প্যাঁচ পয়জার ঘেঁটে চলতে হয়। ভোটের অঙ্ক কষে ইস্যু সাজাতে হয়। কিন্তু আপনি, আমি? যারা দেয়ালে রীতিমত বিজ্ঞাপন দিয়ে বন্ধু-বিচ্ছেদ যজ্ঞ করি, আমার না-পসন্দ কে রাখতে চাই না আমার পৃথিবীতে, তারা কি ভুলেই থাকব যে আমরা নিজেরাই খোলা মাঠে আত্মবিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড টাঙানোর গল্পে আছি। ফাঁকা মাঠ ততক্ষণই খোলা থাকে যতক্ষণ মালিক তা চায়। যে ছেলেটি জয়সিংহের মতো আকস্মিক আবিষ্কার করেছে রঘুপতি নিরপেক্ষ নয় ততখানি,সে কি জানত …
বন্ধুদাদার চিঠি প্রিয় বন্ধুরা, গতকাল আমাদের প্রাণপ্রিয় সাহিত্যিক শ্রী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন গেল। তাঁর কথা ভাবতে বসলেই মনের ক্যানভাস জুড়ে ভেসে ওঠে নিশ্চিন্দিপুর, ভেসে ওঠে অপু দুর্গার মুখ, ভেসে ওঠে কাশবনের ফাঁকে ধোঁয়া ওঠা রেলইঞ্জিনের ছবি। এই সব দৃশ্য যতটা বিভূতিভূষণের, ঠিক ততটাই যেন সত্যজিত রায়ের। পথের পাঁচালী পড়েছিলাম প্রথমবার ক্লাস সিক্সে। তখনই দুর্গাদিদির চলে যাওয়া মানতে পারিনি। অঝোরে কেঁদেছিলাম। পরে চলচ্চিত্রে সেই বই দেখতে গিয়ে যে কতবার চোখ ঝাপসা করেছি তার ইয়ত্তা নেই। জানো, কাল বহুবার পড়া সেই পথের পাঁচালীরই কিশোর সংস্করণ আম আঁ…
বন্ধুদাদার চিঠি গতকাল শিক্ষক দিবস গেল বন্ধুরা। না না। আমি শিক্ষক দিবসের ইতিহাস আজ বলতে বসছি না। আমি জানি সে তোমরা জানো। আমি শুধু এবছর নিজের মনখারাপের এই দিনটাকে তোমাদের মনখারাপের সঙ্গে মিলিয়ে নিতেই প্রসঙ্গ তুলেছি। টিচার্স ডে বা শিক্ষক দিবস, আর স্কুলের দরজা বন্ধ, এ কি কখনও আমরা ভাবতে পেরেছিলাম বন্ধুরা? কোনওদিন না। কারণ এই দিনটা আমাদের স্কুলের সবচাইতে আনন্দের দিন। যখন পাঠভবনে শিক্ষকতা করি, একটা নতুন জিনিস দেখলাম যা আগে পূর্ণিয়ায় থাকতে দেখিনি। দেখলাম উঁচু ক্লাসের ছেলেমেয়েরা জুনিয়র ক্লাসে রীতিমতো মাস্টারমশাই হয়ে ক্লাস নিচ্ছে, পড়াচ্ছে। খুব ছোট ক্ল…
পিছিয়ে পড়েছে সনাতন শিক্ষক ভাবনা তড়িৎ রায় চৌধুরী ‘শিক্ষক দিবস’ কি পৃথিবীতে একটাই? এক সময় আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথি ছিল গুরু-পূর্ণিমা। আধ্যাত্মিক ও প্রাতিষ্ঠানিক গুরুদের মঙ্গল কামনার দিন। উনবিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ তাঁর জন্মদিন পালনে উৎসাহী ছাত্রদের জানালেন নিছক একজনের জন্য নয় দিনটি পালিত হোক এক সম্প্রদায়ের স্মরণে। তাই ৫ সেপ্টেম্বর হল ভারতের ‘শিক্ষক দিবস’। আরও পরে ১৯৯৪ সালে এডুকেশন ইন্টারন্যাশানাল এর প্রস্তাবে ইউনেস্কো ৫ অক্টোবরকে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ এর স্বীকৃতি দেয়। একশোর উপর দেশ এটাই মানে। এত কথা আমরা মনে রাখিনি।…
আড্ডার ঐতিহ্য তৈরি করেছিলাম সুমন গুণ অস্কার ওয়াইল্ডের সঙ্গে প্যারিসের কাফে ডি ফ্লোর, আনা আখমাতোভার সঙ্গে পিটার্সবাগের স্ট্রে ডগ কাফে, এখানকারই দ্য লিটারারি কাফের সঙ্গে ডস্টয়েভস্কি বা পুশকিনের উষ্ণ যোগাযোগের কথা আমরা জানি, জানি হেমিংওয়ের সঙ্গে প্যারিসের অনেক কাফের টইটম্বুর সম্পর্কের কথাও, তাঁর নানা লেখায় জায়গা পেয়েছে এইসব কফিশপ। আখমাতোভা নিয়মিত কাফেতে বন্ধুদের সঙ্গে কবিতা পড়তেন। কাফে ডি ফ্লোর অনেকদিন থেকেই তরুণ লেখকদের জন্য পুরস্কারও চালু করেছে। প্যারিসের লে ডো মাগো ধারণ করেছিল শুধু হেমিংওয়ে নয়, বোভেয়ার-সার্ত্র, পিকাসোকেও। এখানকার কফিতে আমিও চ…
করোনার কুমোরটুলিতে শূন্য কাঠামো শুচিস্মিতা দাস দু র্গাপুজোর আর বাকি মাসদুয়েক। কুমোরটুলিতে ঢুকলেই এসময় চোখে পড়ে একটা চেনা ব্যস্ততা। প্রতিমার রঙ-ছাঁচ-সাজ, ব্যস্ত কারিগররাও। ভিড় থাকে প্রতিমার সাজের দোকানগুলিতেও। তবে এ বছর যেন ছবিটা একটু ফিকে। বনমালী সরকার স্ট্রিট দিয়ে ঢুকেই প্রথমেই চোখে পড়ে যে সাজের দোকানগুলি, খোলা নেই সবকটি। উত্তর কলকাতার কুমোরটুলি এলাকায় বসবাস কমবেশি ৩৫০টি কুমোর পরিবারের। সম্বৎসর কাজ চললেও সকলেই জানে কুমোরটুলির প্রত্যেকেই তাকিয়ে থাকেন আশ্বিনমাসে দুর্গাপুজোর দিকে। অন্যান্যবার পয়লা বৈশাখের দিন থেকেই তারা পেতে শুরু করেন ‘সুখবর…
বন্ধুদাদার চিঠি মিঠি আজকাল কিছুতেই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে চায় না। মা যত টেনে টেনে তোলার চেষ্টা করেন, ও তত ঘাড় গুঁজে বালিশ আঁকড়ে পড়ে থাকে বিছানায়। বেশি বিরক্ত হলে দাঁত কিড়মিড় করে বলে, ‘আগে আমার স্কুলের গেটটা খুলে দিয়ে এসো। আমি তাহলে আর বিছানায় শুয়ে থাকবো না।’ মা এ কথার পর আর কিছু বলতে পারেন না। সত্যি বন্ধুরা, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এভাবে স্কুলবিহীন জীবন তোমাদের যে আর সইছে না, আমরা বড়রা তা খুব ভালভাবে জানি। তবু আমরা নিরুপায় এই দুঃসময়ের কাছে। প্রকৃতি তার নিজের নিয়মেই চলেছে। বর্ষা পেরিয়ে শরতের আগমনবার্তা সে একটু একটু জানান দিচ্ছে। এ বছর সেভ…
স্পর্শদোষের জীবনে ফিরতে চাই পৌষালী চক্রবর্তী চতুর্দিকে অস্বস্তিকর এক নীরবতা। তার মধ্যে আমাদের রাত ভোর হয়, দুপুর গড়িয়ে যায় মধ্যযাম এ। অতিমারির গ্রাস ব্যপ্ত করেছে সমগ্র চরাচর। এই সামূহিক নীরবতার মধ্যে অচেনা লাগে নিজেকে, নিজের হাত পা, নাসাগ্র, সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। অচেনা লাগে নিকটের মানুষটিকেও। গলার কাছে দলা পাকিয়ে ওঠে কেমন এক বোবা কষ্ট। শ্বাসবায়ু নিংড়ে ফেটে বেরতে চায় কবেকার চাপা পড়া বোবা কান্না। এখন জীবন চাল, ডাল, ওষুধ বিষাদের। সকাল থেকে উঠে জীবনকে গতানুগতিকতায় ঠেলে নিয়ে যাওয়া। ঝাড়পোছ করতে গিয়ে চেনা ঘরের কোণকে অচেনা মনে হয়। পর্দার কোণে যে ছায়া …
প্রাচীর মহাকাব্যিক সংঘাতের উপাদান তড়িৎ রায়চৌধুরী সা ধারণ ইংরাজিতে বলি ওয়াল। কিন্তু প্রাচীর আর দেওয়াল কি এক আমার কানের কাছে? ‘আরণ্যক’-এ ছিল নিশানদিহি খাম্বা—শুনলেই কেমন লাগে। প্রাচীরও কি তেমন কিছু? তুলনায় দেয়াল একটু নরম। “ইঁট সাজিয়ে ইঁটের উপর/ খেয়াল মতো দেয়াল তুলি গড়ে।’’ আরও নরম শব্দ বোধহয় বেড়া। বেড়া মানে কি ব্যারিকেড? কমরেড গড়ে তোল ব্যারিকেড। সে ব্যারিকেড মানে কি মানব প্রাচীর? মহাভারতের চক্রব্যূহ কি এই রকমই কিছু? মানব প্রাচীর তো জীবন্ত? যেমন জীবন্ত প্রাচীর দেখেছি গুল্ম বা বীরুতের। টগর, নিশিন্দা, জবা, ঢোল কলমি এমন কত কিছু ঘিরে রাখত সব্জি বা ফুল…
উড়ানে স্ব-অধীন চেতনা মৌমন মিত্র আ মেরিকায় খুব সুস্বাদু একটি মিষ্টি পাওয়া যায়। যার নাম ডো-নাট। অধিকাংশ আমেরিকান সকালে প্রাতরাশ করে এই ডো- নাট দিয়ে। সঙ্গে এক কাপ কফি, গাড়িতে পডকাস্ট শুনতে শুনতে অফিস পৌঁছে যাওয়া। এ হল এই দেশের প্রাতঃকালের একটা খুব চেনা চিত্র। হ্যাঁ, করোনার আগে সেই নানা রঙে দিনগুলিতে। এখন কোনও চিত্রই পরিচিত না। এখন নব্য স্বাভাবিকতন্ত্র নব্য চেতনার যুগ। এই ডো-নাটের একটি বিখ্যাত বিক্রেতা চেন হচ্ছে ডানকিন। ডানকিন কোম্পানি আমেরিকার একটি বহুজাতিক কফি এবং ডো-নাট কোম্পানি। টেলিভিশান পর্দায় এই কোম্পানির একটি অতি-বিখ্যাত বিজ্ঞাপন চলে। ‘A…
বন্ধুদাদার চিঠি করোনাকালে এখনও তোমরা অবরুদ্ধ। এখনও তোমাদের ইস্কুল নেই। আছে শুধু নেটনির্ভর জীবনযাপন। একটা কথা ভাবলে তোমাদের একটু মজা পাওয়ার কথা। ভেবে দেখো, এই তো কয়েকমাস আগেই তোমার মায়ের বা বাবার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটা হাতে নিয়ে একটু বেশি সময় ধরে নাড়াচাড়া করলেই সবাই রে রে করে বকে উঠে বলতেন, ‘এই ফোনটাই যত নষ্টের গোড়া। পড়াশোনা সব লাটে উঠে যাচ্ছে। তোমাদের হাতে এসব দেওয়াই ভুল।’ আর এখন সেই অ্যান্ড্রয়েড, সেই ইন্টারনেট, সেই মায়ের বা বাবার ফোনটাই তোমাদের হাতে তুলে দিয়ে তাঁরা বলছেন, ‘নাও ক্লাস করো। স্কুলের নোটস, হোমটাস্কগুলো টুকে নাও।’ অনলাইনে ক্লাস করছো …
মাস্ক বিপ্লব আবীর মুখোপাধ্যায় ১ ‘‘তোর জন্য সাদা কিনেছি। বৌমার লাল।’’ ‘‘লাল!’’ ‘‘ওমা! ও সাদা পড়বে নাকি— নতুন বউ! বাজারে এখন নানা রঙের পাওয়া যাচ্ছে। তোর বাবা প্রথমে অবশ্য সাদাই এনেছিল। আমি আপত্তি করাতে, আজ ওর জন্য পাল্টে লাল এনেছে— বর্ডারে সুতোর সেলাই— চমৎকার দেখতে। শোন, যেদিন আসবি, ওগুলো নিয়ে যাবি— তোর সাদা, বৌমার লাল।’’ টেলিফোন রেখে আকাশপাতাল ভাবছিল নিখিলেশ! ওর ইচ্ছে করছিল নিজের মাথাটা নিজেই দেওয়ালে ঠুঁকে দিতে। কিংবা বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিতে! ভাবছিল লকডাউনে থাকতে থাকতে বাবা-মা-সবাই কি শেষে পাগল হয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে! দু’ মাস ধরে ও বাড়ি যাওয়া …
সুন্দরী গ্রাম লেপচাখার পথে হোমাগ্নি ঘোষ ব ক্সা টাইগার রিজার্ভের মূল ফটকটা পেরোতেই শুরু হল ঘন শাল বনের সারি, তার সঙ্গে শুকনো পাতার ঝরে পড়ার নিঃশ্বাস, হটাৎ করে কানে এলো এক কর্কশ শব্দ, অটোর সামনের কাচ দিয়ে দেখলাম বাহারি পেখম তুলে উড়ে গেল একটা ময়ুর কিন্তু ওর কর্কশ শব্দটা মিশে গেল বনের মাধুর্যতার সঙ্গে। আমাদের গন্তব্য আলিপুরদুয়ার থেকে সান্তালাবারি দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার, রাস্তা মাঝে ভাগ হয়ে একটা চলে গেছে জয়ন্তীর পথে, আর আমরা তাকে পাশে রেখে লোয়ার বক্সা টাইগার রিজার্ভের সীমা বরাবর এগোতে লাগলাম পথে পড়তে লাগল রেস্ট হাউস, ছোট ছোট কাঠের বাড়ি তার মাঝে …
বিদ্বেষের ব্যবসায় শিকার বাঙালি তড়িৎ রায় চৌধুরী আ চ্ছা, মহেন্দ্র সিং ধোনি কে কি কেউ খোট্টা ভাবে? ছোটবেলায় ট্রেনে বেনারস বা হরিদ্বার যাবার সময় হঠাৎ-ই একদল মানুষ উঠতেন জায়গা দখলের নিয়ম যারা খুব মানতেন না। নেশা, পোশাক, চুলের ছাঁট সব মিলে অদ্ভুত নাম— খোট্টা কালচার। বিশ্ববিদ্যালয়ে বান্ধবী হল স্মিতা খাটুয়া। খাটুয়া! হ্যাঁ, খোট্টা বোলবি তো? না, তখন কিছুটা জ্ঞান গম্যি হয়েছে; তাই ভাবতাম গোটা বৌদ্ধ যুগের শিক্ষা-সংস্কৃতির পীঠস্থান যে ভুমিতে; মগধ বা নালন্দার সমৃদ্ধি কি করে এত হীনশব্দের শিকার হয়ে গেল বাঙালি সমাজে? খোট্টা তো আসলে একটা ভাষা— বাংলা ও মাগধীর মি…
কবির জীবন : সৌম্য চক্রবর্তী দীপ শেখর চক্রবর্তী ‘‘স্থির হয়ে ওঠে মন, ঝড় আসে যত। ওদিকে দেহের মাটি ক্ষতবিক্ষত।’’ (ধ্যান) আমি জানি সৌম্য চক্রবর্তীকে আর কেউ খোঁজে না। কেন খোঁজে না? সৌম্য চক্রবর্তী কেন হারিয়ে গেল? শ্রাবণের বইপাড়ায় বন্ধু বই প্রকাশকের কাছে শুনি সৌম্য খুব কম বয়সে নিজেকে হারিয়ে দিয়েছে। কীভাবে হারিয়ে দিয়েছে তার কোনও খোঁজ পাই না। সৌম্যর অন্য বইগুলোর খোঁজ করতে করতে চষে ফেলি গোটা বইপাড়া। সৌম্যকে পাওয়া যায় না। আবার দীর্ঘ সময় কেটে যায়। একদিন এক বান্ধবীর মুখে শুনি সৌম্যর কথা। তাই? তুমি সৌম্যকে চিনতে? হ্যাঁ। কফি হাউসে বসে জীবনের কত কথা বলে যে…
সংযোগ