ডায়াল ১০৯৮ ঈশা দেব পাল এক রো ল কল করতে গিয়ে আজও থেমে যেতে হল দেবারতিকে। রোল নং সাতচল্লিশ। মণি সরকার। আজও আসেনি মেয়েটা। দেবারতির চিন্তা হল বেশ। আজ নিয়ে সাতদিন মেয়েটা আসছে না। ক্লাসের কেউ বলতেও পারছে না। মণির বাড়ির কাছে থাকে কোয়েল রানি। সে তো এমনিতেই অনিয়মিত। কোয়েল থাকে তার মামার বাড়ি। মামীর মেয়েদের তাকে দেখে রাখতে হয়। যেদিন দিদিমা এবাড়ি ওবাড়ি দিনের কাজ করতে যায়, সেদিন তার ইস্কুলে আসা হয় না। তাই কোয়েলও আসছে না আজ দিন সাতেক, কিন্তু সেই নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলেই মনে হয় দেবারতির। প্রায় গ্রামের নিম্নবিত্ত ছাত্রীদের এই স্কুলে শুধু পড়ালেই…
আহারে/ ৮ মৌমিতা পাল প্রা ত্যহিকের ব্যস্ত জীবন বদলে যাওয়াতে রান্নাঘরে সংযোজন ঘটেছে যে যন্ত্রের তার কথা আগের কিস্তিতে কিছুটা বলেছি। এই কিস্তিতে বলবো মাইক্রোওভেন ব্যবহারের আরও কিছু নির্দেশিকা। কম সময়ে উচ্চমানের রান্না করা যায় এই যন্ত্রে। তবে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। গোটা আলু বা মাছ, মাংস রান্না করতে গেলে অবশ্যই গায়ে ফুটো করে নেওয়া প্রয়োজন। নাহলে তা ভেঙ্গে বা ফেটে যেতে পারে। চিমটি ব্যবহার করে রান্নার মাঝে মাঝে মাছ মাংস সব্জি উল্টে দেওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনমতো ঢাকা দিয়ে ফয়েলে বা সেরামিকসের পাত্রে বা ওভেনপ্রুফ পাত্রে রান্না করাই ভালো। ওভ…
ছবিজুড়ে স্মৃতির লখনউ নগরী আবীর মুখোপাধ্যায় আ বদুল হলীম ‘শরর্’ লেখা ‘মশরিকী তমদ্দুন কা আখিরী নমুনা’ বা ‘গুযিশ্তা লখনউ’ পড়েছেন? পড়তে পড়তে চোখের সামনে সেলুলয়েডের মতো সরে যায় পুরনো লখনউয়ের অলি-অন্দর, মহফিল, মসনবী-মঞ্জিল! শুক্রবার লকডাউন সিনড্রোম ভেঙে, শিরদাঁড়া সোজা করে সেই লখনউ নগরীই যেন দেখে ফেললাম সুজিত সরকারের ‘গুলাবো সিতাবো’ ছবিতে। কি নেই সাবেক লখনউয়ের? মির্জা আছে, বেগম আছে। মহল আছে। খানদান-পান-গান— সবই আছে। রিভিউয়ের নামে, সিউডো ইন্টেলেকচুয়াল সেজে আঁতলামি বাদ দিয়ে, কোনও ন্যারেটিভ না খুঁজে বলি এ ছবি— সপরিবারে দেখার। দেখানোর! ‘পিকু…
আহারে/ ৭ মৌমিতা পাল খা দ্যবিলাসীর শহর কলকাতা। খাদ্যের নানান ধরণ সে যেমন দ্রুত রপ্ত করেছে, ঠিক তেমনি রপ্ত করেছে নানান যন্ত্র ব্যবহার করে রান্না করার অভ্যেস। তাই চাকুরিরতা নারী-পুরুষ গ্যাস ইনডাকশন বা মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করে দ্রুত সেরে ফেলে রান্না। ওটিজি মানেই কেক- কাবাব আর মাইক্রোওয়েভ মানে খাবার গরম করা বা ডিফ্রস্ট করার যন্ত্র, এমন কখনোই নয়। একসময় কলকাতাতে মাইক্রোওভেনে রান্নার ক্লাস করত অনেকেই, যন্ত্রটি কিনে ব্যবহার করার সুবিধার্থে। কিন্তু এখন অধিকাংশই এ বিষয়ে বেশ অনেকটা দক্ষ। এক্ষেত্রে মূলত মাথায় রাখতে হয়— মাইক্রোওয়েভের গঠন, সহায়ক পা…
বইওয়ালার রবিবার/ ৬ রবীন্দ্রনাথ, বুদ্ধদেব ও কবিতা পত্রিকা আবীর মুখোপাধ্যায় ‘কবিতা’ পত্রিকায় প্রকাশিত বুদ্ধদেব বসুর অগ্রন্থিত গদ্য সংকলনের সম্পাদনা করতে গিয়ে প্রথম খণ্ডের ‘প্রাক-কথন’-এ সম্পাদক দময়ন্তী বসু সিং লিখেছিলেন, ‘বুদ্ধদেব বসুর ‘‘কবিতা’’ পত্রিকা এমনই একটি রত্নখনি যে মনে হয় অবিরাম খননেও বুঝি তা নিঃশেষিত হবে না’। বিন্দুমাত্র বাড়িয়ে বলেননি দময়ন্তী। এক, দুই করে তাঁর সু-সম্পাদনায় ‘কবিতা’ থেকে সিরিজের তৃতীয় খণ্ড। বুদ্ধদেব বসুর অগ্রন্থিত গদ্য সংকলনের এই পর্যায়ের বিষয়, ‘প্রবন্ধ ও বিদেশী সাহিত্য’। সম্পাদকের নিজের কথায়, ‘‘কবিতা’ পত্রিকা…
রম্যরচনা থিওরি অব রিলেটিভীতি সুমন গোস্বামী ক্লাসে ঢুকেই লাহাবাবু চশমার ফাঁক দিয়ে একবার গোটা ক্লাসটা মেপে নিলেন, তারপর চড়া গলায় বললেন, ‘‘শুভ বলতো রিলেটিভ ক্লজ কাকে বলে?’’ শুভ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল স্যার, ‘‘রিলেটিভ মানে আত্মীয় আর ক্লজ মানে নখ, এককথায় আত্মীয়দের নখ যা আমাদের নরম মনের পলি মাটিতে আঁচড় কাটে, কখনও রক্তও বের হয়ে যায়।’’ পঞ্চাশোর্ধ্ব কৃষ্ণরূপ লাহা এসব পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত, বিশেষ করে শুভ ছেলেটিই এমন। অদ্ভুত সব দার্শনিক উত্তর দিয়ে থাকে, অথচ পড়াশুনাতে লবডঙ্কা। শুভর বাবার কাছে নালিশও করেন, কিন্তু ওর বাবা বিশিষ্ঠ …
আহারে/ ৬ মৌমিতা পাল জ্বর মানেই একসময় ছিল শুধুই সাবু অথবা বার্লি। ধীরে ধীরে বাঙালির অন্দরমহলে প্রবেশ করল স্যুপ ও স্ট্রু। হালকা পাতলা মুসুর ডালের জল বা লাউয়ের ঝোল বলতে আমরা যা খেতাম, তা অবশ্য একপ্রকার স্যুপই। তবে ভূটানে প্রচলিত জাঁসামারু যেমন ল্যাম্ব স্ট্রু এর অপর নাম। জ্বরের মুখে গরম স্যুপের বিকল্প সত্যি হয় না। স্যুপ কখনোই ঠাণ্ডা খাওয়া চলে না। আর স্যুপে যে সবসময় আজিনামটো বা চাইনিজ টেস্ট পাওডার দিতেই হবে এমন কোনও অর্থ নেই। স্যুপ ঠাণ্ডার দেশগুলোতে বেশ জনপ্রিয়। বাঙালিও যেদিন থেকে এ পদ চিনেছে, আঁচে বসিয়ে শুধু জ্বরে কেন অন্যান্য দিনেও মুখের…
বইওয়ালার রবিবার/ ৫ শেষ হয়ে হইল না শেষ আবীর মুখোপাধ্যায় ১৮৭৩-তে ‘বঙ্গদর্শন’-এ প্রকাশিত ‘মধুমতী’ কি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম ছোটগল্প? নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সাহিত্যে ছোটগল্প’-র ভিতর তা হলে তেমন করে বাংলা ছোটগল্পের কথা এল না কেন? সাহিত্যের ইতিহাসবেত্তারা কেউ কেউ অবশ্য দাবি করেন, বাংলা সাহিত্যে এই নব-সাহিত্য ধারাটির জন্ম পাশ্চাত্য প্রভাবে। রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পেও রয়েছে সেই প্রভাব। একটু পরের দিকে হলেও রূপ ও রীতি নিয়ে সেই অর্থে সে প্রভাব কাটিয়ে রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পই বাংলা সাহিত্যে প্রথম নিজস্বতায়, ‘প্রতীতির সমগ্রতা’-য় উত্তীর্ণ। ন্যা…
আহারে/ ৫ মৌমিতা পাল কালিয়া, পোলাও এর চেয়ে বঙ্গে অধিক প্রচলিত ঝোল ও ঝাল। ঝাল নেহাতই রোজকার ঘরোয়া রান্না। কখনও জিরে আদাবাটা দিয়ে শুকনো ঝাল, কখনও হিং তেলের ঝাল, কখনও কালোজিরে হলুদের কাঁচা ঝাল, কখনও বা তেল মরিচের গাঢ় ঝাল, কখনও বা সরষে বাটার ঝাল। কোন কোন ঝাল আবার পথ্য। গ্যাঁদাল পাতার ঝাল বা কলমি শাকের ঝাল বা লাউ শোলের ঝাল বা শিঙি কাঁচকলার ঝাল বা নিম বেগুনের ঝাল— এসবই আসলে পথ্য। এক কথায় বাঙালি ঝাল বিশারদ। ঝাল ছাড়াও বাঙালি ভালোবেসে খায় মিস্টি। বাঙালির নিজস্ব মিস্টির ঘরাণা থাকলেও বিদেশী মিস্টি রাঁধতে শিখতেও বাঙালির যথেষ্ট আগ্রহ। পিঠে, পুলি, …
পদাতিক মৃণাল সেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায় এই শহর কলকাতাতেই থাকতেন মৃণাল সেন। এখন আর মৃণাল সেন নেই এই শহরে, নেই এই গ্রহে। কলকাতা তাঁর কাছে ছিল এল ডোরাডো। সব পেয়েছির দেশ। প্রেমের শহর। কলকাতার অসুখে তিনি যন্ত্রণা পেতেন, কলকাতার সুখে তিনি আহ্লাদিত হতেন। এই শহর কলকাতার মানুষটি সারা পৃথিবী ঘুরেছেন। মনেপ্রাণে তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক। সারা পৃথিবীতে ছড়ানো ছিল তাঁর বন্ধু। যেমন উপন্যাসে যিনি এনেছেন জাদু-বাস্তব সেই মার্কেসের সঙ্গে তাঁর ছিল অভিন্নহৃদয় বন্ধুত্ব। বাঙালি তাঁকে চেনার আগেই মার্কেসের গল্প শুনেছি মৃণালদার মুখে। মার্কেস চেয়েছিলেন তাঁর গল্প নিয়ে…
বইওয়ালার রবিবার/ ৪ মনোময় আশ্চর্য স্মৃতি-ছবি আবীর মুখোপাধ্যায় ‘স্মৃতির পটে জীবনের ছবি কে আঁকিয়া যায় জানি না। কিন্তু যেই আঁকুক সে ছবিই আঁকে’। যখনই ডাউন মেমোরি লেনে হাঁটার কথা শুনি, পড়ি; আমার মনে পড়ে যায় রবিঠাকুরের ‘জীবনস্মৃতি’-র এই সত্যভাষ। আসলে চিত্রকলা, শিল্প-সাহিত্যে, সিনেমায় বার বার দেখেছি স্রষ্টাকে স্মৃতির কাছে নতজানু হয়ে রেকাব পাততে। কিন্তু, কাজটা মোটেই সহজ নয়। পিছন পানে হাঁটতে হাঁটতে লেখাও সহজ নয়। বেশিরভাগ সময়, এলোপাথাড়ি স্মৃতিরা এসে ওলোট-পালট করে দেয় সব কিছু। ভেঙে যায় স্থিতধি চারণার গূঢ় শৃঙ্খলা। দু’ একটি লেখা বাদ দিলে যেটা হয়…
আহারে/ ৪ মৌমিতা পাল রন্ধন অবশ্যই শিল্প। এই শিল্পের ইতিহাস আছে। আর মজার বিষয় হল সেই ইতিহাসে সম্পৃক্ত হয়ে রয়েছে স্বাদ ও সরবরাহ। যেমন যোগান ও চাহিদা— ঠিক তেমন করেই রন্ধনশিল্প তার গতিপথ বদলেছে। এই যেমন সিজলারের সিজলিং ইতিহাস স্পষ্ট বলে গরম লোহার প্লেটে ওভাবে কেন কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনকে ব্যালানস করে রেখে সার্ভ করা হয় ফুল মিল। ঠিক তেমন আমাদের ঘণ্ট, শুক্তো, ঝোল, ঝালেরও রয়েছে নানান চলাচল ও ইতিহাস। স্থানভেদে এক নাম অন্য নাম হয়ে যায়। ঘণ্ট আর বেস্বরী কখনোই আলাদা কিছু নয়। ঘণ্টকেই উত্তরবঙ্গে মূলত বেস্বরী বলা হয়। ঠাকুমা নানান বেস্বরীর গল্প শোনাত…
বইওয়ালার রবিবার/ ২ সে যুগের কেচ্ছা একালের ইতিহাস আবীর মুখোপাধ্যায় সে ছিল হুঁকো-খাওয়া সাহেব নবাব, জুড়ি-গাড়ি-চড়া রাজা-বাবুদের আমল। তখন ‘কুলীন ব্রাহ্মণ থেকে নৈয়ায়িক পণ্ডিতকে কেনা’ যেত। বাবু-বিবিদের এই কলকাতায় সমাজের উচ্চবিত্তরা ‘পরকালের জন্য পুণ্য সঞ্চয় করতে গিয়ে ইহকালের দেবতার মূর্তি চুরি করতেও দ্বিধা’ করত না। হুতোমের এই নক্সা-বাজ বাবুরা ‘নিজেদের মধ্যে অনেকেই পতিতালয়ে গমন করলেও বারাঙ্গনাপুত্র লেখাপড়া শিখতে চাইলে ‘গেল গেল রব’ তুলত। এই আঠারো-উনিশ শতকের ‘কেচ্ছা’ নিয়েই লেখক-সম্পাদক-বানান মনোযোগী সুবীর রায়চৌধুরীর গ্রন্থ ‘সে যুগের কেচ্ছা একা…
ভাঙনের বিপন্ন আজান সুমন গুণ চেনা মাটির সঙ্গে, চেনা চারপাশের সঙ্গে, চেনা পাড়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের যে কোনও মুহূর্তেই ভেতরে ভাঙনের আওয়াজ টের পাওয়া যায়। এক বাড়ি ছেড়ে অন্য বাড়ি যাবার মধ্যেও যে বেদনা, তার সঙ্গে নিজের দেশ থেকে অন্য দেশে ছিন্নমূল হয়ে পালিয়ে যাবার যন্ত্রণার তফাতটা শুধু স্থানের নয়, শুধু ছেড়ে যাওয়ার নয়, চিরকালের জন্য নিজের অস্তিত্বের অংশকে বিচ্ছিন্ন করার যন্ত্রণা এখানে প্রধান। এতদিন ধরে বেঁচে থাকার সব মুহূর্ত অর্থহীন হয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা। এতদিনের বারান্দা, পাশের বাড়ি, পাড়ার মোড়, অফিসফেরত সন্ধে ... সব খাদের কিনারে ঢলে যা…
সত্যজিতের রবীন্দ্রনাথ চণ্ডী মুখোপাধ্যায় সত্যজিতের জন্মদিন মানেই তখন খবরের কাগজের সাংবাদিকদের কাছে তাঁর জন্মদিন ঘিরে বিশেষ স্টোরি খোঁজার দিন। আমি তখন আজকাল-এর সংস্কৃতি বিভাগের সঙ্গে জড়িত। তাই দায়িত্বটা আমারই। প্রথম প্রথম অসুবিধা ছিল না। জন্মদিনে সত্যজিতের বিশপ লেফ্রয় বাড়িতে গেলে স্টোরির অভাব হত না। কেন না সেদিন তাঁর বাড়ি যেন সংস্কৃতির মহাতীর্থ। কিন্তু মুশকিল হল আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে। জন্মদিনে সত্যজিৎ সপরিবারে অজ্ঞাতবাসে চলে যেতে শুরু করলেন। কোনও বছর কলকাতার কোনও ফাইভ স্টারে, কোনও বছর কাঠমান্ডু কিংবা মুম্বাইএর কোনও অভিজাত হোটেলে। …
বইওয়ালার রবিবার/ ৩ করতলে এত রং, জামাল! আবীর মুখোপাধ্যায় এমন কখনও হয়নি! কখনও কোনও বই পড়তে গিয়ে, বই নিয়ে লিখতে গিয়ে কখনও এতো রঙ লাগেনি করতলে! দেখতে দেখতে সেই রঙে রাঙা হল মন। তবু রং যেন উদাসীন! বইটির নাম ‘জামাল’। ‘জামাল’ আদতে শিল্পী জামাল আহমেদের শিল্প-চর্চার একটি দুর্লভ সৃজন-সংগ্রহ। প্রতি প্রতি পৃষ্ঠায়, কাদাজল মাখা মানুষ-পশু-পাখি-ঘাসফুলের জন্য উদার অভ্যর্থনা। নদীমাতৃক বাংলাদেশের ছবিতে ছবিতে ছয়লাপ। শতাধিক পৃষ্ঠার ‘জামাল’ যতো দেখি, আর দেখি অন্তর্চেতনের ভিতর এলোমেলো অপার নিসর্গ এসে দাঁড়ায়। ঠিক যেন নন্দলালের মতো মাটির বৈভবে পূর্ণ। কখনও …
সংযোগ